পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা। সে কহিল,-"তাই মনে করছি একটা সুবিধা হতে পারে তোমা হতে।” আমি আশ্চৰ্য্য হইলাম, কহিলাম, “আম! হতে সুবিধা ?” সে কহিল, “হা, দাদা সে তোমারি হাত। দেখ,মানুষ মবে গেলে ভূতভবিষ্যত সব দেখতে পায়, তা তুমি ত এই ক’ঘণ্টা পরেই মরচ, তাই বলছি কি, জানো, আমাকে যদি ঐ ঠিক নম্বরটি বলে দাও ত আমি সেই নম্বরের টিকিটখানি কিনি ! বেশ দু পয়সা তা হলে হাতেও আসে । রাতারাতি বড়মানুষ হয়ে পড়ি,আর এই লক্ষ্মীছাড়া চাকরি ছেড়ে বাচি—ভূতকে আমি ভয় করি না, বুঝলে কি না—কোন বাধা নাই ! আমার নাম কাসে পাপিকুর । বি নম্বর ঘর, ২৬ নম্বর বিছানা—মনে থাকবে ত ? আজই সন্ধ্যার পব তা হলে বলে দি ও, দাদা । দোহাই তোমার ।” এ কথার আমি উত্তব দি তাম না— প্রবৃত্তি ছিল না—কিন্তু একটা উন্মদ আশা আমার মনে জাগিয়া উঠিল—একবার শেষ চেষ্ট ! আমি কহিলাম, “দেখ, তুমি টাকা চা ও ?” “হা, দাদা ! করতে পারিনে !” আমি কহিলাম, “বেশ —আমি তোমাকে রাজার ঐশ্বৰ্য্য দেব, অগাধ টাকা যদি এক কাজ করতে পার ” তার চোখ যেন জলিয়া উঠিল । সে কহিল, “বল, আমি এখনি করব—যত বড় শক্ত সে কাজ হোক, তবু পেছুবে না ।” আমি কহিলাম, “শুধু আমাদের পোষাক বদল করতে হবে, ব্যস—আর কিছু নয় !" আর পয়সার দুঃখ ভোগ 5म्नम-दन्।ो । Poእ “७हें कांछ ! ७:, ७श्रुनि ब्रांछी श्राहि ।” বলিয়াই সে জামার বোতাম খুলিতে লাগিল । ক্ষিপ্ৰ গতিতে আমি উঠিলাম। বুকটা ধ্বক করিয়া উঠিল। আর একমুহূৰ্ত্ত বিলম্ব নয়—এখনি সব পণ্ড হইবে ! আঃ, ভগবান, ধন্ত তুমি ! নিমেষে আমি দেখিলাম, আমার সম্মুখে আগাগোড়া সমস্ত দ্বার মুক্ত – কোথাও বাধা নাই, বন্ধ নাই –মুক্ত আকাশতলে আবার আমি দাড়াইয়াছি— মাথার উপর পার্থীর দল উড়িয়া চলিয়াছে, স্নিগ্ধ শীতল বায়ুর স্পর্শ অবধি যেন আমি স্পষ্ট অনুভব করিলাম,—সে এক সম্পূর্ণ নুতন জীবন ! সহসা প্রহরীট থমকিয় গেল—কহিল, “ওহে ! বুঝেছি তোমার মতলবখান— তুমি পালিয়ে যেতে চাও ?” একট। ঢোক গিলিয়। আমি কহিলাম, “তাইত চাই, নইলে তোমাকে টাকা দেব কি করে ?” প্রহরী জামার বোতাম আঁটিতে লাগিল । আমার অন্তরের মধ্য দিয়া একটা তীব্র বিদ্যুৎ শিখা বহিয়া গেল-মাথায় রক্ত চন্‌চন্‌ করিয়া উঠিল । সে কহিল, “না—তা কি হয় ? ও সব হাঙ্গামায় আমি নাই—মরে তুমি টাকার কিনার করে। ভাই, যেমন বললুম—এ রকম পালিয়ে--অারে না— ন ৷” আমি বসিয়া পড়িলাম—আমার প৷ টলিতেছিল । আশা নাই—কোন আশ। নাই ! নিরাশার মুগভীর বেদনায় আমার নিশ্বাস রুদ্ধ হইয়। আসিতেছিল । ( ক্রমশ: ) শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়।