পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা তাৎপৰ্য্য আমাদের নিকট এই বলিয়াই বোধ হয় যে, আর্যগণ উত্তরকুরু ছাড়িয়া প্রথমে যে দেশে আসিয়া উপনিবেশ স্থাপন কবেন সেই স্থানটা আমাদের নিকট মধ্য-আসিয়া প্রদেশ বলিয়াই অনুমিত হয়। মধ্য আসিয়াতে উত্তরায়ণ দক্ষিণায়নের সময় ছয়মাসব্যাপী নিরস্তর দিবারাত্রি বর্তমান থাকেন। কিন্তু তদ্বিপবীতে প্রতিদিনই দিবারাত্রি হইয়া থাকে। সুতরাং এইস্থানে উত্তরকুবর স্থায় দক্ষিণয়ন ক’লে দৈবকার্য্যের কোন বাধা হওয়ার কারণ ছিলনা। বৈশুদিগের উপবীত গ্রহণের স্থান আমরা মধ্য আসিয়াতে কেন নির্দেশ করিয়াছি তাহার অপর একটা প্রমাণ আমরা তাহদের উপবীতের উপাদান ও উপনয়ন পবিধেধের উপাদানে প্রাপ্ত হই। মনুসংহিতায় ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের ব্রহ্মচারীর উপবীত ও পরিধেয়ের উপাদান সম্বন্ধে এইরূপ বর্ণনা পাওয়া যায় । “কাঞ্চ বেীরববাস্তানি চৰ্ম্মণি ব্রহ্মচারিণঃ । বঙ্গীরনানুপূৰ্ব্বেন শাণ ক্ষেীমবিকালিচ ॥ ৪১ মেঞ্জী ত্রিবৃত সমাশ্লক্ষ কাৰ্য্যাবিপ্রস্ত মেখলা । ক্ষত্রিয়স্ততু মৌর্যাজ্য বৈশ্বাস্ত শণতাগুকী ॥ ৪২ ২য় অধ্যায় । “ব্রাহ্মণ ব্রহ্মচারী কৃষ্ণসার চৰ্ম্মের উত্তরীয় ও শণবস্ত্রের অধো বসন পরিধান করিলে ; ক্ষত্রিয় ব্রহ্মচাবী রুরু নামক মৃগচর্যের উত্তরীয় ও ক্ষৌমবসন এবং বৈশ্ব ব্রহ্মচাৰী ছাগ চৰ্ম্মেব উত্তবীয় ও মেষলোমের অধোবসন পরিধান করিবে ।”৪১

  • ব্রাহ্মণদিগের সমান গুণ রয়ে নিৰ্ম্মিত, মুখপৃষ্ঠ মুগ্ধময়ী মেঘলা করিতে হয়, ক্ষত্রিয়দিগের মুৰ্ব্বামী ধনুকের ছিলার স্তায় ত্রি গুণিত

উত্তর কুরুবাস > 0 bo এবং বৈশ্বের শণতন্তু নিৰ্ম্মিত ত্রি গুণিত মেখলা করিতে হয়।”৪২ এখানে বৈশুদিগের ছাগ চৰ্ম্মের উত্তরীয় ও মেষলোমের অধোবসনের উল্লেখ দ্বারা ইহারা যে পশুপাল জাতি ছিলেন তাহ স্পষ্টই বুঝিতে পাব যাইতেছে। মধ্য আসিয়াতেই আমরা পশুপাল যাযাবব (nomadio) জাতির বাসের বিবরণ জানিতে পারি। মধ্য আসিয়ার সুবিশাল তৃণক্ষেত্র পশুচারণের উপযোগী বলিয় তাহ পশুপাল জাতির পক্ষে বিশেষ অনুকুলই হইয়াছিল। ঋগ্বেদেব একটা স্তোত্রে আর্য্যগণ র্তাহদিগকে তৃণময় দেশে লইয়া যাইবার জন্ত পুষার নিকট প্রার্থনা করিতেছেন এইরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়— “অভি মুখবসং নয় ন নবজারে অধবনে । পুষন্নিহ ক্রুতুং বিদঃ ॥"৮ ৪২ স্বত্ত ১ম মণ্ডল । “শোভনীয় তৃণযুক্ত দেশে আমাদিগকে লইয়া যাও, পথে যেন নুতন সন্তান না হয়, হে পুষা | তুমি (পথে) আমাদিগের রক্ষণের উপায় অবগত হও ।” ‘এস্থলে রমেশবাবু টীকায় লিথিয়াছেন :“এই স্থক্তের কোন কোন ঋক্, বিশেষ ৮ ঋক্ হইতে প্রতীয়মান, হয় যে সে সময়ের হিন্দু আর্য্যদিগেব মধ্যে কোন কোন অংশ মেঘপালক ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া স্বন্দর তৃণ অন্বেষণে স্থানে স্থানে ভ্রমণ করিত। পুষ বিশেষরূপে তাহাদিগেরই রক্ষক, অতএব তিনি ভ্রমণে পথপ্রদর্শক। সেকালে ভ্রমণে কিরূপ বিপদ আপদ ছিল তাহাও এই স্বত্ত হইতে জানা যায় ।” “ঋগ্বেদ মুবাদ ১০৪ পুঃ ।