পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা সময় গুটী হইতে রোগের বীজ দুগ্ধের সহিত মিশ্রিত হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা । এজন্ত দুগ্ধবতী গভীর স্বাস্থ্যসম্বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি রাখা অবশু কর্তব্য। কলিকাতায় অধিকাংশ লোকেই গোয়ালার দুগ্ধ ব্যবহার করিয়া থাকেন ; সুতবাং গভীর স্বাস্থ্যের অবস্থা তাহদেব জানিবার সুবিধা হয় না। যদি দুগ্ধের মধ্যে যক্ষ্মীর বীজ বিদ্যমান থাকে, তাহা হইলে উহাকে ১৫ মিনিট কাল ফুটাই য়া লইলেই উহার ধবংস প্রাপ্ত হয়। অতএব বাজারেব দুধ একবার উথলিয়া উঠিলেই উহাকে নামাইবে না, কিছুক্ষণ উহাকে ফুটিতে দিলে উছ সম্পূর্ণ নির্দোষ হইয়া যাইবে। ৫ । অনেক সময়ে মাছি দ্বারা এই রোগের বীজ খাদ্যসামগ্রীতে সংলগ্ন হইয়৷ থাকে ; উক্ত খাদ্য ভক্ষণ করিলে রোগ উৎপন্ন হইবার সম্ভাবনা । সুতরাং খাদ্যসামগ্রীতে যাহাতে মাছি বসিতে না পাবে, তদ্বিষয়ে সবিশেষ সাবধান হওয়া উচিত। ৬ । যক্ষ্মণ-রোগীর সহিত সুস্থ ব্যক্তির এক স্থানে এক সঙ্গে পান ভোজনাদি সম্পন্ন করা নিষিদ্ধ। যে সকল ভোজন-পাত্র যক্ষ্ম{রোগী দ্বারা ব্যবহৃত হইবে, তাহ বিশোধক ঔষধ ও উষ্ণ জল দ্বারা ধৌত না করিয়া মুস্থ ব্যক্তির ব্যবহার করা উচিত নহে। যক্ষ্মীরোগীর উচ্ছিষ্ট খাদ্য বা পানীয় অপর কাহারও গ্রহণ করা একেবারে নিষিদ্ধ। ৭ । যক্ষ্ম পীড়িত মাতা শিশু সন্তানকে স্তনপান করাইবেন না । ইহাতে মাতার শরীর শীঘ্ৰ দুৰ্ব্বল হইয় পড়ে এবং রুগ্ন মাতার দুগ্ধ পান করিয়া শিশুরও ঐ রোগে আক্রান্ত হইবার সম্ভাবনা। শারীর স্বাস্থ্য-বিধান bbrd ৮। পুরুষ বা স্ত্রীলোক, যাহার যক্ষ্মার স্বত্র-পাত হইয়াছে, তাহার বিবাহ করা কোন ক্রমেই উচিত নহে । যক্ষ্মারোগী বিবাহ করিলে তাহার স্বাস্থ্য শীঘ্ৰ ভগ্ন হয় এবং বেগে ক্রমশঃ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া অল্পদিনের মধ্যেই মৃত্যু সংঘটিত হইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত যক্ষ্মীরোগীর সন্তান-সন্ততির মধ্যেও ঐ রোগ-প্রবণতা অল্পবিস্তর বিদ্যমান থাকিতে দেখা যায়। আমাদের দেশে কহার বিবাহ দেওয়া অবশু কৰ্ত্তব্য বলিয়া বিবেচিত হইলেও ব্যাধিযুক্তা কন্যার বিবাহ দিলে যে ধৰ্ম্মে পতিত হইতে হয়, সে বিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই । বিশেষতঃ একত্র সহবাসের জন্ত স্ত্রী হইতে স্বামীর বা স্বামী হইতে স্ত্রীর শরীরে যক্ষ্মারোগের স্বত্রপাত হুইবার ঘটনা নিতান্ত বিরল নহে। fgoffari (Diptheria) – s i izini ঐ রোগীর সেবা করিবেন, তাহদের মুখ বা চোখের মধ্যে রোগীর থুথু বা কফ যাহাতে না প্রবেশ করে, তদ্বিষয়ে সবিশেষ সাবধান হইতে হইবে। এই রোগের বীজ কাশবার সময় রোগীর গল হইতে কফের সহিত নিঃস্থত হয়। যদি কোন প্রকারে রোগ-বীজ মিশ্রিত কফ সুস্থব্যক্তির চোখে বা মুখের মধ্যে প্রবেশ করে, তাহ হইলে তাহার ঐ রোগে আক্রান্ত হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। ২ । এই রোগে বোগীর গলার মধ্যে ঔষধ লাগাইবার প্রয়োজন হয় এবং ঔষধ লাগাইবার সময়ে রোগী অত্যন্ত কাশিতে থাকে। যিনি ঔষধ লাগাইবেন, তিনি যেন একখণ্ড পরিস্কৃত বস্ত্র দ্বারা নিজ নাসিক ও মুখ আবদ্ধ করিয়া গলায় ঔষধ লাগাইবার ব্যবস্থা করেন, নতুবা ঐ সময়ে তাহার