পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》发钞八 হিন্দুসমাজ জাগরিত হয়ে এই সকল দীনহীন পতিত সস্তানদের স্বীয় ক্রোড়ে স্থানদান করতে প্রস্তুত হ’ন তবেই দেশের মঙ্গল ; নতুবা বলতে হবে আমাদের সমাজ আত্মশ্লাঘার করে আত্মঘাতী হতে চলেছেন, তার অধঃপাতের আর বিলম্ব নেই । আমি যে জাতির হয়ে ওকালতি করছি তাদের স্থান হিন্দু সমাজের অধঃস্তরে—এর উপরের স্তরও নানাকারণে বিলোড়িত হচ্ছে দেথা যায় । শূদ্রেরা আপনাদের মধ্যে উচ্চতর আসন অধিকার করতে ব্যগ্র, কায়স্থকুল ক্ষত্রিয়বংশীয় ব’লে আপনাদের পরিচয় দিয়ে উপবীত ধারণে তৎপর, কেহই হীনতা-পঙ্কে পড়ে থাকতে রাজী নয় । কালচক্রের পরিবর্তনে আমাদের সমাজে যে কত পরিবর্তন হচ্ছে তা আমরা অনেকে চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। আমাদের মধ্যে র্যারা অপেক্ষাকৃত বয়োবৃদ্ধ তারা একবার আপনাদের বাল্যকালের কথা . স্মরণ করে দেখুন, সেকাল আর একালের প্রভেদ বুঝতে পারবেন। আমার একটা সহজ দৃষ্টান্ত মনে হচ্ছে। আমরা সকলেই জানি, এককালে কুলীন ব্রাহ্মণদের মধ্যে বহুবিবাহ প্রথা পূর্ণমাত্রায় প্রচলিত ছিল। র্তার বহুপত্নী নিয়ে কেমন দিব্য আরামে ঘর করতেন, পালায় পালায় এক এক পত্নীগৃহে গিয়ে কি সহজ উপায়ে অর্থেীপার্জন করতেন । কুলীন মেয়েদের কি দুর্ভাগ্য ! কারে কারে যোগ্য পাত্রের অভাবে চিরজীবন হয়ত আইবড় অবস্থায় কাটাতে হত, অনেকের পতি জীবিত থাকতেও কি দারুণ বৈধব্য যন্ত্রণ ভোগ করতে ভারতী ६कख, s७२० হত, জীবনে একটিবারও তাদের ভাগ্যে স্বামীর মুখদর্শন ঘটত ন!—যেখানে সেখানে এইরূপ কুলীনকুল-কলঙ্ককাহিনী শোনা যেত। আমার বেশ মনে পড়ে বিদ্যাসাগর মহাশয় এই বিযয় নিয়ে কত আন্দোলন করতেন, পারিবারিক শাস্তিহর এই অনর্থকর প্রথ,উচ্ছেদেব কত উপায় চিন্তা করতেন, বলতেন যে বহুবিবাহ নিবারণী রাজবিধি প্রচলন ভিন্ন এ রোগের ঔষধ নেই । কিন্তু এই অল্পকালের মধ্যে আমরা কি দেখছি ? দেখছি যে বিনা আইনে বহুদারব্যবসায়ী কুলীনদের অন্ন মারা গিয়েছে—বহুবিবাহ প্রথা আপনার ভারে আপনি চাপ প’ড়ে মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে। যেমন বাঙ্গলা দেশে বোম্বায়েও তেমনি জাতিবিপ্লবের লক্ষণ অল্প-বিস্তর দেখা যাচ্ছে। উপরে আর্য্যসজেঘর কথা বলেছি, জাত ভাঙ্গবার চেষ্টাই তাদের এক ব্রত । কিছুদিন হল র্তারা যে সভা আহবান করেছিলেন তাতে প্রায় ৭৮০ লোক উপস্থিত হয়েছিল এবং প্রায় ১৫e ব্যক্তি জাতের বাধা না মেনে একত্রে পরস্পর প্রতিভোজনে যোগ দিয়েছিলেন । আর একটা দৃষ্টান্ত বলি-সমুদ্রযাত্র । বিলাতযাত্র আগেকার কালে কি ভয়ানক ব্যাপার ছিল আর এখন অপেক্ষাকৃত কত সহজ হয়ে এসেছে। এ বিষয়ে সেকালের গোড় হিন্দুদের মনোভাব সুবিখ্যাত গুজরাট ‘রিফরমার করসনদাস মুলজীর জীবনবৃত্ত থেকে আমরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছি। এই কয়েক বৎসরের মধ্যে এ বিষয়ে কি আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন লক্ষ্য কুরা যায় । আজকের দিনে