পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা কোন শক্তিই আমাদের নাই। ইংলণ্ডের রাজতন্ত্রই এই প্রতিবিধানের মহামন্ত্র প্রচার করিতে পারেন। সেখানকার শাসনকর্তাগণ এখনও কেন এ সম্বন্ধে পশ্চাৎপদ-—এখনও কেন ভারতীয় প্রজা উৎপীড়িত হইতেছে ? সহানুভূতিস্থচক বাৰ্ত্তা, উৎসাহের অভয়বাণী অনেক শুনিতেছি—কিন্তু কথা কেন কার্য্যে পরিণত হইতেছে না ? যে মহা সামাজ্যের অধীনে ৫০ কোট প্রজার বাস—যে রাজার রাজ্যে সুর্য্যদেবের অস্ত নাই—সেই সাম্রাজ্যের অধিনায়কগণ মুষ্টিমেয় ঔপনিবেশিকের বিরুদ্ধে স্তায়ের শাসনদণ্ড উত্তোলন করিতে অক্ষম ইহা অপেক্ষ অবোধ্য এবং ভয়ানক ব্যাপার কি হইতে পারে ? — এ ব্যাপারে প্রত্যেক ভারতবর্ষীয়ের মনে বিভীষিকার সঞ্চার হইতেছে । যে মহা সাম্রাজ্যাধীনে আমরা সকলেই বসবাস করিতেছি তাহারি প্রধান বর্গ উদাসীন ভাবে দাড়াইয়া আছেন—-আর আঘাতের পর নিৰ্ম্মমতর আঘাত বর্ষিত হইয়া ভারতীয়দিগকে ধূলিশায়ী করিতেছে। এই উদাসিন্ত উভয় সাম্রাজ্যের মধ্যে দারুণ বিরূপতার স্বষ্টি করিতেছে- ব্রিটিশ রাজ্যচালকদিগের উন্নত, দৃঢ়, চরিত্রবলের প্রতি সন্দেহ জন্মাইয়া দিতেছে । এই ঔদাসিন্তের বলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিয়ান মনে করিতেছে যে তাহাদিগের কার্য্য প্রণালীর সহিত ব্রিটিশ হোমগভর্ণমেণ্টের কোন বিরোধ নাই—ৰ্তাহারা ইউনিয়ানেরই স্বপক্ষ । আমি ৰলি ইউনিয়ানকে উপেক্ষা কর--অন্ত উপায় নাই—বুয়ারগণ কখনই হায়ত সদব্যবহারের দাবী গ্রাহ করিবে না,—তাহারা জানে জাতীয় মহাসমিতি ››8ፃ ভারতবাসীদিগের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাইবার জন্তই যুদ্ধের অবতারণা হয়,- তাহারি ফলে, তাহাদিগের পূর্বের স্বাধীনতা যায়। ভারতীয় প্রজাদিগের এ দুৰ্গতির জন্ত ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট বিশেষরূপে দায়ী। ইহা যে ঘটবে তাহা তাহার পূৰ্ব্বেই অবগত ছিলেন ; পূৰ্ব্বেই আইনের দ্বারা ইহার সম্ভাবনা দূর করিতে পারিতেন। বুয়ারদিগকে স্বায়ত্তশাসন দান করিবার সময়ই তাহ করা উচিত ছিল— কিন্তু করা হয় নাই, এখন আর উপায় নাই। প্রতিশোধ পন্থা অবলম্বনই সৰ্ব্বাপেক্ষা ফলপ্রস্থ হইবে আমার ধারণ । নেটাল হইতে যাঠাতে আমাদের দেশে আর কয়লা না আসিতে পারে—এবং সেখানকার শ্বেত বর্ণ প্রজ যাহাতে এ দেশের সিভিল সাৰ্ব্বিসে কার্য্য ন পায় তাহা করিলে তবেই কতক প্রতিবিধান হয় । ভারত গভর্ণমেণ্ট এই অস্ত্র ধারণ করিলেই সেখানকার দস্তুবল অনেক হ্রাস হুইয়া আসিবে সন্দেহ নাই । অবিলম্বে এ অস্ত্র ধারণ করা আবশুক । ইহাতে স্থায়ী ফল হইবে না, ক্ষণিকের জন্ত তাহাদিগকে উত্তেজিত করা হইবে মাত্র, কিন্তু ইহার নৈতিক ফল ভারতবাসীদিগের পক্ষে বিশেষ উপকারী হইবে সন্দেহ নাই—এবং ইউনিয়ন গভর্ণমেণ্ট যে এ অস্ত্রপাতে সম্পূর্ণ অবিচলিত থাকিতে পরিবে তাহাও মনে হয় না । এইরূপ শাস্তিবিধান-নীতি অনুসরণ করিলে আর কিছু না হউক সমগ্র পৃথিবী জানিতে পরিবে ভারত গভর্ণমেণ্ট ভারতীয় প্রজাদিগের দুঃখ কষ্টে উদাসীন নহে—প্রজার অত্যাচার তাহার। কখনই মানিয়া লইবেন না । শাস্তি বিধান হয় ত