পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চীনরমণীর একজন চীনের লেখককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল "চীনে রমণী সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না কেন ?" তিনি কিছুকাল হতবুদ্ধি হয়ে থেকে বলেছিলেন "চীনের রমণী। তাদের সম্বন্ধে কেউ কিছু জানেই না— তারা কেবল চীনেদের মাতা, সম্ভবত: এ ছাড়া তাদের সম্বন্ধে কেউ কিছু চিন্তাই করে না।” সত্যই চীনের নারীসমাজ সাধারণের কাছে অজ্ঞাত—তারা তাদের স্বামীর ও পুত্রের পিছনে লুকিয়ে থাকতেই ভালবাসে, তবু প্রাচ্য জাতির পিত মাতার প্রতি অগাধ ভক্তি আছে বলে তার পুরুষের উপর অগাধ আধিপত্য বিস্তার করে আছে। প্রাচ্য ভূখণ্ডের অন্যান্য দেশের রমণীর চেয়ে চীনের রমণীদের সম্বন্ধে খুবই সামান্য কথা জানা যায়। অন্ত দেশীয় সাধারণ ভ্রমণকারীর পক্ষে তাদের কথা জন। একপ্রকার অসম্ভব। চীন সম্বন্ধে এ পর্য্যন্ত যা কিছু লেখা হয়েছে সাধারণত নীচজাতীয় চীনেদিগকে লইয়াই—কারণ ভ্রমণ কারী অথবা ধৰ্ম্মপ্রচারকদিগের সহিত যাহাদিগের মেল৷ মেশ হয় তাহার প্রায়ই সামান্ত লোক। ভ্রমণকারীরা কুলী রমণী দেখেন অথবা নৌবিহারিণী নারীদের সম্বন্ধে কিছু শোনেন ও দেখেন—কিম্বা চা’র দোকানে শোভন পরিচ্ছদপরিহিত নৰ্ত্তকী বালিকার অঙ্গসঞ্চালনে মুগ্ধ হন । কিন্তু প্রকৃত চীনে রমণী—তাদের আশা আকাঙ্গ, উদ্বেগ, সংসার ধৰ্ম্ম এ সমস্ত সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না । আমাদের বিশ্বাস নিম্নের পত্রগুলি চীনে রমণীর জীবনের কিছু পরিচয় দিতে পারবে। এগুলি চীনের কোন উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী যখন প্রিন্স চুংএর সহিত ভ্রমণে বাহির হয়েছিলেন সেই সময়ে তাহার পত্নী কুই-লি তাকে লেখেন। চীনেও আমাদের ন্যায় ছেলের বিয়ে ক’রে পত্নীকে নিজেদের বাড়ী নিয়ে আসে—সেখানে তাদের স্বামীর মাতার ইচ্ছানুসারে চলতে হয়। এর ইচ্ছে করলে পুত্রবধুর পক্ষে স্বামীগৃহ নন্দন বা নরক দুই করে তুলতে প্রেমপত্র পারেন। কুই-লির পিতl chihliর শাসনকর্তা ছিলেন, ইনি চীনের নবভাবের শিক্ষা প্রথা প্রবর্তনের একজন প্রধান উদ্যোগী,—ইনি কন্য ও পুত্রকে সমভাবে শিক্ষিত করেন। কুইলি তাহদের প্রদেশের বিখ্যাত কবি Ling-wing-puর নিকট শিক্ষা প্রাপ্ত হন, এর নিকটেই ইনি কল্পনা ও ভাব বিকাশের ক্ষমতা লাভ করেন। (>) প্রিয়তম আমার ! পাহাড়ের উপরের বাড়ীখানি যেন তার সকল সৌন্দৰ্য্য হারিয়ে ফেলেছে। আমার কাছে সবই শূন্ত বোধ হচ্ছে, ছাদে উঠে অস্তচলাবলম্বী সূর্য্যের কনকরশ্মির পানে চেয়ে থাকি—তখন মনে পড়ে তুমি কাছে নাই—উদয়াস্ত এখন সবই আমার সমান, কিছুতেই আনন্দ পাই না। তুমি কিন্তু ভেবে না আমি অমুখে আছি। তুমি এখানে থাকতেও যেমন কাজ কৰ্ম্ম করতুম—এখনও তেমনই করি—শুধু মনে হয় তোমার কথা,—তুমি কাজগুলো মুনিৰ্ব্বাহিত দেখলে কত মুখী হতে । ‘মে-কি? তোমার চেয়ারখানা সরিয়ে রাখতে চেয়েছিল, কারণ সেটা নাকি বডেড ভারী-আমি তা বারণ করেছি, ঐ চেয়ারে তুমি বসতে—ঐখানে বসে ধূম পান করতে, বই পড়তে, আমি সব সময়ই তাই দেখতে পাই—ওখানা আমার নিকট কত প্রিয় – কত মধুর। ‘মে-কি ছাদের উপর সেই সরু ছোট্ট পাইন গাছটা এনেছিল—আমি সেটা