পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షీ eye : মাঘ, ১e২• জাপানীদের রান্নাঘর । যায় না। ঘরের এক পাশে এক তাকের উপর কয়েকটি চীনা মাটিব পেয়ালা, ভাত তুলিয়া খাওয়ার জন্ত কয়েকট কাষ্ঠ ফলক ( হালি ), ছোট ছোট কয়েক খান প্লেট, এবং চীনা মাটির কেটলি ( দোবিন্ত ) এতদ্ব্যতীত সঞ্জী কাটিবার জন্ত ছোট একখানা কাঠের পিড়ি এবং একথান কাটারি। এই হইল উহাদের রান্নাঘরের সমস্ত শরঞ্জাম । প্রতি প্রাচীনকাল হইতেই জাপানীর), রান্না করিতে কাষ্ঠের পরিবর্তে কাঠ কয়ল। ব্যবহার করিয়া আদিতেছে। আশচর্যের বিষয় যে, অনেক দিন হইতেই ধূম নির্গমেব জন্ত বিজ্ঞানসন্মত চিমনি উহাদের রান্নাঘবে ংযোজিত। বড় বড় সহরে যেখানে জলের কল আছে সেখানে রান্নাঘরের ভিতরেই পাইপে জল নেওয়ার বন্দোবস্ত রাখা হয় । এমন কি অনেক জায়গায় গ্রামের ভিতরও বঁশের পাইপের সাহায্যে রান্নাঘৰে জল লইতে দেখিয়াছি । - ভাত উহাদের প্রধান খাদ্য। সকলেই আতপ তণ্ডুলের ভাত খাইয়া থাকে। উহাদের ভাত অতি সুস্বাদু। উহার ফেন গালে না। উহাতে আমাদের ভাতের চেয়ে শ্বেতসার অধিক থাকিয়া যায়। কয়েক বৎসব পূর্বে তোকিও কৃষিকলেজের এক অধ্যাপক ভারতে ধান্তকৃষি পরিদর্শনে বাহির হইয়াছিলেন, সে সময়ে আমি ঐ কলেজেই ছিলাম। তিনি দেশে প্রত্যাবর্তনের পর একদিন আমাদের ক্লাশেই ভারতের ভাত ও চাপাটি সম্বন্ধে বক্তৃতা দেন। বক্তৃতীকালে যে সময় তিনি বলিলেন যে, ভারতবাসী চাউলের সহজ পাচ্য সারফল নষ্ট করিয়া ফেলে, তাহারা ভাতের ফেন ফেলিয়া দেয় । তখন ক্লাশের সমস্ত ছাত্রই আমার দিকে তাকাইয়া হাততালি দিতে লাগিল। আমি হয়ত কিছু মনে করিতে পারি—অধ্যাপক মহাশয় তাই বিষয়ট অন্তভাবে চালাইতে প্রয়াস পাইয়। আমাকেই ভাত রান্নার প্রণালী বর্ণনা করিতে বলিলেন। আমি বলিলাম “সম্ভবত অধ্যাপক মহাশয়