পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৫৮ - পেয়েছে । সে দেখা ত সহজ দেখা নয়, সমস্ত অভাবকে পরিপূর্ণ করে দেখা, সমস্ত সীমাকে অতিক্রম করে দেখা । মানুষ সেই দেখা দেখেছে বলেই ত তার সকল কান্নার অশ্রুজলের উপরে তার গৌরবের পদ্মটি ভেসে উঠেছে, তার দুঃখের হাটের মাঝখানে তবে এই আনন্দ-সম্মিলন। একদিকে মানুষেরা কত ক্ষুদ্রতায় চারিদিকে বন্ধ কিন্তু “তে সৰ্ব্বগং সৰ্ব্বতঃ প্রাপ্য ধীর। যুক্তাত্মানঃ সৰ্ব্বমেবাবিশন্তি” তারাই সেই সৰ্ব্বব্যাপীকে সৰ্ব্বত্র হতে পেয়েছে এবং তার সঙ্গে আপনাকে মিলিত করে সর্বত্র প্রবেশ লাভ করেছে—এ সংবাদটি গোপন থাকবার নয়, এই কথাটি স্মরণ করবার জন্তে মানুষ তার সকল কাজের দিনের মাঝখানে একটি উৎসবের দিন করবে। কিন্তু বিমুখ চিত্ত ত আছে, এবং বিরুদ্ধ বাক্যও শোনা যায়। এমন কোন মহৎ সম্পৎ মানুষের কাছে এসেছে যার সম্মুখে বাধা তার পরিহাস-কুটিল মুখ নিয়ে এসে দাড়ায় নি ? তাই এমন কথা শুনি, অনন্তকে নিয়ে ত আমরা উৎসব করতে পারিনে, অনন্ত যে আমাদের কাছে তত্ব কথামাত্র। বিশ্বের মধ্যে তাকে ব্যাপ্ত কবে দেখব, কিন্তু লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রেব মধ্যে যে বিশ্ব নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে, যে বিশ্বের নাড়ীতে নাড়ীতে আলোক-ধারীর আবৰ্ত্তন হতে কত শত শত বৎসর কেটে যায় সে বিশ্ব আমার কাছে আছে কোথায় ? তাইত সেই অনন্ত পুরুষকে নিজের হাত দিয়ে নিজের মত করে ছোট করে নিই, নইলে র্তাকে নিয়ে আমাদের উৎসব করা চলে না। ভারতী શઃ, ૭૭૨માં এমনি করে তর্কের কথা এসে পড়ে । যখন উপভোগ করিনে, যখন সমস্ত প্রাণ দিয়ে উপলব্ধি করিনে তখনই কলহ করি । ফুলকে যদি প্রদীপের আলোয় ফুটুতে হত তাহলেই তাকে প্রদীপ খুজে বেড়াতে হত কিন্তু যে স্বৰ্য্যের আলো আকাশময় ছড়িয়ে ফুল যে সেই আলোয় ফোটে, এই জন্তে তার কাজ কেবল আকাশে আপনাকে মেলে ধরা । আপন ভিতরকার প্রাণের বিকাশ-বেগেই সে আপনার পাপড়ির অঞ্জলিটিকে আলোর দিকে পেতে দেয়, তর্ক করে পণ্ডিতের সঙ্গে পরামর্শ করে এ কাজ করতে গেলে দিন বয়ে যেত। হৃদয়কে একান্ত করে অনন্তের দিকে পেতে ধরা মানুষের মধ্যেও দেখেছি, সেইখানেই ত ঐ বাণী উঠেছে, বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তং আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাৎ, আমি সেই মহান পুরুষকে দেখেছি যিনি অন্ধকারের পরপর হতে জ্যোতিৰ্ম্ময় রূপে প্রকাশ 外忆瓦可1 তর্কযুক্তির কথা হলন— চোখ যেমন করে আপনার পাতা মেলে দেখে, এ যে তেমনি করে জীবন মেলে দেখা । সত্য হতে অবচ্ছিন্ন করে যেখানে তত্ত্বকথাকে বাক্যের মধ্যে বাধা হয় সেখানে তা নিয়ে কথা-কাটাকাটি করা সাজে কিন্তু দ্রষ্ট যেখানে অনন্ত পুরুষকে সমস্ত সত্যেরই মাঝখানে দেখে বলেন—এষঃ, এই যে তিনি, সেখানে ত কোনো কথা বলা চলে না। সীমা শব্দটার সঙ্গে একটা “না” লাগিয়ে দিয়ে আমরা “অসীম।” শব্দটাকে রচনা করে সেই শব্দটাকে শূন্তাকার করে বৃথা ভাবতে চেষ্টা করি, কিন্তু অসীম آتا ہی