পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b38 করে। শুধু ইহাই নহে কতকগুলি কোষ বামহস্ত, অপর কতকগুলি দক্ষিণহস্ত, আবার আর কতকগুলি সময়ানুসারে অঙ্গুলি, চুল, নখ ইত্যাদি প্রস্তুত কবে । সাধাবণ সৈনিকের কাপ্তেনের আদেশ অনুসারে যেমন কৰ্ম্মচারীদিগের দ্বারা আপনাপন কার্য্যে নিয়োজিত হয় সেইরূপ বীজের উপাদানের বিভিন্ন প্রকৃতি অনুসারে কোষগুলি যথা সময়ে হস্তপদ, অঙ্গুলি এবং অন্তান্ত অঙ্গ গঠন করে । অতএব দেখা যাইতেছে যে Wcisman এব মতে সাধারণ কোষ ও বীজকোষ সম্পূর্ণ পৃথক পদার্থ, বীজপঙ্ক বীজকোষের মধ্যেই আবদ্ধ থাকে, অষ্ঠত্র উহাকে দেখা যায় না । কিন্তু পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হইয়াছে যে বীজপঙ্ক প্রত্যেক কোষেব কেন্দ্রস্থলে (nucleus) বিশেষ বিশেষ কর্য্যের উপযুক্ত অবস্থায় অবস্থিত থাকে সুতরাং সাধাবণ দেহ-কোষেব দ্যায় বীজকোষ যে পাবিপাশ্বিকের প্রভাবে রূপান্তরিত হইতে পারে না তাহা কিরূপে অনুমান করা যায় ? Manspas ও অন্তান্ত পণ্ডিতেরা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে স্পষ্টই লক্ষ্য করিয়াছেন যে প্রত্যেক জনন-কোষের কেন্দ্ৰ-পঙ্ককে(nucles. plasm) উহার চতুঃপার্শ্বস্থ কোষপঙ্ক সন্তানোৎপাদনে বিশেষ সাহায্য করিয়া থাকে। যে সময় প্রাণ বৃদ্ধি পাইতে আরম্ভ করে সেই সময় কেন্দ্রপঙ্ক ও কোষপঙ্কের মধ্যে ঘন ঘন আদান প্রদান কাৰ্য্য চলিয়া থাকে। কেন্দ্রপঙ্কের আচরণ এ বিষয়ে কোনরূপ বাধা দিতে পারে না । আমরাও যখন নিশ্বাস-গ্রহণ করি তখন বায়ুস্থ অক্সিজেন ভারতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ (অম্লজান) নিশ্বাসের সহিত ফুসফুসের অভ্যস্তরে প্রবেশ করিয়া ধমণীসমুহের গাত্র-ভেদ করতঃ রক্তের সহিত মিলিত হয় ও দূষি তরক্তের Elofssig (Carbonic acid) sfffH EHEH দিয়া প্রশ্বাসের সহিত বহিঃস্থ বায়ুব মধ্যে আশ্রয় লয় । ফুসফুসের বা ধমনীর প্রাচীর গ্যাসদ্বয়ের গমনাগমনে কোনরূপ বাধা দেয় না। এতদ্ভিন্ন এক-কোষবিশিষ্ট জীবের মধ্যে দেখা যায় যে বহিঃপ্রকৃতির প্রভাবে রূপান্তরিত কোষপঙ্ক সস্তানে সৰ্ব্বদাই সংক্রামিত হইয়া থাকে। এই জন্তই Weisman এর মত সমীচীন বলিয়া মনে হয় না। ইহ ভিন্ন উদ্ভিদ রাজ্যেও দেখা যায় বট, আখ, সজিন প্রভৃতির কাও ও পাথরকুচির পাত হইতেও নূতন নুতন বৃক্ষের উৎপত্তি হইয়া থাকে। বসন্তকালে শাল, তাল, খেজুর প্রভৃতি বৃক্ষ হইতে অপৰ্য্যাপ্ত রেণুকণা বায়ুভরে ইতস্ততঃ চালিত হইয়া থাকে। ঐ কণার প্রত্যেকটিই নূতন নুতন বৃক্ষ উৎপাদন করিবার উপযুক্ত শক্তি ধারণ করে । বিন্দুমাত্র রেণুকণা পিতৃবংশেব সম্যক্ অনুরূপ শাল প্রভৃতি মহীরূহ উৎপাদন করে এবং ঐ সকল বৃক্ষ আবার যথাকলে ঐক্কপ বেণুকণার উৎপত্তি করিয়া থাকে। জীব-রাজ্যেও এই নিয়মের অন্তথা হয় না। যে পঙ্ককণা হইতে প্রাণিগণ উৎপন্ন হয় উহাই আবার বিভক্ত হইয়া জীবেব যৌবনকালে অসংখ্য কোষের স্থষ্টি করে। উহাদের এক একটি হইতে এক একটি নুতন জীবের জন্ম হইয়া থাকে। পৈতৃক বীজপঙ্ক দীর্ঘকাল ধরিয়া নানাবিধ খাদ্যগ্রহণ করতঃ পূর্ণাঙ্গ বৃক্ষ বা জীবে পরিণত হয়। সুতরাং থাছের প্রভাব যে উহাতে