পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δρξα সন্ধ্যার সময়ও পুত্র গৃহে ফিরল না দেখে তার পিতা পুত্রের খোজে বার হয়ে দেখেন যে পাহাড় থেকে নীচে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃতদেহ স্বন্ধে করে শোকীর্ত পিতা প্রায় ৬ ক্রোশ পথ বয়ে গৃহে ফিরলেন। অ্যাল্পস দূর হতে দেখতে শুধু শোভার ভাণ্ডার । তথায় শুধু তুষার স্ত,প, আলোর খেল, মেঘের লীলা আর কুয়াস বৃষ্টির ছড়াছড়ি । কিন্তু প্রতিদিন এর কোলে ঐন্ধপ কত ভীষণ আকস্মিক ঘটনা ঘটছে তার নির্ণয় কে করে | সুইসরা লাভের আশাতেই গুণময় শিকারের জন্ত প্রাণপণ করে না । এটা তাদের জাতীয় ক্রীড়া। এতে প্রচুর আনন্দ পায় ও যথেষ্ট সাহস দেখাতে পারে । গরুছাগল ছাড়া সুইস্দিগের গৃহে অশ্বতর ( mules ) একটা সম্পত্তি বিশেষ । পাহাড়ের সঙ্কীর্ণ খাড়াই পথের উপর দিয়ে জিনিষপত্র বহন করতে এরকম প্রাণী আর দ্বিতীয় নেই। সুইসদিগের প্রধান খাদ্য হচ্ছে দুধ। প্রায় সকলের গৃহেই দুগ্ধবতী কোনও না কোন রকম পশু আছে । যারা নিতান্তই গরীব এবং হতভাগা তাদেরই • গোয়াল এই শ্রেণীর পশু শূন্ত। এইরূপ মন্দভাগ্যদের জন্য আগষ্ট মাসের প্রতি তৃতীয় রবিবারে বিনামূল্যে দুধের ননি (cream) বিতরণের ব্যবস্থা আছে । নির্জন আল্পসের গ্রাম্য কুটিরের মধ্যেই কেবল খাটি সুইস ভাব দেখতে পাওয়া যায়। সহরে, বিজাতীয় সভ্যতা এবং কৃত্রিমতাপূর্ণ সুইজারল্যাণ্ডে অভাব বা দারিদ্র্য ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ অতি অল্প লোকেই অনুভব করে। কারণ, তার স্বাধীন, কষ্টসহিষ্ণু, মিতব্যয়ী এবং অল্পে সন্তুষ্ট । গগনম্পর্শ আল্পস এবং তার বিশুদ্ধ মুক্ত বাতাস তাদের শরীর ও মনকে দৃঢ় করেছে। স্বদেশের স্বাধীনত রক্ষার জন্ত জাতীয় সমর তাদের আত্মনির্ভরতা শিক্ষা দিয়েছে । তাদের জাতীয় চরিত্র হতেই তাদের দেশের আইন কামুন রচিত হয়েছে। কোন লোকের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বা না হওয়া তার নিজের ইচ্ছা এবং সাধ্যের উপর নির্ভর করে । যদি তার কোনরূপ বিষয় সম্পত্তি না থাকে, অথবা যদি সে মনে করে, যে তার নিজের বাসগৃহ, আগুন এবং দস্থ্য তস্করের হাত হতে রক্ষা করবার যথেষ্ট শক্তি তার নাই তা হলে সমাজ তাকে বিবাহে বাধ্য করতে পারে না | প্রত্যেক পুরুষেরই নিজের এক দফা সৈনিক পোষাক ( uniform ) এবং অস্ত্র, একগাছি কুঠারী, একটি বালতি এবং একটি মই থাকা চাই-ই-চাই। এইরূপে প্রত্যেকেরই বাল্যকাল হতে দায়িত্ব জ্ঞান জন্মে। সুইস মহিলারা সুচী কাৰ্য্যে এবং অন্তান্ত শিল্পকার্য্যে বেশ সুনিপুণ। নানারূপ গৃহকার্য্যেও তাদের বেশ দক্ষত দেখতে পাওয়া যায়। বিবাহের পূৰ্ব্বে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই নিকট এক এক থানি পবিত্র বাইবেল গ্রন্থ না থাকলে পুরোহিত মহাশয় তাদের বিবাহ দিতে আইন অনুসারে অসমর্থ। সুইজারল্যাণ্ডে পুত্ৰকস্তার পিতার স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তিরই সমান ভাগ পায়। এমন কি