পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা সংলগ্ন হোষ্টেলে বাস করে—অধ্যাপক কানিটকর তাদের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত। আশপাশে ভূমির অভাব নাই। তাতে ক্রিকেট, ফুটবল প্রভৃতি খেলার জন্তে ক্রীড়াক্ষে ত্র রয়েছে— তা ছাড়া বাকী জায়গায় ছয়জন অধ্যাপকের বাসগৃহ নিৰ্ম্মিত হয়েছে এবং উদ্ভিদতত্ত্ব শেখবার জন্তে একটি ছোটখাট বাগান আছে । এষ্ট সকল পবিত্র চরিত্র সদগুরুর সহবাসলাভ বিদ্যার্থীদেব সামান্ত লাভ নহে। অধ্যাপকদেব আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত ছাত্রদের চরিত্র গঠনে বিশেষ কাৰ্য্যকব হওয়া অবশুস্তাবী । ছাত্রগণ যাতে সংযম অভ্যাস করতে পারে, আত্মনির্ভর শিক্ষা করতে পারে, সে বিষয়ে অধ্যাপকদের বিলক্ষণ দৃষ্টি আছে। ছাত্রজীবনের যা কিছু প্রয়োজন তা যোগাবার ভাব তাদের নিজেদের হাতেই অপিত— তাদের আপন আপন কাজ কৰ্ম্মের ব্যবস্থা আপনাদেরই ক’রে নিতে হয় । একটি ব্যায়াম-সভা তাদের হাতে ভালরূপই চলছে। তাদের পুস্তকালয়, পাঠগৃহ তারা নিজেদের ভিতরেই দেখে শুনে পরিচালন করছে। বোলপুর বিদ্যালয়ের কার্য্যব্যবস্থাও কতকটা sèHot i Times of India citās vietą সংবাদদাতা এই কালেজ সম্বন্ধে লিখছেন— “যুরোপে শিক্ষাশাস্ত্রের যেমন উন্নতি হইতেছে, সেই উন্নতির আদর্শে ফরগু্যসন কলেজে শিক্ষার নিয়মাবলী প্রস্তুত হইতেছে । ইহা ক্ষুদ্র স্কুল নহে কিন্তু বাস্তবিক একটা বড় কালেজ। শুধু পুথিগত বিদ্যা অর্জন করা ইহার লক্ষ্য নহে ; কিন্তু ছাত্রদের চরিত্র গঠনের প্রতি অধ্যাপকদের বিশেষ মনোযোগ দৃষ্ট হয়। এই কালেজ পরিদর্শন করিলে মনে আমার বোম্বাই প্রবাস bras হয় যেন পাশ্চাত্য বড় বড় য়ুনিবর্সিটির উচ্চশিক্ষার বিশুদ্ধ বায়ুসেবন করা যাইতেছে। এই প্রসঙ্গে বলা যাইতে পারে ষে এই কালেজে এইক্ষণে ১৫ জন ছাত্রী অধ্যয়ন করিতেছে। তাহদের জন্য একটি স্বতন্ত্র হোষ্টেলেব বন্দোবস্ত করা হইতেছে।” এঞ্জিনিয়রিং কলেজ ভারতবর্ষে এঞ্জিনিয়রিং শিক্ষার যে সকল স্থান আছে তার মধ্যে পুণী-এঞ্জিনিয়রিং কালেজ একটি প্রসিদ্ধ। এই কলেজের অধীনে ছুতার, কামার ও আর আর বড় বড় কলকারখানার দোকান আছে, তাহাতে ছাত্ৰগণ নানাবিধ শিল্পকার্য্য শিক্ষা করে এবং তাদের হাতের কাজ বাস্তবিক প্রশংসার যোগ্য। দেখতাম অনেক বাঙ্গালী ছাত্র এখানে এসে অধ্যয়ন করছে, তাদের ভবিষ্যৎ উন্নতিরও যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আমাদের একটি আত্মীয়কে সেই কালেজে দেবার ইচ্ছা ছিল। সেখানে তাকে ভৰ্ত্তি করে দেওয়া গেল, পুণায় থাকবার এমন সুবিধা করে দিলাম যা অন্ত কোন বিদেশী ছাত্রের সহজে হয় না—স্বয়ং মহাদেব গোবিন্দ রাণীড়ে ছেলেটিকে নিজ বাটীতে আশ্রয় দিতে স্বীকৃত হলেন। সবই হল কিন্তু দৈব প্রতিকুল। তাকে কি একটা রোগে ধরলে, বৈদ্যশাস্ত্রে যার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না । শেষে জানা গেল সে রোগের নাম Home Sickness, কিছুতেই ওদেশে তার মন টি-কলো না । মার কোলে ফিরে এসে ছেলে তবে নিস্তার পায়। পৃথিবীতে দু রকম লোক আছে, কেউ কেউ প্রতিকুল অবস্থার বিরুদ্ধে