পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাগদত্তা (こレ) মানব অন্তঃকরণেব নিভৃত কন্দবে প্রবেশ পূৰ্ব্বক তাহাব মানসলিপিপাঠ চেষ্টাব মত এ সংসাবে বোধ হয় অপব কোন কঠিন চেষ্টাই নাই । কি গভীব বহস্তে, কি জটিলতায় পূর্ণ কবিয়া বিধাত৷ এই মানবচিত্তকে নিৰ্ম্মাণ কবিয়াছেন ইহা স্থিবচিত্তে অনুধাবন করিয়া দেখিলে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইতে হয় ! যে মানবচিত্ত আত্মচৈতন্তের অবস্থিতি, গৌরবে উজ্জ্বল আনন্দময় ও মহৎ তাহাই নিজেব কৃত জটিল পাপান্ধকাবে ঘুণ্য বীভৎস কুৎসিত। এ জগতে সমুদ্রের বিশালতায় আমবা বিস্মিত হই অনন্ত আকাশেব বিশালতর মূৰ্ত্তি আমাদের চিত্তকে স্তম্ভিত কবে কিন্তু এই অসীম মানবচিত্তেব বিশালতম পবিচয় আমাদেব সমস্ত হৃদয়কে এককালে অভিভূত কবিয়া দেয়। একটি ক্ষুদ্র হৃদয়েরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ দ্বাব৷ যদি কেহ কাব্য লিখিতে বসেন তবে নিঃসন্দেহ সে কাব্য জগতেব সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্যকেও পবtভব করিতে সমর্থ হইলে । কেন না মানবচিত্তে যাহা নাই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথাও তাঙ্গা খুজিয়া পাওয়া যাইবে না । শচীকান্ত জীবিত দেহে প্রাণচীনলত বহুক্ষণ সেই বেঞ্চের উপবেই বসিয়া বহিল। যে পবিত্র নাম সে সারাজীবনে অবলম্বন করিয়াছিল কবালীচবণের মুথে তাহা অকস্মাৎ উচ্চারিত হইবার পব হইতেই সে যেন মূছ। প্রাপ্ত হইয়াছিল। মানুষেব অবস্থা বিশেষে বিষ অমৃত ও অমৃত বিষে পরি ণত হইয়া যায় । ট্রেন আসিল, মঙ্গকায় দৈতে্যুব দ্যায় সে নিজের বিবাট উদরগহববে কতকগুলা লোকজনকে ভরিয়া গৰ্জ্জনশব্দে বিদায় লইল, সন্ধ্যা ও শুক্রতাবা তাহারই কুক্ষিতলে বিলীন হইয়া গেল, তথাপি শচীকাস্তেব সৰ্ব্বশৰীবের কম্পন থামিল না । একটা যে প্রবল ঝটিকা ভিতর হইতে দুৰ্ব্বল দেবদারুব মত তাহাকে সঘনে কঁপাইতেছিল তাহা তাহার বিবেক ও স্বার্থেব সঙ্ঘর্ষ। প্রথম মুহুর্তে সে মনে করিল “এপনই শিবনারায়ণকে গিয়া খবব দিই, তিনি ইতাদেব হস্ত হইতে মনীশেব বাগদত্তাকে মুক্ত কবিয়া লউন । বুঝিলাম এব্যক্তি অতি নীচ ইহার অভিপ্রায় ভাল নয়, অর্থেব জন্ত এ সব কবিতে পারে ” কিন্তু এ চিন্তা তাহার চিত্তে স্থায়ী হইল না, প্রথমকাব এ মহত্বকে চাপ দিয়া ভিতব হইতে স্বার্থ হাকিয়া উঠিল “বহ, বহু এত ব্যস্ত কেন ? ভাবিয়া দেখা যাকৃ— সত্যসত্যই ইহা অবশ্যকীয় কি ল । এইখানেই দেবদানবে, যমদূতে বিষ্ণুদূতে সমব বধিল । বিবেক বলিল “ভাবিলে আবার কি ? কৰ্ত্তব্য পালনে বিলম্ব অবিধেয়”। স্বার্থ আপার ঘোব ববে আপত্তি তুলিল “কৰ্ত্তব্যই তো কবিতে চাই, কমলা মনীশের বাগদত্ত কিসেব, তাহাব যথার্থ অভিভাবক বহুপূৰ্ব্বে তাহাকে আমায় দিয়াছিলেন, তাহাব উপব মনীশেব কিসেব অধিকাব ?” বিবেক এ যুক্তি খণ্ডনের চেষ্টায় অনেক শরক্ষেপ করিল কিন্তু এ অভেদ্য বৃহভেদ করিয়া সে ভিতরে প্রবেশ কবিতে সক্ষম হঠল ন, সপ্তরপাতে দেখানে প্রবেশপথ