পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা । শব্দ রচনার উপযোগী ভাবে সংযুক্ত। এই বর্ণমালা নানা দেশের নান। ভাষায় প্রচলিত হইয়াছে এবং সেই জন্যই দেশভেদে উচ্চারণে ব্যঙ্গিক্রম দেখা যায় কিন্তু সাধারণত; বিশেয কিছু প্রভেদ নাই । মধ্য ভারতে ইহা আদি কাল হইতে এক ভাবেই আছে। এই স্থানের উচ্চারণ শুনিতে মধুর এবং দেবতাদিগের ভাষার ন্যায়। সীমান্ত প্রদেশবাসীদের উচ্চারণে ভ্ৰম দেখা যায় কেন ন। চরিত্রগত দেশের জন্ত তাহদের ভাষাও দূষিত इई प्लां गcफु । প্রত্যেক প্রদেশে সাময়িক ঘটনা লিপিবদ্ধ করিবার জন্ত রাজকৰ্ম্মচারী নিযুক্ত আছেন । এই সকল বিবরণকে নীলপিত বলে । শুভাশুভ সৰ্ব্ববিধ ঘটনাই ইহাতে লিপিবন্ধ হয় । বাল কfাগের শিক্ষা ও উৎসাহের জন্ত ত{হtfদগকে প্রথমতঃ দ্বাদশ অধ্যায় বিশিষ্ট সিদ্ধ বস্তু নামক পুস্তক অধ্যয়ন করান হয় । সপ্তম বলে উপনীত ইহলে তাহার। পঞ্চবিদ্য লামক শাস্ত্র অধ্যয়ন করে । প্রথমেই তাহার শব্দবিদ্য অধ্যয়ন করে। এই পুস্তক শব্দের অম্বয় এবং পদের বুৎপত্তি বিষয়ক তত্ত্ব শিক্ষা দেয়। দ্বিতীয়তঃ, তাহার। শিল্পস্থান বিদ্য৷ অর্থাৎ শিল্পশক্তি নির্ণয় কবিদ্য। এবং জ্যোতিম অধ্যয়ন করে। পরে চিকিৎসাবিদ্য৷ অর্থাৎ যtহাতে স্বাস্থ্যরক্ষ' ও গুপ্তমস্ত্রবিদ্য শিক্ষা দেয় তাহাঁই অধ্যয়ন করে । পরে হেতুবিদ্যা ও আত্মবিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হয় । শেষোক্তটিতে পঞ্চ বৌদ্ধ শাস্ত্রের * সকল তত্ত্ব নিদ্ধারিত আছে । ব্রাহ্মণে চতুৰ্ব্বেদ অধ্যয়ন করেন । প্রথম বেলকে আয়ুৰ্ব্বেদ বলে কেন না ইহ। জীবনরক্ষণ বিষয়ে পৰ্য্যালোচনা করে। দ্বিতীয় যজুৰ্ব্বেদ, তুঙীয় সামবেদ ও চতুর্থ অথর্ববেদ । এই সকল বেদে যে সকল গৃঢ় ও গুপ্ততত্ত্ব সন্নিবিষ্ট আছে তাহ এতদেশীয় শিক্ষকগণ যে উত্তমরূপে আয়ত্ত করিয়াছেন তদ্বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । তাহার। উহাদের ভাবার্থ ব্যাখ্যা করিয়া পরে ছাত্রদিগকে দুরূহু শব্দ সমূহের প্রথমতঃ চয়ন--সিউ-ইউ-কি । 4b 4 অর্থ বোধগম্য কর:ইয়ু দেন । র্ত্যহার শিষ্যদিগকে উৎসাহিত করেন এবং সুকৌশলে তাহদের পরিচালিত করেন । যদি তাহার দেখেন যে ॐाशं८लङ्ग १िश्वj११ ङादौल विछtग्न मखुठे झ्झेब्र! সাংসারিক কার্য্যে লিপ্ত হইতে ইচ্ছুক তাহ হইলে র্তাহার। উগ্ৰদের স্বকীয় বশে রাখেন । তাহাদের শিক্ষ। সমাপ্ত হইলে এবং ত্রিশ বৎসর বয়ঃক্রম প্রাপ্ত হইলে তাহদের চরিত্র গঠিত এবং জ্ঞান পূর্ণত। প্রাপ্ত হয়। যখন তাহার। কোন কাযে নিযুক্ত হয় তখন প্রথমে তাহার। গুরুদেবের যত্নের জন্ত তাহাকে ধন্যবাদ দেয় । পুরা তত্ত্বে অভিজ্ঞ মনেকে বিদ্যাচর্চাতেই জীবনffতপাত করেন এবং এবং সংসার হইতে দূরে বাস করিয়া নিজেদের স্বভাব অক্ষুন্ন রাখেন। পার্থিব বিষযের ইহার কিছুই ধার ধরেন ন ; নিন্দ বা প্রশংসাখ ইহাদের. কিছুই যায় আসে ন। তাইদের সুযশ দিগদিগন্তে বিস্তৃত হওয়ায়, রাজন্তবর্গ তাহদের যথেষ্ট সন্মাণ করেন কিন্তু উ{হর কদাপিও রাজসভায় উপস্থিত হন না । গুণের জন্ত নরপতি তাহদের সন্মান করেন এবং প্রজাবৃন্দ র্তাংাদের যশোরীশির প্রশংসা করে এবং সৰ্ব্বসাধারণে র্তাহীদের ভক্তি করে । এই কারণেই র্তাহারা দৃঢ় তা ও উৎসাহ সহকারে অক্লান্ত ভাবে বিদ্যাচচ্চায় সমধতিপাত কfৱতে পারেন । র্তাহারা আত্মবলে নির্ভর করিয়া জালান্বেষণ করেন । যদিও তাহার বিপুল ধনের অধিকারী তথাপি . তাহার সামান্ত জীবিকার জন্ত নানiস্থান ভ্রমণ করেন । পক্ষাস্তুরে, এরূপ লোকও দেখিতে পাওয়া যায় যাহার। বিদ্যার শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিয়াও শিল্ল জভাবে কওঁৰ পালনে বিমুখ হইয়া কেবল মাত্র স্থখলালসায় অর্থরাশির অপচয় করে । ইহার বহুমুল্য অtহারাদি ও ব-স্ত্র নিজ সম্পত্তি বিনষ্ট করে। নিজেদের নৈতিক বল এবং অধ্যয়নস্পৃহা না থাকাতে ইহার অপমানিত হয় এবং ইহাদের দুনাম চতুর্দিকে বিস্তৃত হইয় পড়ে । নিজ নিজ শ্রেণী অনুযায়ী, সকলেই তথাগতের

  • পঞ্জযান—(১) বুদ্ধ (২) বোধিসত্ত্ব (৩) প্রত্যেক বুদ্ধ (s) যতি (৫) অস্তান্ত শিষ্য।