পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెrg& উপমা স্মরণে আসিল । একদিন এমনই বর্ষণক্ষান্ত মেঘের স্তিমিত আলোকে এক মহাকবি লিখিয়া ব্রজবন নদীতীর জাতানি সিঞ্চন্নস্থ নানাং নবজলকণৈ যুথিকাজলকনি। বিশ্ব রচনার আগাগোড়াই সৌন্দর্য্যপূর্ণ, ইহার কোথাও যেন দৈন্ত নাই, তবে যত অভাব দিয়াই কি বিধাতা মানল চিন্ত গড়িয়ছেন । এই সামান্ত বৃষ্টিটুকু জগতের কতখানি তৃপ্তি সাধন করিয়া গেল, কতখানি শোভা সৌন্দর্য্য বৰ্দ্ধিত করিল, কিন্তু এ জীবনের মধ্যে উহার ক্ষীণধার তো কই কোন পরিতৃপ্তি প্রদান করিল না ! মনীশ আপনার মধ্যে অন্বেষণ করিল মনে তাহার কোন ক্ষোভ নাই সত্য কিন্তু আনন্দই বা কোথায়? ওই ছোট পার্থীটীক মত, ওই জলধারাধেীত সবুজ লতাটির মত নম্রশান্ত চিত্ত তাহারই জয় গানে তো আগাগোড় ভরিয়া নাই। কেন থাকে না ? কিসের এ অতৃপ্তি ! অমনই নিৰ্ম্মল অম্লান হৃদয় লইয়া সে তো এ সংসারে এতদিন কাটাইয়৷ দিয়াছে তবে এতদিনে মনের মধ্যে এই কুয়াসার সুক্ষজাল কোন সুযোগে প্রবেশ করিতে আসে ? সে মৃদু শ্বাস ত্যাগ করিয়া আবার কপিসবর্ণ আকাশের পানে চাহিল, অসীম বিশ্বেশ্বরের সন্তান হইয়া হৃদয়ে এই অসীম সঙ্কীর্ণতা বহন করিয়া বেড়ান মানব জীবের পক্ষে একান্তই লজ্জস্কির ! কিসের দৈন্ত । আপনার সত্ত্বাকে সেই সত্য মঙ্গলে শান্ত সুন্দরে নিমজ্জিত করিতে পারিলেই তো সকল অভাব ঘুচিয়া যাইবে। ক্ষুদ্র স্ব বিশাল হইয়া উঠিবে, তবে কেন মুহূৰ্বের ভারতী গিয়াছেন “বিশ্রাস্ত; সনু পৌষ, ১৩২০ তরেও মনে সঙ্কীর্ণ চিন্তার বিষণ্ণতা স্থান পায় ? না না এ ভাবকে প্রশ্রয় দেওয়া হইবে না। সে তৃপ্ত হইবে, আনন্দপূর্ণ রহিবে, মনের কোণেও অভাবকে স্থান দিবে না। ধীরপদে কেহ কক্ষে প্রবেশ করিল, ডাকিল “মনীশ !” “আজ্ঞে !” মনীশ ব্যস্তে গাত্রে থান করিয়া খুল্লতাতের সন্মুখীন হইল। শিবনারায়ণের মুখ অত্যন্ত স্নান, মনের মধ্যে বোধ হয় একটা তুমুল ঝটিকা বহিতে ছিল। প্রথম বাক্য উচ্চারণ করিতে বাধিয়া গেল, শেষে ঈষৎ আত্মদমন করিয়া কহিলেন নন্দবাবুর পালিত কস্তার সঙ্গে সত্যর বিয়েতে তুমি মত দিলে মনীশ, তুমি যাতে খুশী হবে তাতে বাধা দিতে আমার সাধ্য নাই, কিন্তু এ আমার মহা প্রায়শ্চিত্ত হচ্চে জেন মনীশ, তোমার চিরকৌমাৰ্য্য আমার বুকে শেল বিধবে, সতুর বউএর দিকে আমি চেয়ে দেখতে পারব না ।” মনীশ কাতবকণ্ঠে কহিয়৷ “কাকাবাবু!” “না মনীশ তুমি আমায় কি বলবে ? আমি কি জানিনে আমি কি করেছি ! তোমার বাদগত্তা বধূকে কেন আমি তুচ্ছ মানে গৰ্ব্বে অন্ধ হয়ে পাষণ্ডের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম ? এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত আমায় নিতে হবে না ! তুমি বলবে তোমার মনে তার জন্ত এক বিন্দু ক্ষোভ নাই! তাতেই কি আমি কিছু সান্তন পাবো ? না না—সে, আরও যন্ত্রণ ! তোমায় আমি নিখুত দেখতে চাই যে, মনীশের হৃদয় মমতাহীন একথা আমায় উঠিল