পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৭ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা তোমাদের পদ-সেবা করিব, দিনাস্তে একটি বার শুধু তোমাদের ঐ ছেলেটিকে কোলে লইতে দিয়ে । কিন্তু না, সে কথা বলা চলে ন –ভালো দেথায় না ! এ যে পাগলের কথা ! সে ত পাগল নয় ! তাহাব মুখে কোন কথাই ফুটিল না । মৃণালের মনে হইল, বুঝি সে ভড়কাষ্টয়া গিয়াছে। তাই আবাব কচি ল, বল –কি চাও ! কিছু খালে ?” বিবজা ভাবিল, এত গুণ না থাকিলে আব আজ এমন গৃহে লক্ষ্মী তুমি ! পিৎজা কহিল, “আমি – আমি —” মৃণাল কহিল, “হ্যা, কিছু পাবে কি ?” “ন, ন, খাওয়া নয়, খাওয়া নয়—বল, আমার কথা রাখবে ?” বলিয়াই সে মৃণালের পায়ের কাছে লুটাইয়া পড়িল । দুধের বাটি রাখিয়া মৃণাল সমেহে তাহার দুই হাত ধবিয়া তাহাকে উঠাইল, কচিল, “ছি, পায়ে হাত দিতে নেই। ওঠ,-—কি চাও, বল । যদি বাগবাব হয়, তোমার কথা রাখব না ?” বিরজার চোখে জল দেখা দিল । সে কহিল, “আমি বড় অভাগিনী, বোন। বাজবি মত স্বামী, চাদেব মত ছেলে, অগাধ ঐশ্বৰ্য্য, আমার সব ছিল,—কিন্তু আজ কিছু নেই— পোড়াকপালী আমি সে সব খুইয়েছি—” করুণ সমবেদনায়ু মৃণালেব অস্তব ভরিয়া উঠিল, মন ভিজিয়া গেল। একখানা মাদুর বিছাইয়া সে কহিল, “বসে ভাই—বসে বসে বল—” বিরজা ৰসিল, ভাঙ্গা ভাঙ্গ সুবে কহিল, "তোমার ঐ ছেলে,—বড়টি—তারই মন্ত “ ভয় কি, কেন বিপথে ૧ૌ ં ઃ ছেলে ! তাই —” মৃণাল কহিল, “তাই --কি, বল ।” বির গুণ কঠিল, “ওকে ক'দিন দেখে অবধি কোথাও মাক আমি নড়তে পাচ্ছি না । বুকেব মধ্যে সৰ্ব্বদাই যেন আগুন জ্বলছে – এ যে কি জালা, বোন, তা কি বলব !” মৃণালেব উঠল ~~ মধ্যাহেব প্রথৰ আলে। তহবি যেন ঝাপস বোপ হইল। মুখ হইতে অস্ফুট কক্ষণ স্বব ফুটিল, “ আঙ্গ !” একে বাবে তা বই মত । তাই— গোপ জলে ভবিয়া বিবজ কঙ্গিল, “তবু ধাপ, -আমায যেতেই কিন্তু যাবাব আগে এক পাব বড় সাধ হচ্ছে, তোমাব ঐ ছেলেটিকে বুকে তুলে নি-বুকে চেপে ধবি – ও চাদ মুখে ছুটি চমু পাই ! তাঙ্গলে এ জালাও জুড়োয় কতক জুড়োয ।” মৃণাল কছিল, “তাব অব কি ! তবে এখন ত ছেলে বাড়ী নেই, স্কুলে গেছে । সে ফিক কু। তুমি বিকেলে এসে ।” বিবজ কহিল, “কি স্তু তোমার স্বামী যদি আমায় দেখলে বাড়ী ঢুকতে ন দেন ?” মৃণাল কঠিল, “ঠাকে আমি কিছু বলবে ন—তুমি এসো—” কৃতজ্ঞতায় বিবজাব প্রাণ পূর্ণ হইল । চোখের জল মুছিয়া আবাব সে মৃণালেব পায়ে হাত দিল । মৃণাল শশব্যস্তে চত সরাইয়া দিয়া কছিল, “ও কি –ছি, ছি, আবাব কেন পায়ে হাত দিচ্ছ, ভাই ?” “ তাতে কিছু দোষ নেই, দিদি । তুমি সতীলক্ষ্মী, দেবতা ! বেশ আব কি বলবে, তুলে । বকেন ?