পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা । লোক দেড়বস্ত চাউল উৎপাদন করিতে পারে, তবে তাছার পরিশ্রম ও মূলধনের সে দেড়গুণ অর্থ উৎপাদন করে । কিন্তু যদি সে সও ১? বস্ত উৎপাদন করে, তবে বেতন এবং লাভ শতকরা ২৫ কমিয়া যায়। কর্ষণের শেষ মাত্রা যতই নামিতে থাকে অর্থাৎ যতই কম উর্বর ভূমি কৰ্ষিত হইতে থাকে ততই বেতন ও লাভের অংশও কমিতে থাকে এবং জমির খাজনা বৃদ্ধি পায় ; কেননা পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে নিকৃষ্ট জমি হইতে উৎকৃষ্ট জমি যে পরিমাণ অর্থ উৎপাদন করে, সেই অধিক অর্থই হইতেছে খাজনা । রিকার্ডে সত্যই বলিয়াছেন যে যতই লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পায় ততই খাদ্যদ্রব্যের গ্রাহক বেশী হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে অল্লেtৎপাদিক জমি কৰ্ষিত হইত্তে থাকে । আবশ্বকীয় খাদ্য সেইজন্ত অধিক ব্যয়ে উৎপাদিত হয় অর্থাৎ সমপরিমাণ পরিশ্রম ও মূলধনব্যয়ে অল্প অর্থ উৎপাদিত হয় এবং সেইজন্ত বেতন ও স্বদের হার কম হয়। অর্থবিৎগণ বলেন যে, লাভের রেট পরিশ্রমের ব্যয়ের উপর নির্ভর করে। শ্রমজীবীগণ যে বেতন পায় এবং তাহার যে অর্থ উৎপাদন করে এই উভয়ের তুলনার পরিশ্রমের ব্যয় নির্ভর করে । এইজন্য যদি পরিশ্রম অধিক ফলোৎপাদক হয়, তবে পরিশ্রমের ব্যয় কমিয়া গেল ; কেন না হয় সেই পরিমাণে বেতন দিয়া অধিক অর্থ উৎপাদিত হয় অথবা অল্প বেতনে সেই পরিমাণ অর্থ উৎপাদিত হয়। পরিশ্রম বণ্টন। ుesND অধিক ফলোৎপাদক হইলে লাভও ৰেলী হইবে এবং সেইজন্ত শ্রমজীবীর ৰেভন এরূপ ক্ষেত্রে ঠিক থাকিলেও উৎপাদিত অর্থের পরিমাণ বেশী হইবে। যদি কোন উপায়ে পরিশ্রম অধিক ফলোৎপাদক হয়, তাহা হইলে.শ্রমজীবিগণের বেতনের হার স্থির থাকিলে লাভের হার বৃদ্ধি হইবে। এই জন্ত অর্থনীতিবিৎ মিল বলেন যে পরিশ্রমের ব্যয় ও লাভের হার তিনটী উপাদানে গঠিত ( ১ ) পরিশ্রমের কার্য্যকারিত (২) শ্রমজীবীগণের বেতন (অর্থাৎ শ্রমজীবীগণের প্রকৃত পুরস্কার ) (৩) বেশী বা কম খরচে যাহাতে এই প্রকৃত পুরস্কারের উপাদানসমূহ উৎপাদিত বা ব্যয় করা যাইতে পারে। যদি পরিশ্রমের কার্য্যকারিতা বৃদ্ধি পায় কিন্তু বেতন ও সাংসারিক খরচের আবশ্বকীয় দ্রব্যাদির মূল্য বেশী না হয় তবে পরিশ্রমের ব্যয় কম হয়। যদি বেতন বৃদ্ধি পায় এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে পব্লিশ্রমের উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধি না পায়, তবে পরিশ্রমের ব্যয় অধিক হয়। যদি অবিশুকীয় দ্রব্যাদি সস্ত হয়, তাহা হইলে বেতন কম হয় এবং কৰ্ম্মকৰ্ত্তার পরিশ্রমের ব্যয় কম পড়ে । আমরা এই কয়েক পৃষ্ঠায় অর্থের বণ্টন সম্বন্ধীয় কয়েকটা স্থল বিষয় আলোচনার প্রয়াস পাইয়াছি। কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি বলিতে পারি না । আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যবশতঃ অর্থনীতির অধিক আলোচনা নাই। অধিক কেন—নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এ বিষয়ে আমাদের সকলেরই দৃষ্টি আৰশুক (৬) জীযোগীন্দ্রনাথ লমাদার। (*) I am firmly convinced that we need to devote large sums to the founding of chairs of economics in our colleges “And again Let our people, as rapidly as possible be educated in the principles of economics.” H. H. The Gaekwar of Baroda.