পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা । হইলে বিন বাক্যব্যয়ে বিক্রেতানিৰ্দ্ধারিত মুলf দিয়া আসিয়া, পরে বাটতে কাগজ কলমের সাহায্যে হিসাব করিয়া দেখিতে হয় । শুভঙ্করের মানসাঙ্কের শিক্ষা থাকিলে আর এরূপ হইবার সম্ভাবনা নাই। বাঙালী যে পাটীগণিত বা তদঙ্গীভূত মানসাঙ্কে নিৰ্ব্বিবাদে পৃথিবীর অপরজাতি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, তাঙ্গর কারণ ইহা বলা যাইতে পারে যে বঙ্গদেশ হইতেই অস্কমালার ( Numerals ) স্থষ্টি । যে জাতি যে বিষয়ে শ্রেষ্ঠ, ঈশ্বর সেই জাতির মধ্যেই তাহার উদ্ভব বা প্রথমাবিষ্কার ঘটাইয়। থাকেন। বিজ্ঞানপটু ইয়োরোপীয় জাতির মধ্যেই বাষ্পীয়যান ও বিদ্যুৎযান প্রভৃতি যন্ত্রের প্রথম বিষ্কার ; অধুনা কৃত্রিম শিল্পবিদ্যাবলে সস্তার প্রলোভন দেখাইয়া জৰ্ম্মণি, প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীগণের মধ্যেও নিজ বাণিজ্য বিস্তারে প্রয়াসী, সেই জন্ত কৃত্রিম প্রণয়ণ বিদ্যা এক্ষণে জন্মণিরই একরূপ একচেটিয়া বলিলেষ্ট হয় । বাণিজ্যকুশল বাঙালী, সেই জন্তই বহুপূৰ্ব্বে, অঙ্কমালার উদ্ভাবনে সমর্থ হইয়াছিলেন । উক্ত কথার সমর্থনোপযোগী প্রমাণ প্রয়োগের পূৰ্ব্বে এইটুকু বলিয়া রাখি যে ইয়োরোপীয়গণ এক্ষণে স্বীকার করেন যে ভারতেই পাটীগণিতের প্রথম আবির্ভাব । ছোট বড় সকল ঐতিহাসিকই বলেন পাটীগণিত ভারতভূমি হইতে প্রাচীন আরবগণ কর্তৃক মিশ্রদেশ পথে ই য়ারোপে আনীত হয়—সুতরাং উহার পুনঃ সমর্থন নিম্প্রয়োজন। এক্ষণে দ্রষ্টব্য এই যে পুণ্যভূমি ভারতবর্ষের কোন প্রদেশ বা দেশে ইছার প্রথম উৎপত্তি । আমি নিম্নলিখিত যুক্তি দ্বারা এইটুকু প্রমাণ অঙ্কমালার উৎপত্তি । ఆ6 করিবার চেষ্টা করিব যে আমাদের ‘সোনার বাঙলা’ই অঙ্কমালার উৎপত্তি স্থান । প্রমাণ । ১ । এক, দুই, তিন, চারি, প্রভৃতি শব্দের মাত্রা বর্জিত প্রথম বা প্রধান অক্ষর ও অঙ্কমালার অঙ্কগুলি পরস্পর পার্শ্বে রাখিয়া উহাদের আকার সাদৃপ্ত অবলোকন করুন । যথা :– 2 এক দুই তিন চারি পাচ छ्न्न সীত আট नग्न У о 비 Hol বলা বাহুল্য, ট-ই আট শব্দের প্রধান অক্ষর ও শ-ই দশ শব্দের প্রধান অক্ষর ! প ও ছ অক্ষর দুইটীর সামান্ত পরিবর্তনেই অর্থাৎ একের দাড়ি ও অপরের পুচ্ছ বাদ দিলেই ৫ ও ৬ হয় । “যোড় পুটুলী শ লেখো ।” কে জানিত এই যোড়া পুটুলী শ-ই অঙ্ক মালার ‘জান’ “০” অঙ্কের উদ্ভাবক ? শ এর দাড়ি বাদ দিলেষ্ট ১০ অঙ্কট পাওয়া লায় এবং শ এর দ্বিতীয় পুটুলাই শুষ্ঠ “•” অঙ্কের মূল । দৈব সাহায্যই অনেক আবিষ্কারের মূল ! মৃত ভেক-দেহের সহসা স্পন্দনই বিদ্যুৎ শক্তির উদ্ভাবক। দ্বিবিধ ধাতু ও তাঁহাদের সংযোগ সঙ্কেতের নির্দেশক। দশ শব্দের শ অক্ষরটির এই বিচিত্র পুটুলী বহুল আকৃতি না থাকিলে ૨ xව 8 & رمان १ Ꭽ