পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা । প্রস্তুত বা মেরামতের কার্য্য শিক্ষা করিতে আরম্ভ করে, তাহা হইলে সে ঐ কাৰ্য্য যে শিক্ষা করিতে পারিবে, তদ্বিষয়ে সন্দেহের কোন কারণ থাকে না । কিন্তু আইন, ডাক্তারী ও মন্তান্ত মুকুমার বিদ্যায় শিক্ষিত কেহ কেহ অপিক উপার্জন করেন, এবং কেহ কেহ অপরের তুলনায় কম উপাৰ্জ্জন করেন । এই দুই শ্রেণী অর্থাৎ যাহার বেশী পান ও যাহারা কম -পান—ইহাদের পাওনার তারতম্যে একের বেশী পাওয়া ও অপরের কম পাওয়া এ দুটাই যমান দাড়ায় (২) মিঃ ফসেট তাছার পুস্তকে লিথিয়াছেন যে শীত ঋতুতে ইংলণ্ডের অন্তর্গত ইয়র্কশায়ারের শ্রমজীবিগণ ১৬১৭ শিলিং সপ্তাহে উপার্জন করে কিন্তু ঠিক ঐ সময়ে একই প্রকাবের কার্য্যে নিযুক্ত ডর্সে টশায়ার বা উইণ্টদায়ারের শ্রমজীবীগণ ১১ কি ১২ শিলিংয়ের অধিক উপার্জন করিতে পারে না। এগেট সাহেব ইহার কারণস্বরূপ লিথিয়াছেন ষে ডর্সে টমায়ারের শ্রমজীবিগণের অজ্ঞতাই এই নিম্ন হারের কারণ । অশিক্ষিত বলিয়াই উহার একস্থান হইতে নড়িয়া অগুস্থানে অধিক বেতনেও থাইতে চাহে না । ভারতবর্ষেও বিভিন্ন প্রদেশে বেতনের হারেব ‘তারতম্য দেখা যায়। পূৰ্ব্বেবঙ্গে বেতনের शङ्ग श्र१ि द । सूङ हे °*ि5८भ १७प्र! क्ष[भ्र रुझैन । e&సె ততই বেতনের হার নিম্ন । কিন্তু যে সকল জেলায় লোকসংখ্যা কম, সেই সেই স্থলে বেতনের হার বেশী। ম্যালেরিয়া প্রপীড়িত বদ্ধমানে বেতনের হার বেশী । বিহারে বেতনের হার কম । যে সকল নগরে বা বা নগরের নিকটবৰ্ত্তী স্থানে কল বা ফ্যাক্টরা তথtয় বেতনের হার অধিক। যে সকল স্থলে আকর বা খনির কার্য্য হইতেছে তথায়ও বেতন বেশী । কারণ স্বরূপ বলা যাইতে পারে যে, এসকল স্থলে অধিক সংখ্যক শ্রমজীবি আবগুক হয় এবং সেইজষ্ঠ বেতনও বেশী। ১৮৭১ হইতে ১৯৯৩ সনের বঙ্গদেশে, আসামে এবং পঞ্জাব প্রদেশে বেতনের হার বেশী হইয়াছে। টাকার হিসাবে ভারতবর্ষে ১৮৭৩ হইতে ১৯৯৩ সনের সাধারণ শ্রমজাবির বেতনের তালিকা আমরা প্রবন্ধের শেষভাগে যোজিত করিয়া দিলাম । দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেতুনের . হার সকল সময়েই বুদ্ধি হয় না । ভারতবর্ষে দুর্ভিক্ষকালীন যখন খাদ্যদ্রব্যাদি মহাৰ্ঘ হয়, তথন অল্প বেতনে লোক পাওয়া যায়। শস্ত নষ্ট হইলে লোকের বেতন দিবার ক্ষমতা থাকে না এবং সেইজষ্ঠ শ্রমজীবীর সংখ্যা বেশী হয় এবং তাছাদের বেতনও কম হয়। আবার যখন কৃষিজাত দ্রব্যের অধিক গ্রাহকতার জন্ত মূল্য বৃদ্ধি হয় তখন (২) আদমস্মিথের এই পঞ্চম কারণ অনেকে স্বীকার করেন না। “A clergy man who is obtaining A loo a year, may feel assured that if he were engaged in some other occupation his income would be far larger ; but such a man may be prompted by a high sense of duty to enter the church or he may be influenced by the social position he obtains for being in it and therefore he choose his profession independently of pecuniary consideration.”

  • পৃঃ ১৯৩৪ দেখ ।