পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩sশ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা । বিস্তার সত্ত্বেও তাছার নিবন্ন অধিবাসীগণকে মনুষ্যত্ব রক্ষার বীর্য্য দান করিতে পারিতেছে না । জাতীয় সাহিত্যকে যদি জাতীয় অবস্থার নজির ধরা যায় তবে একথা কিছুতেই অস্বীকার করিবার যে নাই। অন্ত সব লেখকগণকে বাদ দিয়া কেবলমাত্র ডিকেন্সের উপহাস হইতে দরিদ্র পল্লীব রজনীর অতি সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র দেওয়া যাক্ । ভাগ্য বিপর্যায়ের ক্রর আবর্তে পড়িয়া গৃহগব বালিক রাজধানীর ভিতর আশ্রয় ভিক্ষা কবিতেছে, ডিকেন্স বর্ণনা করিতেছেন— “এই ভয়ঙ্কর স্থানে রাত্ৰি ! ধৰ্ম যখন বহুিতে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গেল, এবং প্রত্যেক চিমনি শিখা বিস্তার করিয়া জ্বলিয়া উঠিল, সেই সব জায়গ। গুলি---সমস্ত দিন যtহ। মৃতের সমাধি মন্দিরেব মত অন্ধকার ছিল, অকস্মাৎ শোণিত-দীপ্ত বর্ণে ঝলকিতে লাগিল। রাত্রি-যখন প্রত্যেক কলের শস্ব ভয়াবহ হইয়া বাড়িয়া উঠিতে লাগিল— যখন তাহার চারিধারে লোকগুলি অধিকতর বৰ্ব্বর ও বন্ত দেখাইতে লাগিল, কৰ্ম্মহীন শ্রমজীবির দল দলে দলে রাস্ত দিয়া ভ্রমণ করিতে লাগিল, অথবা মশালের রক্ত আলোক ধবিয়া তfহাদের নেতৃদলকে বেষ্টন করিয়া দাড়াইয়া কর্কশ ভাষায় তাহীদের কৃত দুষ্কৰ্ম্মের ব্যাখ্যা করিতে লাগিল এবং ভয়াবহ চীৎকারে ও ভয় প্রদর্শক বাক্যে তাঁহাদের উত্তেজিত করিতে লাগিল । সেই সব রমণীরা —ধtহার প্রার্থনা ও অনুনয়ের দ্বারা নিবৃত্ত করিবার চেষ্টা করিতেছিল—তাহাদের দূরে নিক্ষেপ করিয়৷ ক্ষিপ্তবং লোকগুলি মশীল ও তরবারি লইয়। ভয়াবহ কাৰ্য্য ও ধ্বংসের দিকে 尊 প্রাচীন ভারতের লোকশিক্ষা । సెఅని ধাবমান হইতে লাগিল, ধ্বংস-যtহাতে অষ্ঠের অপেক্ষ নিজেদের বিনাশই সৰ্ব্বাপেক্ষা সাধিত হইতেছিল ! রাত্রি—শকট সমূহ যখন মৃতের সজ্জাহীন শবাধার বহন করিয়া আনিতে লাগিল, অনাথ বালকবালিকার ক্ৰন্দন ধ্বনিত হইতে লাগিল, উন্মাদ রমণীগণ চীৎকার করিতে লাগিল, এবং মুপ্তির ভিতর ভ্রমণ করিতে লাগিল ! রাত্রি-যখন কেহ আহাৰ্য্যের জন্ত, কেহ যন্ত্রণ ভুলিবার উদ্দেশ্যে পানের জন্য চীৎকার করিতে লাগিল, কেহ অশ্রীচক্ষে, কেহ স্থালিত গতিতে কেহ রক্ত চিহ্ণিত চক্ষে অন্ধকার চিস্তাচ্ছন্ন হইয়া বাড়ী ফিরিতে লাগিল, রাত্ৰি—যাহা ঈশ্বরের প্রেরিত রাত্রির মত শাস্তি, বিরাম, ও ঈশ্ববের আশীৰ্ব্বাদ পুত নিদ্রা বহন করিয়া আনিতে ছিল না !” কি ভয়ানক শোচনীয় এই ছবি ! ভারতের নিদ্রামেীন ঝিল্লি মুখর নক্ষত্রেরূL আলোকপাত মধুর রাত্রির সঙ্গে এই রাত্রির কি প্রভেদ ! এই সন্ধ্য। —যখন “মেীন নভস্থল ছায়tছন্ন মৌন বন মেীন জল স্থল স্তস্তিত বিষাদে নম্র । নিৰ্ব্বাক নীরব দাড়াইয়। সন্ধ্যা সতী,–লয়ন পল্লব নত হয়ে ঢাকে তার নয়ন যুগল অনন্ত আকাশ পূর্ণ অশ্রু ছলছল করিয়া গোপন । বিষাদের মহাশাস্তি ক্লান্ত ভুবনের তলে করিছে একান্তে সাস্তুন পরশ দান । ক্ষুদ্র নদীতীরে সুপ্তপ্রায় গ্রাম ৷ পক্ষীরা গিয়াছে নীডে শিশুরা খেলে না, শুষ্ঠ মাঠ জনহীন ঘরে ফের শ্রান্ত গাভী গুটি দুই তিন