পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty : ఆ সাহায্যে দেখা গিয়াছে যে পিতৃ-মাতৃ পঙ্ক প্রথমে মিলিত হইয়া পরে দ্বিধাবিভক্ত হয় ও উহার এক অংশ পুষ্ট হইতে থাকে। এই জন্তই সচরাচর গণদি পশু ও মানবের একটি মাত্র সন্তান একবাবে জন্মগ্রহণ করে। যে স্থলে অপর অংশটিও পুষ্টিলাভ করে সে স্থলে যমজ সন্তান উৎপন্ন হয়। অনুমান করেন যে ভ্রণ পিতা হইতে কিছু অংশ ও মাত হইতে বাকী অংশ প্রাপ্ত হয় বলিয়া সস্তানের আকৃতি ও প্রকৃতি পিতামাতার অনেকটা অনুরূপ হইয়া থাকে ; তবে পঙ্কদ্বয়ের বিভিন্ন সংমিশ্রন বা নুনাধিক্যই ভ্রাতা ভগিনীদিগের আকৃতি ও প্রকৃতির পার্থক্য ঘটাইয় থাকে। এ ক্ষণে প্রশ্ন এই যে সন্তান কেবলমাত্র পিতামাতারই প্রকৃতি পাইলে ভিন্ন প্রকৃতিলাভেব কোন সম্ভাবনা থাকে না। যাহা নাই তাই কোথা হইতে আসিবে ? কিন্তু অনেকে যে পিতামাতার আকৃতি না পাইয়া পিতামহ, পিতামঙ্গী বা উৰ্দ্ধতন কোন পুরুষের আকৃতি পাইয়া থাকে ইহা অনেকেই ভারতী Weisman . কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন। আর এইমত অনুসারে চাষ বা চর্চাদ্বারা পুরুষপরম্পরায় বংশের উন্নতি করা সম্ভব হয় না, বন্ত ওল হইতে উৎকৃষ্ট ওল, বন্ত উদ্ভিদ হইতে উৎকৃষ্ট বাধাকফিও লাভ করা যাইত না ; অসভ্য মানবের বংশে নিউটন, সেক্ষপিয়র, বেকন প্রভৃতি মনীষীর জন্ম সম্ভব হইত না । সুতরাং স্বীকার করিতে হইবে যে পিতামাত হইতে জীব বংশের প্রকৃতি লাভ করে এবং পারিপাশ্বিকের প্রভাবে যাহা নিজে উপার্জন করে তাহাও সন্তানে সংক্রমিত করিয়া দেয়। এই জন্তই উচ্চ বংশ হইতে সাধারণতঃ উন্নত মানবের জন্ম হইয়। থাকে। শীত গ্রীষ্ম, বাসভূমি ও জলবায়ু প্রভৃতি স্বভাবের শক্তির প্রভাবে জীব ও উদ্ভিদের বীজপঙ্কের প্রকৃতি অল্পাধিক পরিবর্তিত হইয়া থাকে। এই পরিবর্তনকেই পিতামাতা হইতে সন্তানের আকৃতি ও প্রকৃতির পার্থক্যের কারণ বুঝিতে হইবে। শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রনাবায়ণ রায় । সাময়িক প্রসঙ্গ বাঙ্গালী মল্লযোদ্ধ যাহার বলেন বাঙ্গালী ক্রমশঃই হীনবীৰ্য্য হইয় পড়িতেছে, তাহারা শুনিয়া আশ্বস্ত হইবেন যে কলিকাতা নিবাসী কোনও পরিবারের একটি যুবক ইংলণ্ডের সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ পালোয়ানদের মল্লযুদ্ধে পরাস্ত করিয়া ইংরেজ দর্শকগণকে বিস্মিত করিয়াছেন । এডিনবরাতে একজন ইংরেজ পালোয়ান ইহাকে অভিভূত করিবার নিমিত্ত নানাপ্রকার অসঙ্গত প্রণালী অবলম্বন করিতেছিল, কিন্তু পরীক্ষকগণ ইহা বুঝিতে পারিয়া ইংরেজ পালোয়ানকে যুদ্ধক্ষেত্র হইতে তাড়াইয়। দিয়াছেন। পরীক্ষকগণ একবাক্যে গুহ মহাশয়ের প্রশংসা করিয়াছেন, কেন না ইনি ইংরেজ পালোয়ানের অন্যায় ব্যবহারে বিন্দুমাত্র বিচলিত ন হইয়া কোনো প্রকার অসঙ্গত কলকৌশল অবলম্বন না করিয়| অসীম ধৈর্য্য-সহকারে বীরের ন্যায় মল্লযুদ্ধ করিতেছিলেন। গুহ মহাশয় যুরোপ ও আমেরিকার নানাস্থানে ভ্রমণ করিয়া বাঙ্গালীর মুখোজ্জল করুন এবং স্বদেশে ফিরিয়া যুবকদলকে শক্তিবান হইবার জন্য উৎসাহিত করুন ইহাই আমাদের প্রার্থন ।