পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎭᏯ o আচাৰ্য্য জগদীশ চন্দ্রের আবিষ্কার উদ্ভিদে স্নায়বীয় প্রবাহ আছে কিনা এই লইয়া বৈজ্ঞানিকগণের মধ্যে বহুদিন হইতে মতভেদ চলিয়। আসিতেছে। য়ুরোপ ও আমেরিকার আধুনিক উদ্ভিদতত্ত্ববিদগণ উদ্ভিদে স্নায়ুর অস্তিত্বই স্বীকার করেন না । তাহার বলেন প্রাণীদেহে স্নাযু-সুত্র ধরিয়া উত্তেজন প্রবাহিত হইয়া থাকে, কিন্তু উদ্ভিদে এ রূপ প্রবাহ থাক। সম্ভব নয়। স্নায়ুজালের সাহায্যে প্রাণীদেহে বাহিরের উত্তেজনা যে প্রকার একস্থান হইতে অপর-স্থানে চলাচল করে, উদ্ভিদদেহেও তদ্রুপ স্নায়ুজাল বিদ্যমান । অচিার্ষ্য জগদীশ চন্দ্রের অতুলনীয় প্রতিভার নিকট ইহা অপ্রকাশ থাকে নাই—তিনি বহুপূৰ্ব্বেই ইহার লক্ষণ জানিতে পারিয়াছিলেন । দীর্ঘকাল অক্লান্ত পরিশ্রমসহকারে আচাৰ্য্য বসু তাহার নিভৃত পরীক্ষাগারে এই বিষয় আবিষ্কারের জন্ত নানা গবেষণা করিতেছিলেন । উদ্ভিদমাত্রই বহিরের আঘাতের উত্তেজনায় ঠিক প্রাণীর মতই সাড়া দেয়, একথা তিনি য়ুরোপীয় পণ্ডিতগণের সম্মুখে প্রমাণ করিয়াছেন, কিন্তু এই প্রকার সাড়া যে স্বায়ুজালের সাহায্যেই সম্ভব উদ্ভিদতত্ত্ববিদগণ এতদিন তাহ। ভারতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ স্বীকার করেন নাই। তাহারা আণবিক উত্তেজন, জলের ধাক্কা, ইত্যাদিকেই এই প্রকার সাড়ার কারণ স্থির করিয়৷ নিশ্চিন্ত ছিলেন । অধ্যাপক বসু প্রমাণ করিয়াছেন যে উদ্ভিদ দেহে স্নায়ু বর্তমান এবং ইহার সাহায্যেই বাহিরের উত্তেজনা ও আঘাতে উদ্ভিদ সাড় দেয় । তিনি যে সকল অত্যাশ্চৰ্য্য প্রমাণ ও যুক্তি দেখাইয়াছেন তাহ অখণ্ডনীয় ; তাহার এই আবিস্কার ইংলণ্ডের সুপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক পরিযই রয়েল সোসাইটি ঘোষণা করিয়াছেন । সমগ্র বৈজ্ঞানিক জগৎ উদ্ভিদ ও প্রাণীজীবনের অtশ্চর্ষ্য একতার অখণ্ডনীয় প্রমাণ পাইয় স্তস্থিত হইয়াছেন । বর্তমান বৈজ্ঞানিক যুগে ভারতবাসী সমগ্র জগতের সম্মুখে উদ্ভিদ-জীবনের এই অসীম রহস্তদ্বার উদঘাটিত করিয়া যে সত্য প্রচার করিলেন, উপনিষদের ঋষি একদ। নিভূত আশ্রমে “যদিদং কিঞ্চ জগৎ সৰ্ব্বং প্রাণত্রজতি নিঃস্থতং” এই সত্য সাধনদুলভ দিব্যদৃষ্টিতে অনুভব করিয়াই বিশ্বদেবতাকে সমগ্র বনস্পতির মাঝে প্রণাম করিয়াছিলেন—“যওষধীযু যৌবনস্পতিযু তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ ।” ঐীনগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় । লাঞ্ছিত৷ বরষার বারিধারা বহে, সিক্তপথ জনশূন্ত হায়! পাখীরা গিয়াছে উড়ি গেহে নীড়ে তারা মাথাটি লুকায়। বন্ধ সব দোকান পসারি গৃহস্থের সদর দুয়ার ; কাঠুরীর ফেলেছে কাটারী তুমি কেন এ পথের ধার ? নাহি কি বলিতে আপনার অরণ্যে কি ফুটিয়াছে ফুল ! এ রূপ, এ মাধুরী তোমার কেহ কি গে ৰলেন অতুল ! “আছে সব আছে নিজঘর ফুটিয়াছি রাজার কাননে, লভিয়াছি সোহাগ আদর ছিল মুখ অপার জীবনে। “হায় বিধি নিদারুণ হ’ল প্রিয়তম বুঝিলন মন, কত ভুল কথা সে কহিল দোষী হতু সামান্ত কণবণ । সে লাঞ্ছন সে ঘৃণার হাসি নারিতু গো দহিবারে আর, তাই আজি চিরবনবাসী ঘর মোর এ পথের ধার ।” 蟾 শ্ৰীমতী লীলা দেবী।