পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? sbro তাহার কারামুক্তি হয়, তাহার সহিত দেথা সাক্ষাৎ আলাপ পরিচয় হয়, পেশওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা । নানার মত ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি জানেন রাঘোবাই যত অনর্থের মূল—ওঁtহার পুত্রদের প্রশ্রয় দিলে রাজ্যের অনিষ্ট বই ইষ্টসিদ্ধির সম্ভাবনা নাই । তিনি এই ভাবে পেশওয়াকে যতই বুঝাইবার চেষ্টা করেন, ভ্রাতার প্রতি অনুরাগ র্তাহার ততই আরো বৃদ্ধি হয়। মাধবরাও অবসর বুঝিয়া বাজিরাওকে চরের হাত দিয়া পত্র লিখিয়া পাঠান, এইরূপে গোপনে তঁtহাদের পত্রব্যবহার প্রবর্তিত হয় । এক পত্রে বাজিরাও লেখেন “আমরা দুজনেই বন্দী, তুমি পুণায় আমি জুনরে ; কিন্তু আমাদের মন স্বাধীন—ভালবাসার উপর পরের কোন অধিকার নাই। যদি আমাদের পরম্পরের ভ্রাতৃসৌহার্দ অটল থাকে, আমর যদি আমাদের পিতৃপিতামহের কীৰ্ত্তি রক্ষা করিয়া চলি, সময়ে আমরাও কৃতী হইব ।” নানা এই ব্যাপার জানিতে পারিয়া রাগে জলিয়া উঠিলেন, বাজিরাওয়ের বন্ধন দ্বিগুণিত করিলেন, মাধবরাওকে নানা প্রকারে তিরস্কার করিতে লাগিলেন । মাধবরাও রাগ করিয়া ঘরে বন্ধ হইয়। রছিলেন। দশ বার দিন দস্তুর মত দরবার হইল । পেশওয়া যদিও বাধ্য হইয়া সে উৎসবে যোগ দিলেন, কিন্তু কিছুতেই তাহার ভারতী মাঘ, ১৩২৪ মনের কষ্ট নিবারণ হইল না । তিনি জীবনের প্রতি আস্থাশূন্ত উদাস হইয়া উৎসবের দুদিন পরে প্রাসাদের ছাতের উপর হইতে পড়িয়া আত্মহত্যায় প্রাণত্যাগ করিলেন । পেশওয়া বাজিরাও >° のや一ー>b〜>? এই ঘটনায় পুণায় হুলস্থূল বাধিয়া গেল । রাজ-সিংহাসনে কে বসিবে এই এক বিষম সমস্ত । রাখোবার জ্যেষ্ঠ পুত্র বাজিরাও তাহার হায্য অধিকারী, কিন্তু মন্ত্রীবর্গের মধ্যে আর এক প্রস্তাব উঠিল । র্ত্যহাদের মন্ত্রণ এই যে, মৃত মাধবরাওয়ের পত্নী যশোদাব ই বাজিরাওয়ের কনিষ্ঠ চিমনাজীকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করেন এবং চিমনাজীকে পেশওয়া পদে অভিষিক্ত করা হয় । নান এই প্রস্তাবের পোষকতা করিলেন, তাছা কাৰ্য্যেও পরিণত হইল । এদিকে আবার দৌলতরাও সিন্দে বাজিরাওয়ের পক্ষ গ্রহণ করায় অবশেষে সেই পক্ষেরই জয় হইল । এইরূপে অশেষ উৎপাতের হস্ত এড়াইয়৷ ৪ঠা ডিসেম্বর ১৭৯৬ সালে বাজিরাও পেশওয়া সিংহাসনে অধিরূঢ় হইলেন । নানাও বিস্তর ফাড় কাটাইয় পরিশেষে প্রধান মন্ত্রীপদে নিযুক্ত হইলেন । বাজিরাও পেশওয়া —নানা ফর্ণবীস তাহার দেওয়ান । শ্ৰীসত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।