পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা ত “না” নন, তিনি যে নিবিড় নিরবচ্ছিন্ন *হঁ|”—তাই ত তাকে ওঁ বলে ধ্যান কর। হয়—ওঁ যে হা, ওঁ যে যাহ! কিছু আছে সমস্তকে নিয়ে অখণ্ড পরিপূর্ণত । আমাদের মধ্যে প্রাণ জিনিষটি যেমন—কথা দিয়ে যদি তাকে ব্যাখ্যা করতে যাই তবে দেখি প্রতি মুহূর্তেই তার ধ্বংস হচ্চে, সে যেন মৃত্যুর মালা ; কিন্তু তর্ক না করে আপনার ভি তরকার সহজবোধ দিয়ে যদি দেখি তবে দেখতে পাই আমাদের প্রাণ তার প্রতি মুহূৰ্ত্তের মৃত্যুকে অতিক্রম করে রয়েছে, মৃত্যুর “ন।” দিয়ে তার পরিচয় হয় না, মৃত্যুর মধ্যে সেই প্রাণই হচ্চে “হঁ৷” । সামার মধ্যে অসীম হচ্চেন তেমনি ঔ; —তর্ক না করে উপলব্ধি করে দেখলেই দেখা যায় সমস্ত চলে যাচ্চে সমস্ত স্থলিত হয়ে যাচে বটে কিন্তু একটি অখণ্ডতার বোধ আপনিই থেকে যাচে । সেই অখণ্ডতার বোধের মধ্যেই আমব সমস্ত পরিবর্তন সমস্ত গতায়াত সত্ত্বেও বন্ধুকে বন্ধু বলে জানচি । নিরন্তর সমস্ত চলে-যাওয়াকে পেরিয়ে থেকে - ষাওয়াটাই আমাদের বোধের মধ্যে বিরাজ করচে । বন্ধুকে বাইরের বোধের মধ্যে আমরা খণ্ড খণ্ড করে দেখচি, কখনো আজ, কখনো পাচ দিন পরে, কখনো এক ঘটনায় কখনো অন্ত ঘটনায়, তার সম্বন্ধে আমাদের বাইরের ইন্দ্রিয়-বোধটাকে জড়ো করে দেখলে তার পরিমাণ অতি অল্পই হয়, অথচ অন্তরের মধ্যে তার সম্বন্ধে যে একটি নিরবচ্ছিন্ন বোধের উদয় হয়েছে তার পরিমাণের আর অস্ত নেই, সে আমার সমস্ত প্রত্যক্ষ জানার কুল ছাপিয়ে কোথায় চলে গেছে ; যে কাল গত সে কালও তাকে ধরে রাখেনি, যে কাল ছোট ও বড় ১১৫৯ অনাগত সে কালও তাকে ঠেকিয়ে রাখেনি, এমন কি, মৃত্যু ও তাকে আবদ্ধ করেনি। বরঞ্চ বন্ধুকে ক্ষণে ক্ষণে ঘটনায় ঘটনায় ৰে ফাক ফাক কবে দেখেছি সেই দেখাগুলিকে সুনির্দিষ্ট ভাবে মনে আনতে চাইলে মন হার মানে কিন্তু সমস্ত খণ্ড জানার সীমাকে সকল দিকে পেরিয়ে গিয়ে আমার বন্ধুর যে একটি পবম অনুভূতি অসীমের মধ্যে নিবন্তরভাবে উপলব্ধ হয়েছে সেইটেই সহজ ; কেবল সহজ নয়, সেইটেই আনন্দময় । আমাদের প্রিয়জনের সমস্ত অনিত্যতার সীমা পূরণ করে তুলেছে এমন একটি চিরন্তনকে যেমন অনায়াসে যেমন আনন্দে আমরা দেখি তেমনি কবেই যারা আপনার সহজ বিপুল বোধের দ্বাবী সংসারের সমস্ত চলার ভিতরকার অসীম থাকাটিকে একান্ত অনুভব করেছেন, র্তা বাই বলেছেন, এষাস্ত পরম গতিঃ এষাস্ত পরম সম্পং, এষে{হস্ত পরমোলোকঃ এষোই স্ত পরম আনন্দঃ । এ ত জ্ঞানীর তত্ত্বকথা নয়, এযে আনন্দের নিবিড় উপলব্ধি । এষঃ, এই যে ইনি, এই যে অত্যন্ত নিকটের ইনি, ইনিই জীবের পরমাগতি, পরম ধন, পরম আশ্রয়, পরম আনন্দ ;–তিনি একদিকে যেমন গতি আর একদিকে তেমনি আশ্রয়, একদিকে যেমন সাধনার ধন, আর একদিকে তেমনি সিদ্ধির আনন্দ । কিন্তু আমাদের লৌকিক বন্ধুকে আমরা অসীমতার মধ্যে উপলব্ধি করচি বটে তবু সীমার মধ্যেই তার প্রকাশ, নইলে তার সঙ্গে আমার কোনো সম্বন্ধই থাকৃত না। অতএব অসীম ব্রহ্মকে আমাদের নিজের উপকরণ দিয়ে নিজের কল্পনা দিয়ে আগে নিজের মত