পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা মহাদাজী সিন্দে সালবাই সন্ধিসাধনে মারাঠী পক্ষে সিন্দে প্রধান উদ্যোগী— মঙ্গদাজী সিন্দে এই সন্ধিস্থত্রে সিন্দিয়ার গুমর বাড়িয়া উঠিল । মহাদাজী প্রথমে সামন্ত পাটেল ছিলেন,গায়ের মোড়ল বৈ নয়— পেশওয়া সরকারে চাকর ; এই ক্ষণে তিনি স্বাধীন রাজা, মাবাঠী সর্দারদের অধিনায়ক হইয় দাড়াইলেন । উত্তরোত্তর তাহার পদ বৃদ্ধি, বলবৃদ্ধি, ঐশ্বৰ্য্য বিস্তাব হইতে চলিল । এই মহাদাজী সিন্দে মহাবাষ্ট্রে বিপুল কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন—জাতীয় বীরের মধ্যে ইনি শিবাজীর নীচেই গণনীয়। মহাদাগী সিন্দে উত্তর হিন্দুস্থানে স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করত পানিপতের কলঙ্ক মোচনে ব্ৰতী হইলেন । সময় অনুকুল । মোগল রাজ্য জীর্ণ শীর্ণ ভগ্নচুর্ণ, চতুর্দিকে অরাজকতা—যার বল তারই জয়, জোব যার মুলুক তাব । কিন্তু এই সকল সত্ত্বেও দিল্লী সিংহাসনেব উপর লোকের আটল অনুরাগ। দিল্লীশ্বর বীর্য্যহীন ঐশ্বর্য্যহীন কিন্তু তাহার নামে সকলেই মোহিত, তাহার সহযোগী হইয়৷ কাৰ্য্য কবিতে লোকে উৎসাহিত, তাহার প্রদত্ত মানাজনে মহা মহা আমীরও আপনাকে গৌরবান্বিত মনে কবেন, সিন্দিয়াও অবসর বুঝিয়া কাৰ্য্যারম্ভ করিলেন। দিল্লীর বাদস সা আলম। র্তাহার উজীর নজফ খার সম্প্রতি মৃত্যু হইয়াছে, এই ঘটনায় উজীর পদের জন্ত মহা বিবাদ বিসস্বাদ চলিতেছে । নজফের উত্তরাধিকারী আফ্রাসিয়াব । মহম্মদবেগ তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী, এই প্রতিদ্বন্দ্বী দমন মানসে আফ্রাসিয়াব সিন্ধিয়াকে ডাকিয়া পাঠান। মন্ত্রীর আমন্ত্রণে সিন্দে সৈন্ত সামন্ত সমভিব্যাহারে আমার বোম্বাই প্রবাস و مob < আগ্ৰায় গিয়া বাদসাহের সহিত সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু পরে আফ্রিাসিয়াব শক্রহস্তে নিহত হওয়াম রাজ্যবিপ্লব দ্বিগুণতর জলিয়া উঠিল । সকলেই পিন্দিয়ায় দিকে তাকাইয়া, সিনিয়ার সাহায্যে নিজ নিজ কাজ সাধিবার চেষ্টায় ফিরিতেছে । সিন্দিয়া দিল্লী প্রয়াণ করিয়া পেশওয়ার জন্ত “বাদসাহী উজীর” পদবী আদায় করিংে ন,— স্বয়ং বাদসাহী সেনাপতি পদ গ্রহণ করিলেন। সৈন্ত সংবক্ষণে আগ্রা দিল্লীর রাজস্ব নিয়োজিত হইল, এষ্টরূপে গঙ্গা যমুনার মধ্যবৰ্ত্তী দোআব প্রদেশ তাহার বশবৰ্ত্তী হইল । বাদসাসৈন্ত মাঝে সঙের মত এদিক ওদিক ফিরিতে লাগিলেন—সিন্দিয়া মথুরাধামে নিজ নিকেতন স্থাপন করিলেন । সিদিয়ার মথুবা প্রবাসকালে ব্ৰিটিষ গবর্ণমেণ্ট পুণ দরবারে একজন রেসিডেন্ট বসাইবার চেষ্টায় মহারাজা সিন্দে সন্নিধানে দূত প্রেরণ কবেন । ব্ৰিটিষ দূত ম্যালেট সাহেব মথুরায় সিন্দের সহিত সাক্ষাৎ করেন । মোগল সম্রাট স আলম তখন সিন্দের ক্যাম্পে, তাহার সহিত ও সাক্ষাৎ হয়। কয়েক বৎসরের মধ্যে কি অগাধ পরিবর্তন ! ৪০ বৎসর পূৰ্ব্বে মারাঠী বীরের তাছাদের কোটর হইতে বিনির্গত হইয়া ভারত ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয় । তখন দিল্লীশ্বরের মহিমা মিহিরে দিকৃবিদিক্ ঝলসিত । সেকাল আর একাল ! এই অল্পকাল মধ্যেই তাহার সমস্ত মহিমা অস্তমিত হইয়াছে। সেই দিল্লীসম্রাট এখন বর্গীদের অনুগ্রহ ভিখারী, সিন্দিয়ার ক্যাম্পে আবদার করিতে श्रानिब्रांप्छ्न । cम शाश हडेक, निह्नाग्न প্রসাদে ব্রিষি দৌত্য সফল হইল ।