পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t:సికి কালী, দুর্গ প্রভৃতি দেবদেবীর উচ্চ শীর্ষ মন্দিরাবলীতে সুশোভিত ছিল, যেখানকার পল্লী, ছত্র, দেবমন্দির সমুহ একদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী ও অতিথিকে চৰ্ব্বচোষ্য লেহ্যপেয় আহারাদি দ্বারা পরিতুষ্ট করিত, প্রতাপ এবং সীতারামের সুবিখ্যাত সেই রাজধানী আজ আর নাই। এখন তাহার কতক অংশ সমুদ্র গর্ভে নিহিত, কতক অংশ বা গভীর অরণ্যে পরিণত ; অবশিষ্ট যেটুকু আছে, তাহা ম্যালেরিয়া-প্ৰপীড়িত জীর্ণ শীর্ণ সীমান্ত পল্লীগ্রাম মাত্র বলিলেও অত্যুক্তি झग्न मt } আজি সে রাম ও নাই— সে অযোধ্যt ও নাই—আছে কেবল তাহার ক্ষীণ স্মৃতিটুকু।– সেই স্মৃতিটুকু লইয়াই আমরা ধন্ত। ইতিহাসের উজ্জ্বল অক্ষরে সেই ক্ষীণ আলোকটুকুও যদি স্থায়ী করিতে পারি তবেই আমাদের প্রয়াল সার্থক হইবে। দুঃখের বিষয় অতীত ইতিহাস এ সব কথা বড় বলে না । মুসলমান ঐতিহাসিকগণ এ সকল বীরের কথা ফুৎকারে নির্বাণের চেষ্টা করিয়াছেন । তাই সীতারামের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ আমরা যশোহরবাসী জানি না। কেহ কেহ বলেন যে ১৭১২ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে তাহার মৃত্যু হয়। ওয়েষ্টল্যাণ্ড সাহেব তাহার “যশোহরের বিবরণী”তে তাহাই লিখিয়াছেন । আবার কেহ কেহ বলিতে চান যে সীতারাম ১৭৬৪ খৃষ্টাব্দ পর্যন্তও জীবিত ছিলেন। শেষোক্ত পক্ষীয় ব্যক্তিগণ Long’s Selec tions from the records of Government নিম্নোদ্ভূত কয়েকখানি পত্রের উপর নির্ভর করিয়াই ঐ কথা বলেন । डtब्रडी । কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ “যে পত্রে আপনি রোজ সাহেব নামক ইংরাজ সওদাগরের নৌকা লুট ও র্তাহার মৃত্যুর কথা লিখিয়াছেন সে পত্র আমার হস্তগত হইয়াছে । বাখরগঞ্জের নিকট খে র্তাহাকে মারিয়া ফেলা হইয়াছে এবং ডাকাইতগণ ৰে সীতারামের জমিদারীতে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে তাহাও আপনার পত্রে অবগত হইয়াছি । আপনার অনুরোধামুযায়ী যাহাতে উক্ত জমিদার ঐ লুষ্ঠিত সম্পত্তি ফেরত দেন ও ঐ অঞ্চলে যাহাতে আর দম্যভয় না থাকে তজ্জন্ত বন্দোবস্ত করিতে সৈয়দ রেজা খাকে অদ্য পত্র দিয়াছি।” ( কলিকাতার শাসনকৰ্ত্তার নামে নবাবের পত্র ) [ প্রথম খণ্ড ৩৬১ পৃষ্ঠা]। ঐ খণ্ডের ৩৮৭, ৩৮৮ এবং ৩৮৯ পৃষ্ঠায় পুনরায় এই ঘটনার উল্লেখ আছে । ১৭৬৪ খৃষ্টাব্দে ব ১৪ই নবেম্বর তারিখে গবর্ণর মহাশয় নবাবকে যে পত্র লিথিয়াছিলেন তাহারও মৰ্ম্ম এইরূপ—“পুর্বেই আপনাকে রোজ সাহেবের নৌকা-লুট ও র্তাহার মৃত্যুর কথা এবং দম্যগণ যে সীতারামের জমিদারীতে আশ্রয় লইয়াছে তাহাও বলিয়াছি । আমি একজন ইংরাজকে এই সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিতে সীতারামের নিকট প্রেরণ করিয়াছিলাম কিন্তু উক্ত জমিদার এই দূতকে গ্রাহাই করেন নাই!” এইত গেল এক কথা । দ্বিতীয়তঃ, vকিশোরীচাঁদ মিত্র মহাশয় একটী প্রবন্ধে উল্লেখ করিয়াছেন যে, সীতারামকে ধৃত করিবার জন্ত যে সৈন্তবাহিনী প্রেরিত হয় তাহার সহিত দয়ারাম প্রেরিত হইয়াছিলেন । এবং সীতারামের পরাজয়ের পর দপ্পারাম নবাব কর্তৃক পুরস্কৃত হইয়া