পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা । বাবুর শনি হয়েচ,—এ কি ছেমবাৰু ?” ছেম মাটিতে অবসন্নভাবে বসিয়া পড়িয়া তীব্র যন্ত্রণায় আৰ্ত্তনাদের মতন করিয়া কহিয়া উঠিল “দেখ যোগেশ ! আমি ওকে খুন করেচি !” “এ্যা ! সে কি !” কিন্তু সেই সময়েই শাস্তিকে একটু নড়িতে দেখিয়৷ তাড়াতাড়ি সামলাষ্টয়া লইয়। কাছে আসিল “ন, না মূচ্ছ হয়েচে । একটু জল আন দেখি এক্ষণি সেরে যাবে, কপালটা ভয়ানক গরম ! আমি একজন ডাক্তারকে বরং ডেকে আনি, তুমি কাছে থাকো” হেম আতঙ্কে বলিয়া উঠিল “ন যোগেশ আমিই তার চেয়ে ডাক্তারের জন্তে যাচ্চি। তুমি ७५ttन १tक ।” যোগেশ বলিল “জtছ তাইষাও”মনে মনে বলিল ভীরু ! সবেতেই তোমার সমান ভয়, এদিকে আবার যোগেশকে স্ত্রীর সঙ্গে একটা কথা কইতে দেখলেও সয় না ।” শাস্তির পরিণাম তাহাকেও যেন অলক্ষ্যে অনুতাপের কধtঘাতে ক্লিষ্ট করিতেছিল, সেইতে হেমের মন্ত্রণাদাতা ! সেওতে কম পাপী নয় ! আহ দুজনে পড়িয়া কি তবে সত্য সত্যই বেচারাকে হত্যা করিয়া ফেলিল না কি ? • এতোটা হইবে কে জানিত । cश्रमऊ८क अश्किलूम शाहेरठ श्ण न । গলির মধ্যেই পরিচিত প্রসন্নবাবু ডাক্তারের সহিত সাক্ষাৎ হওয়াতে ছেম ব্যগ্ৰকণ্ঠে বলিয়া উঠিল— *আঃ বাচা গেল ! আমি আপনার কাছেই যাচ্ছিলুম যে, আমুন ভাক্তারবাৰু শিগগির এঙ্কবার আমার বাড়ি আমুন--” পোষ্যপুত্র। నిసి) ডাক্তার কি বলিতে যাইতেছিলেন কিন্তু তাহার পূর্বেই তাছার সমভিব্যাহারী লোকটি তাড়াতাড়ি কাছে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল *কেন বলে দেখি ? -শাস্তি কেমন আছে ?” হেমেন্দ্র অপরিচিতের এই অযাচিত আত্মীয়তায় মনে মনে যথেষ্ট বিস্মিত হইলে ও এ বিপদের সময় বিরক্ত হইতে পারিল না বা তাহার সহিত ঘনিষ্ঠভাব প্রকাশ করার আগস্তুকের ধৃষ্টতার কথা মনেও পড়িল না । সে তখন ঘোর বিপন্ন,—মনে হইল হয়ত ইহার নিকটও কিছু সাহাষ্য পাওয়া যাইতে পারে। সে যে কে সে প্রশ্ন পৰ্য্যন্ত না তুলিয়া ঈষং যেন আশ্বস্ত চিত্তেই বলিল “হঠাৎ তার মূৰ্ছ হয়েচে, আপনার শিগগির আম্বন।” ডাক্তারের সঙ্গেই ষোগেশ তাহাব লিখিত প্রেস্ক্রিপসন দুখান লইয়া চলিয়া গেলে নীরদকুমার পরুষকণ্ঠে মুহমানপ্রায় হেমেন্দ্রকে বলিয়া উঠিলেন “এমনি করেই মেরে ফেলতে হয় ?” নীরদের ব্যবহারে হেম বুঝির লইয়াছিল—তিনি রজনীনাথেরই কোন অtষ্ট্ৰীয়,--শাস্তির আপনারই লোক। হেমেন্দ্র লজ্জিত মৃত্নস্বরে গুণ গুণ করিয়া বলিল “চিকিৎসা হচ্ছিল তো, ডাক্তার বল্লে ম্যালেরিয়া—” নীরদ বাধা দিল “ছাই চিকিৎসা হচ্ছিল । ওকি জীবনে কখনও এমন অবস্থায় থেকেচে ? তা একবার মনে হলোনা !” অপরিচিতের এই তীব্র তিরস্কারে গৰ্ব্বিত হেমেন্দ্র আজ রাগ করিল না, বরং লজ্জtয় যেন মরিয়া গেল। সে যে কত বড় অপরাধে জগতের ও নিজের হৃদয়ের নিকটে অপরাধী সে কথা যে জলন্ত লোহার