পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা। ধ্বনিত করিয়া থাকেন, দেশের সাড়ে পনরো অান শিল্লির নির্ভর এখনও সেই প্রাচীন শিল্পেরই উপর, দীন দরিদ্র ধনী গৃহস্থ যতি সন্ন্যাসী এখনও অন্তরে অন্তরে সেই আর্য্য সভ্যতার অম্লান তিলকাঙ্ক বহন করিতেছে, আর ভগবান এই ভারতের ষড়ঋতুর সৌন্দর্য্যবিকাশে চিরন্তন প্রথার কোন ব্যতিক্রম ঘটতে, দিতেছেন না। কালিদাস যে বর্ষার গান শরতের শোভ। বসন্তের মাধুরী দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন সেই গ্রীষ্ম বর্ষাদি ঋতুগণ ঠিক তেমনি ভাবেই আমাদের চোথের সন্মুখ দিয়া আজও আসিতেছে যাইতেছে তবে কেমন করিয়া বলি নূতন শিল্প আমাদের নিতান্তু প্রয়োজন হইয়া পড়িয়াছে ! এই কলিকাত সহরে এখনও এমন লোকও আমি দেখিয়াছি যিনি ক্রেীরপতি হইয়াও নিজের Portrait অঙ্কিত করাইবার সময় নিজেকে মহামূল্য সিংহাসনে না বসাইয়। গুরুদেবের ছত্রধারিরূপে অঙ্কিত করাইয়াছেন । আর্য্য সভ্যতা যখন এখনও ওতঃপ্রোতভাবে আমাদের জীবনের সঙ্গে বিজড়িত রহিয়াছে তখন অতি শিক্ষিত আমাদের মত দুই দশজন বাঙালীর কথায় আর্য্যশিল্পকে দেশ হইতে নিৰ্ব্বাসন দিতে যাওয়া মুখতাব কাৰ্য্য । যতদিন না এই ভারতথও তাহার তেত্রিশকোট নরনারী তাহার এই শস্তগুমিল মূৰ্ত্তি লইয়া সমুদ্রের অতল গর্ভে প্রবেশ করে ততদিন জগতের লোক আমাদের প্রাচ্যজাতি বলিয়াই জানিবে এবং আমাদের নিকট হইতে প্রাচ্য শিল্পই প্রত্যাশা করিবে, ইতালীয় শিল্পও নয় ফ্রেঞ্চ শিল্পও নয় অথবা ভাবসাধন । ৬২৩ প্রাচ্য ইতালীয় এবং ফ্রেঞ্চ শিল্পের খিচুড়িও নয়। এ অবস্থায় ইউরোপের সহিত Loan খুলিবার যে বিশেষ ত্যাবগুক আছে এমন বোধ করি না। আমরা নিজের ভাণ্ডার হইতে সল্প হইলেও যেটুকু দান করিব জগৎবাণীর নিকটে তাঁহারই মূল্য আছে, আর ধার করিয়া যেটা বিতরণ করিয়া যাইব তাহা চিবদিন চোরাই মালেব সামিল হইয়। থাকিবে । সমস্ত মানবজাতির মধ্যেই ভাবের আদানপ্রদান যখন চলিতেছে তখন শিল্পে ও আদানপ্রদান চলিতে থাকিবে, সেটাকে ঠেকাইবার সাধ্য কাহারও নাই এবং সেরূপ আদানপ্রদানে দোষও দেখি না ; কিন্তু দানই গ্রহণ করিতেছি দান করিতে অপারক এরূপটা হইলে আজ না হউক দশদিন পরেও অৰ্দ্ধচন্দ্র আমাদের ভাগ্যে সুনিশ্চিত । Science of Perspective ইত্যাদি তুচ্ছ সামগ্রীর লোভে পুরুষ-পরম্পরালব্ধ যে আশ্চৰ্য্য শিল্প কৌশলট হারাইতে বসিয়াছি সেটা জগতের আর কোন শিল্পই আমাদের দিতে পরিবে না। এই পঞ্চাশ বৎসর #soil perspective, anatomy of:s কত কি আমরা দখল করিয়াছি কিন্তু প্রাচীন ভারতের একটা মন্দির চুড়া অথবা একটি চিত্রের এক রেখা এক বর্ণও পুনঃসংস্কার করিবার ক্ষমতা লাভ করিয়াছি বলিয়া তো বোধ হয় না । তবে বৃথা পরিশ্রমে কোন লাভ ? নুতন artএর স্বষ্টি করিতেছি এমন অহঙ্কারও আমরা রাখিতে পারি না, কেননা এই পঞ্চাশ বৎসরে ইউরোপীয়