পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা অনুরোধ করিলেন, তাহাকে মধ্যস্থ মানিবার ঔৎসুক্য দেখাইলেন, কিন্তু তিনি সে অনুরোধ না মানিয়া কয়েক দিবসের মধ্যে পুণ ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন। হোলকর তখন স্বীয় অভীষ্ট সিদ্ধির পূর্ণ অবকাশ পাইলেন ও মনের সাধে নগর লুণ্ঠন করিয়া লইলেন। বাজিরাও হেলিকরের বিজয়বর্তী শুনিয়া প্রাণভয়ে পলায়ন করিলেন । পুণা হইতে সিংহগড়, সিংহগড় হইতে রায়গড়, রায়গড় হইতে রত্নগিরির সমীপস্থ সুবর্ণদুর্গ, পরিশেষে ব্রিটিষ পোতে বাসীনে উত্তীর্ণ হইয়া ইংরাজ চরণে আত্মসমপণ করিলেন । ডিসেম্বর মাসের শেষ দিনে বাসীনপন্ধি । বালীনসন্ধি ৩১ ডিসেম্বর ১৮০২ এই সন্ধিযোগে পেশওয়ার স্বাধীন রাজ্য বিলুপ্ত হইল। সন্ধির মৰ্ম্ম এই, ইংরাজের পেশওয়াকে পৈতৃক সিংহাসনে বসাইয়া দিবেন, —পেশওয়া স্বীয় রাজধানীতে ব্রিটষ সৈন্ত পোষণ করিবেন এবং তাহার ব্যয় নিৰ্ব্বাহার্থে যাহাতে ২৬ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় হয় এমন ভূমিসম্পত্তি বন্ধক রাখিবেন । ব্ৰিটিষ গবর্ণমেণ্টের অনুমতি ব্যতীত সন্ধি বিগ্রহে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবেন না। এইরূপে স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দিয়া বাজিরাও পুণায় প্রত্যাগত হইলেন । র্তাহার মসনদ প্রাপ্তি ঘোষণার্থে ১৯ তোপধ্বনি হইল। প্রকৃতপক্ষে এ র্তাহার সম্মানার্থে নহে, ইহু! ইংরাজদের রাজ্যলাভস্থচক জয়ববনি । বাজিরাও সিংহাসন ফিরিয়া পাইয়া যে বিশেষ কিছু লোভনীয় সামগ্ৰী লাভ করিলেন, তাহা নহে। তাহার রাজ্যের অবস্থা তখন আমার বোম্বাই প্রবাস >)v総 অতীব শোচনীয় । কায়দা নাই, কামুন নাই, কোন প্রকার শাসন নাই—প্রজাদের যে ভয়ানক দুর্দশা তাহ কহন্তব্য নয়, পুণার আশপাশ পল্লীগ্রাম সকল দম্য তস্করের আবাস —রাজপুরুষেরা তাহদের লুটের ভাগী ও প্রশ্রয় দাতা । পেশওয়ার নিজের রাজ্য শাসনের ক্ষমতা নাই । পুণা দরবাবে অপর কোন যোগ্য শাসনকৰ্ত্তার ও নাম গন্ধ নাই । বাজিরাও ইন্দ্রিয়পরায়ণ বিলাসী ছিলেন, তাহার নিজের আমোদ প্রমোদের জন্ত অর্থ সংগ্রহ করাই তাহার রাজত্বের একমাত্র উদ্দেশু । আদালত নাম মাত্ৰ—যাহার পয়সা তাহারই জয় । ত্রিম্বক জী দুর্ভাগ্য ক্রমে ত্রিম্বক জী জাঙলিয়া নামক এক ব্যক্তি আবার তাহার মোসাহেব ও দুৰ্ম্মন্ত্ৰী আসিয়া জুটিল । যেমন রাজা তার উপযুক্ত মন্ত্রী । যেমনট চাই বাজীরাও তেমনি ভূত্য পাইলেন । এই সময়ে পেশওয়া ও গাইকওয়াড় সরকারের মধ্যে রাজস্ব সম্বন্ধে বিবাদ উপস্থিত । গাইকওয়াড়ের তরফ হইতে গঙ্গাধর শাস্ত্রী এই বিবাদভঞ্জন কার্য্যে পুণায় আগমন করেন । ব্ৰিটিষ গবর্ণমেণ্টকে তাহার প্রাণ রক্ষার জন্ত দায়িত্ব স্বীকার করিতে হইল। শাস্ত্রীর আগমন পেশওয়ার মনঃপূত হয় নাই । তাই বাহিরে যতই ভদ্রতচারণ করুন ভিতরে ভিতরে তাহার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আরম্ভ করিলেন । বাজীরাওয়ের নিমন্ত্রণে শাস্ত্রী মহাশয় পগুরপুর তীর্থে গমন করেন। ১৪ই জুলাই দুজনের একত্রে পানভোজন হয়। সন্ধ্যার সময় শাস্ত্রী বিঠোবা