পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A9;, e এ যুদ্ধে আমাদেব অল্পই ক্ষতি হইয়াছে, হত তিনজন অtঙ্গতেব সংখ্যা পনেবো । তাদের পতাকা আমব কুড়াইয়া পাঠয়ছিলাম ছোট এক টুকরা সবুজ কাপড়ে দুষ্টছত্র কোরাণেব বয়েদ লেখা । আমি কঠিন তবু কৰ্ত্তব্য বিস্তুত হই না। যুদ্ধের পর বৃদ্ধের মৃতদেহেব সন্ধান ইবর অনেক স ত্যক থা কথা প্রথমেষ্ট আমার মনে পড়িল । অনুসন্ধানেও দেঙ্গ পাওয়া গেল না । বলিতে কি, বৃদ্ধকে হত্য কবিতে আমার ইচ্ছা ছিল না— সে আমার পণেব বাধা ন হইলে এ কার্য্য আমা দ্বারা কথনষ্ট ঘটত না । তাই কেমন একট আত্ম গ্লানি জাগিয়া উঠিয়াছে । যুদ্ধক্ষেত্রে দৈনিকের কর্তব্য কবিয়াছি— কেন এ দুৰ্ব্বলতা ! আমাদেব পথপ্রদর্শকেবা বলিল লোকটির নাম “ গুলাপসিং—উনি এক জন সন্ন্যাসী মহাত্মা ব্যক্তি, অহিংসাই ও র ধৰ্ম্ম । ঈবে দয়া, জীবের কল্যাণই উছার প্রার্থনা। জ্যোতিষ শাস্ত্রে অগাধ জ্ঞান—আর ভগদানেব সাধক পরম সিদ্ধ যোগী পুরুষ ইনি – এ প্রদেশের সকলে তাকে ঈশ্বরের হায় ভয় এবং ভক্তি কবিত, তাই তার শোচনীয় মৃত্যুতে শক্ৰগণ আমন হৃদয় বিদারক আর্তনাদ করিয়া উঠিয়াছিল।” তাহারা আরও বলিল, তৈমুবলঙ্গ যখন এই পথে আসিয়াছিলেন তখন ঐ সন্ন্যাসী ঐ স্থানে অমনি ভাবেই উপাসনায় রত ছিলেন। আরও অনেক অদ্ভুত আজগুলি বর্ণনা তাহারা শুনাইল । গুহাটার ভিতবে প্রবেশ কবিয়া দেখিয়া ছিলাম—ওখানে দুই দিন থাকিতে হইলে আমি ত চরম শাস্তি মনে করি । উচ্চে ভারতী চৈত্র, ১৩২ • চারিফুট, লম্বে ছয় হাত আন্দাজ ;–স্যাতনে অন্ধকার, আসলাবের মধ্যে একখানি বহু পুরাতন জীর্ণ কাঠেৰ তক্তাপোষ তাহার উপর কতক গুলি হরিদ্রাভ কাগজের বাণ্ডিল, হস্তাক্ষবে লেখা—কোন বোধ্য ভাষা । দুইটি কাঠেব বাসন এবং একখানি মৃগচৰ্ম্ম— আর কিছু না । যাকৃ—সে যেখানে গিয়াছে সেখানে গিয়া শিক্ষা করুক যে, হাজার উপবাস কঠোবতীয় দেছ ক্ষয় করিলেও বিধৰ্ম্মীদের তবে iয়ালের হীত হইতে তাহীদের রক্ষা नोब्रे ! —তবু আমি অস্তবের সহিত র্তার আত্মার শাস্তি কামনা করি । শাস্তিঃ । ইলিয়ট অব চাম্বারলেন তারা আমাদের সঙ্গে মিলতেই পারলে না—আজকের জয়ের অংশীদার নাই – এ গৌরব—এ সম্মান আমার একারই প্রাপ্য-এর দকণ গেজেটে অন্ততঃ নাম প্রকাশও হওয়া উচিত। পদোন্নতি— কে বলে তা হতে পাবে না ?—কি শুভদৃষ্ট ! ৬ই অক্টোবর বেলা ১১টা । কাল রাত্রে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটা কিছু অদ্ভুত বকমেব । আমি জীবনে কখনও স্বপ্ন দেখি নাই – ঘটনাটি বাস্তবিক স্বপ্নও নহে— অপরে যদি এই ঘটনাটিই আমার কাছে প্রকাশ কবিত, আমি নিশ্চয়ই বিশ্বাস করিতাম না । সেই ঘণ্টার অপূৰ্ব্ব রুণুঝুণু শব্দ । আচ্ছ। ঘটনাট বলি। রাত্রি প্রায় ১১ট পৰ্য্যন্ত ইলিয়ট আমার তাবুতে বসিয়া গল্প করিয়াছিল । সে চলিয়া গেলে জমাদাবকে লষ্টয়া আমি একবার পাহার। ঠিক আছে কিনা দেখিবার জন্ত ছাউনীর চারিদিক ঘুরিয়া আসিয়া শয়ন করিলাম ।