পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

リグ8 করি বলোনা, ও রকম হস্তিমূৰ্খ ছেলেকে পড়ানোর চেয়ে সপরিবারে না খেয়ে মরণ ও ভাল। তাকে আবার কিছু বলবারও যে নেই ; একদিন রাজকুমারকে একটু ধমক দিয়ে ছিলুম অমনি দুদিক থেকে স্থা বেটা মোসাহেব ছুটে এসে তার মাথায় খানিকট ফুলোন তেল থাবড়ে হাওয়া করতে আরম্ভ করলে। পাছে ধমক খেয়ে ছেলে মুষ্ঠা যায় ! শোন কথাটা ! এখানেই শেষ না । বিকেলবেল গিয়ে গুনলুম আমার ধমকে বাবুয়tঞ্জীর জিউ ঘবড়ে গেছে, আজ রাণীজী তাই তাকে পড়তে আসতে দিতে পাৰ্ব্বেন না। এই ত ব্যাপার! তুমিষ্ট বল না এমন চাকরী করা কি পোষায় ?" ঘণ্টা পড়িল ওঁ গাড়ী হুস হুস শব্দে নিকটবৰ্ত্তী হইতে লাগিল। নীরদ একটু ইতস্তত করিয়া কহিল “আমার স্কুলে কিন্তু পারিশ্রমিক কম! কি করে তাতে পোষাবে ?” বীরেশ্বর যেন বৰ্ত্তাইয়া গেল, “আঁ: তা হলে তো ভালই ي واة جf ه ه قة الة টাকা দাও বলছিলে ? তাতেই কোনরকমে চলে যাবে এখন। গিরিও কিছু তার পৈতৃক ধন পেয়েছেন । সম্প্রতি বলচেন ব্যবসা করতে, তা তোমার সঙ্গে থাকি ত বিলিতি জিনিষ আর ব্যবহার কৰ্ব্বোন তা বলেই রাখচি ! আর গায়ত্রী সন্ধ্যেটন্ধ্যেও ক্রমে ক্রমে শিখবে। এখন ৷” নীরদ আবেগেব সহিত তাকে আলিঙ্গন করিল। 8 × . বর্ষার বাতাস হুহু করিয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিতেছিল। মেঘে এখনও আকাশ ভরা। ঝুপ ঝুপ করির বৃষ্টিরও যেন কয়দিন ধরিয়া বিরাম নাই। এক পা কাদা মাখিয়া ভারতী । চৈত্র, ১৩১৭ ছাতা বা তালপাতার টোক মাথায় দিয়া পথিকেরা পথে চলিতেছিল। রাস্তার ওপারে মুদির দোকানে বিলাতি কম্বল গায়ে বুড়া দোকানী, কারিগরকে বেগুনির জন্ত ডাল ফেনাইতে উপদেশ দিতেছিল ও মধ্যে মধ্যে থেলে হুকার কলাপাতার নলে টান দিতে দিতে খাচায় পোষা ময়নাটিকে সীতারাম “বুলি শিক্ষা দিবার বৃথা চেষ্টা করিতেছিল। শীতে ও বাদলায় পক্ষীশিশু একেবারে অস্ফুটবাক হইয়া গিয়াছে। সঙ্কীর্ণ গলিপথ,—দু একখানা গোরুর গাড়ি কেরোসিনের টিন বোঝাই লইয়া বলাইচন্দ্র শীলের অtড়তের দিকে অত্যন্ত অনিচ্ছুক মন্থৰ গমনে চলিয়াছে ; তাহাদেরি চক্রমথিত কৰ্দমে পাশের ইষ্টক প্রাচীরগুল চিত্র বিচিত্র হইয়া উঠিতেছিল ! সেই অপ্রশস্ত পথের ধীবের ক্ষুদ্র একখান। বাড়ির মধ্যে রাস্তার ধারের একটি একতল ক্ষুদ্র গৃহের খোলা জানালার নিকট বসিয়া একটি রমণী সেলাই করিতেছিল ৷ ‘ ঘরখানি ক্ষুদ্র, ঘরের আসবাব পত্র ও তেমনি সামান্ত,— দেখিলে দরিদ্রের গৃহ বলিয়াই মনে হয় । রমণী কোলের উপর সেলাইট রাখিয়া কিছুক্ষণ কাৰ্য্য করিতেছে আবার অল্পপরেই যেন ক্লান্ত হইয়া পড়িয়া তাহ পরিত্যাগ' পূৰ্ব্বক জানলার বাহিরে রাস্তার দিকে চকিত. দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিতেছে, মধ্যে মধ্যে জানালীর কপাটে পিঠ রাথিয়া চক্ষুমুদ্রিত করিয়া ক্লাস্তিদূর করিয়া লইতেছে। কৃষ্ণপক্ষেৰ ক্ষীণজ্যোৎস্নার মত শীত ইত্রির কুহেলিকা সমাচ্ছন্ন পাও চন্দ্রের তার বিবর্ণ এই অপরিচিত নারীই যে শাস্তি তাহ তাছাকে দেখিলে সহসা কেহই বিশ্বাস করিতে