পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা । যtহাদের মধুময় উৎসের অমৃত প্রবাহ জগতের মানবকুলের ধৰ্ম্মপিপাসা নিবারণ করিতেছে, সেই বৌদ্ধ, খৃষ্টীয়, এবং মহম্মদীয় ধৰ্ম্ম এই আসিয়া-জননীর পবিত্র ক্রোড়েই ভূমিষ্ঠ হইয়াছে। দার্শনিক প্রবর এমাসনের উক্তি –“ইউরোপ চিরদিনই উচ্চতর ধৰ্ম্মভাবের জন্ত প্রাচ্যপ্রতিভাব নিকট ঋণী” । * * সাহিত্য ও শিল্প জগতেও অtসিয়াব দীন তাহার সন্তানবর্গের সর্বাভিসারিণী ও বৈচিত্র্যময়ী প্রতিভার জলস্ত কীৰ্ত্তিস্তম্ভ। অসিয়াব সাম্রাজ্যসমূহ ও নবপতিবুন্দেব বিচিত্র ইতিবৃত্ত জগতের ইতিহাসে কতকগুলি মোহময়ী . পৃষ্ঠা সন্নিবিষ্ট করিয়াছে। তfচাব বিজেতৃবর্গের কীৰ্ত্তিগাথা ধবিত্রীর ভূপালবৃন্দের অবদান সমূহের মধ্যে স্বর্ণীক্ষরে লিখিত রহিয়াছে। দিগবিজয়ী সাইরাস, ডেরিয়াস ও জারকৃসেস্, মোগলবীর জঙ্গিস খাঁ, তাতাররাজ তৈমুরলঙ্গ, গজনীর মামুদ, মোগলরাজ্য প্রতিষ্ঠাত বাবর, রাজনীতি বিশারদ আকবর —ইতিহাসপাঠজ্ঞ ব্যক্তিবর্গেব মধ্যে ইহাদের নাম কে না অবগত আছেন ? ইহাদের বীর কাহিনী লোমাঞ্চ শবীরে ও স্তম্ভিত হৃদয়ে পাঠ করিয়া কে না ভীত ও চকিত হইয়াছেন ? • প্রাচ্য সাহিত্যের অক্ষয় ভাণ্ডারে বুধমণ্ডলীর জ্ঞান ক্ষুধ মিটাইবার কত বিচিত্র উপকরণ পড়িয়া রহিয়াছে। চীন সাধু কন্‌ফুকাসের উপদেশাবলী কি গভীর তত্ত্বপূর্ণ। পারস্ত কবি সাদী ও ফাৰ্দ্ধসীর হৃদয় কন্দরেখিত আবেগময়ী কবিতা কি মধুময়ী ! Old Testament লেখকদিগের শব্দ-চিত্রাঙ্কনপ্রতিভা কি বিস্ময়করী ! চম্বন—প্রাচ্য-গৌরব। X e > * শিল্প জগতে নেত্রপাত করিলে দেখিতে পাই, আলিয়ার মসজিদ, মন্দির এবং হৰ্ম্মাবলী তাহার সন্তানদিগের অনুপম সৌন্দৰ্য্যজ্ঞানের মূৰ্ত্তিমান সাক্ষীস্বরূপ দণ্ডায়মান রচিয়াছে । পিকিংএর “fassà-wfīā” (Temple of Heaven ) কি সুন্দব ! নিকো এবং টোকিয়োর জাপানী মন্দিরসমূহের পরিকল্পনা কত উচ্চ ! আবুশৈলের শিখরদেশস্থ জৈন মন্দিরগুলি অপেক্ষা সুক্ম কারুকার্য্য এবং নিৰ্ম্মণকৌশল কোথায় দেখিতে পাইব ? চারু-শিল্প-কম আগ্রাব তাজ অপেক্ষা প্রাণস্পশা কি ? ‘কামকুর’স্থ বুদ্ধদেবেব বিরাটমুৰ্বি কি মহিমাময়ী ! সমরখণ্ড দেশেব গেীরবস্বরূপ যে সকল বিশালকায় হৰ্ম্ম্যরাজি এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহদের বিরাটত্ব কত বিস্ময়জনক ! আসিয়ার প্রতি ধূলিকণায় ইতিহাসের কত নিগুঢ় কাহিনী লুকায়িত রহিয়াছে। প্রত্ন তত্ত্বের বিমোহনক্ষেত্রে আমরা দেখিতে পাই, ' ‘আসিরিয়া’ এবং ‘ক্যালডিয়া’র দিগন্তব্যাপী প্রান্তর, মুস) এবং ‘পার্সিপোলিস্ রাজ্যের ংসাবশেষ, জঙ্গলাৰ্বত ‘অনার্য্যপুর’ এবং "পোলানারুয়া’ নগরীদ্বয়, অতীতের বিস্তৃত রত্নভাণ্ডার উন্মুক্ত করিয়া কত রত্নাদি উপহার দিয়াছে। এখন ও ‘তাকৃলামাকামে’র অগম্য মরুগর্ভে কিংবা "আঙ্করতোমের’ অতিকায় হৰ্ম্ম্যরাজির অমুদ্ভিন্ন প্রহেলিকাগহবরে তত্ত্বাঙ্গুসন্ধান ও অবিক্রিয়ার কি বিশালক্ষেত্র পড়িয়া রহিয়াছে ! নিনেভা ও প্রাচীন বাবিলনের ভগ্ন পাষাণ-স্তপের উপর দণ্ডায়মান হইয়া অতীতের রহস্ত যবনিক উত্তোলন করিবার