৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা । ছিলেন। (.কলিকাতা রিভিউ ১৭৮৩ সনের জানুয়ারী ) । লং সাহেবের পুস্তকে উপরোক্ত রোজ সাহেবের মৃত্যু-ঘটনা বিবৃত হওয়ার অব্যবহিত পরেই দয়ারাম সংক্রান্ত একটা ঘটনা বিবৃত হইয়াছে। ১৭৬ খৃষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারী তারিখে গবর্ণর কর্তৃক লিখিত পত্রে জানা যায় যে কাশীমবাজার কুঠীব অধ্যক্ষ উইলিয়ামস গবর্ণবকে অবগত করিয়াছিলেন যে, রামপুব বোয়ালিয়া হইতে নৌকাযোগে কোম্পানির ১০ ০ শত মণ রেশম আসিতেছিল কিন্তু দয়ারাম ঐ রেশম আটক করেন। এই সকল ঘটনা হইতে কেহ কেহ অনুমান করেন যে সীতারাম এই সময় পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। অর্থাৎ, উপযুক্তি সীতারাম যদি আমাদেরই সীতারাম হন, তবে বলিতে হইবে যে কোম্পানির দেওয়ানী সনদ প্রাপ্তির ২১ বৎসর পূর্বেও তিনি জীবিত ছিলেন । আমরা দেখাইতে চেষ্ট কবিব যে তাই সম্ভবপর নহে । প্রথমতঃ সীতারাম মুশীদকুলীখার আমলেই সনন্দ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মুশীদকুলিথ। ১৭•৪ হইতে ১৭২৫ পৰ্য্যন্ত বাংলার গদী উপভোগ করিয়াছিলেন । দ্বিতীয়তঃ, সীতারাম তাহার দেওয়ান যত্ন মজুমদারকে যে সনন্দ প্রদান করেন তাহাতে ১১১৪ সনের ২৫ বৈশাখ তারিখ আছে । এই বাংলা তারিখ ইংরাজী २१०१ ५:छेाल । তৃতীয়তঃ, সীতারাম-প্রতিষ্ঠিত দশভূজা মন্দিরে নিম্নলিখিত কবিতা লিখিত ছিল— “মহীভূজরসক্ষেীণীশকে দশভূজালয়ং অকারি শ্রীমতাসীতারামরায়েণ মন্দিরং।” जैौडांज्ञांम । ●总@。 অর্থঃ —মহী এই স্থলে ‘১’র পরিবর্তে बारुश्ड श्हेब्रट्छ् । भशे ब| श्रृंशिवौ बाङ्ग ७कणै-cनहेऊछ भशे = s ভুজ–এই স্থলে “২’র পরিবর্তে ব্যবহৃত श्झेब्रtcछ् । छूछ बणि८ङ झई व झई बूशाब्र সেইজষ্ঠ ভুজ = ২ রস–এই স্থলে 'ও'ব পরিবর্তে ব্যবহৃত হইয়াছে। রস ছয়ট । সেইজন্য রস = ৬ ক্ষেীণী—এই স্থলে (১)র পরিবর্তে ব্যবহৃত হইয়াছে। ক্ষেীণী বা পৃথিবী মাত্র একট – সেইজন্য ক্ষেীণী = ১ । ইছা হইতে আমরা ১,২,৬,১, এই অঙ্ক চারিট সজ্জিত করিয়া ১২৬১ শকে যে এই মন্দিরট প্রস্তুত হইয়াছিল তাহ বুঝিতে পারি। ১২৬১ শক ১৬৯৯ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে আরম্ভ হইয়াছিল । লক্ষ্মীনারায়ণের শিলালিপি ছিল । “লক্ষ্মীনারায়ণশ্বিত্যৈ তর্কাক্ষিরসভূমিত্তে নিৰ্ম্মিতং পিতৃপুণ্যার্থে সীতারামেণ মন্দিরং ।” অর্থাৎ তর্ক ( দ্যায় (৬) ), অক্ষি (২), রস (৬), ভূমি (১) হইতে আমরা ১৬২৬ শকের নিদর্শন পাই। এই শক ১৭০৪ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে আরম্ভ হইয়াছিল । তাহা হইলেই আমরা দেখিতে পাইতেছি যাহাব ১৭৬৪ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত সীতা বামকে টানাটানি করিতে চান, তাহদের যুক্তি ভ্ৰমসঙ্কুল । ঐতিহাসিক ষ্টয়ার্ট সাহেব তাহার “বাংলার ইতিহাসে” সীতারামের নিম্নলিখিত কাহিনী বর্ণনা করিয়াছেন। আমবা ইয়ার্টের বর্ণিত কাহিনীর স্থলবৃত্তান্ত পাঠকগণের নিকট উপস্থিত করিলাম । মন্দিরে নিম্নলিখিত
