পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌধ-রহস্য একদিন সেদিন সকাল বেলা খুব এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। গাছের পাতাগুলো ধুয়ে সাফ হয়ে দিব্যি বাহার বেবিয়েচে । ডাল নাড়া পেলে বৃষ্টির জল ঝুরো ফুলেব মত তখনও ঝুব ঝুব করে ঝরে পড়ছিল,—আমি বাগানের সরু সুরকি-ফেলা লাল রাস্তা থেকে বড় বড় ঘাসগুলো তুলে সাফ কবে ফেলুচি, এমন সময় কৰ্ত্ত এসে আমায় বল্লেন, “ইজ রেল তোমার কি কখনও বন্দুক ছোড়ার সুযোগ হয়েছিল ?” সুযোগ –ভগবান রক্ষে করুন —ও সব মাতুষ-মারার কল-কব্জা আমি কখনও ছুই-ওনি। তবে থাকু এখন আব শিখতে হবে না,—সবারই নিজের নিজের অস্তর আছে, তুমি বোধ হয়, লাঠি চালাতে ভালই পাব ?” - আমি ঘাড় নেড়ে জবাব দিলুম, “এঃ তা কৰ্ত্ত, খুব পারি—এই “বজবে” যত লোক আছে, সবারই সঙ্গে আমি তা খুব লড়তে পারি ।” তিনি বল্লেন, “দেখ, বাড়ীট-ভারী নির্জন । কি জানি, কোন সময হয় ত কোন বদমায়েসের দল আসতে পারে—তাই বলছি আর কি, সব সময় তৈরী থাকা ভাল । তাহলে তুমি, আমি মরডণ্ট আবে ব্রাহ্মসামের ফদারজিল ওয়েষ্ট, দরকার হলে তাকেও খবর দেব – এই চারজনে যত লোকই আস্থক ন তাদের হঠাতে পারব—কেমন পারব না কি ? তুমি কি বল ?” “সে কথা আবাব বলতে ? মৃদ্ধ, টুদ্ধর চেয়ে ভোজ-টোজে আবাম আছে বটে, কিন্তু আমাক যদি আiব এক পাউণ্ড মাইনে বাড়িয়ে দেন ত আমি দুয়েতেই সমান রাজী ।” জেনারেল বল্লেন, “থাক, এ সব কিছু এখনি দরকার নয় । দেখা যাবে ।” আমি যে এক পাউণ্ড মাইনে বাড়ানোব কথা বলে ছিলুম, তাতে তিনি রাজী হলেন । টাকা যেন খোলাম-কুচি ! অবশু চাকর আমরা, মুনিবেব সম্বন্ধে মন্দ ভাব আমাদেব পক্ষে উচিত নয়,—ত বুঝি, কিন্তু যখন একটা মুখের কথায় একদম বাব মাসে বাব পাউণ্ড মাইনে বেড়ে গেল, তখন অপেন থেকেই মনে হল, “মুনিবের হয়ত ভাল উপায়ে রোজগারের টাকা নয়।” আমি যে ভাবী থাবাপ লোক, মানুষকে সন্দেহ করাই যে কি গোয়েন্দাগিবি কব কেবল আমার স্বভাব তা নয় কিন্তু তবুও আমি যে এই সব বলুম বা করলুম তার কারণ, বুড়ে মানুষের বকম সকম,—সারারাত্তির জেগে তার ঘুরে বেড়ানে—এই সব দেখে শুনে আমণব মনে কেমন ভয় লেগেছিল। আর একদিন সকালে, আমি যখন নীচেকার রাস্ত বাট দিচ্ছি, হঠাৎ তখন কৰ্ত্তার ঘরের সামনের দালানে চোখ পড়ে গেল । দেখি, এক গাদা পুরোণে ময়লা পর্দা আর ছেড়া কাপেট পড়ে আছে। ধী কবে মনে একটা মতলব গজাল ! মন বল্লে, “বছ। ইজরেল, তুমি কেন ঐ পর্দাগুলোর ভেতর যখনকাব কথা, তপন