পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা উঠিত, এবং উহ “হিরণ্যবর্ণ” ছিল, এবং উহার ডাটায় হুল থাকিত অর্থাৎ “লোমশবক্ষণা” ছিল বলিয়া অথৰ্ব্ব বেদে উল্লিখিত ; ইহাও লিখিত আছে যে, উহাব রস গোরুকে খাওয়াইলে গোরু বেশি দুধ দিত, এবং ঐ লতা হইতে লক্ষ সংগৃহীত হইত) (৮) অর্ক (আকন), (৯) অলাপু বা অলাবু (লাউ), (১০) অবকা বা শপাল (গন্ধৰ্ব্বেবা নাকি ইহাব শাক খাইতেন ; ইহা জলে জন্মিত। পরবর্তী সময়ে ইহাকে শৈবল শ্রেণীর অন্তভুক্ত দেখিতে পাওয়া যায় ; কেহ cpg Èztts Blyxa Octandra Hesi দিয়াছেন), (১১) অশ্বগন্ধ (উহাব অর্থ এই যে ঐ ওষধি প্রস্তরগন্ধি ; পরবর্তী সময়ে ইহারই নাম হইয়াছে অশ্বগন্ধী), (১২) অশ্বথ, (১৩) অশ্ববার (এক শ্রেণীব নলবিশেষ), (১৪) আওঁীক (পদ্ম , (১৫) আদাব (আমাদের আদ), (১৬) আবযু (অন্ত নাম সর্ষপ বা সরিষা), (১৭) আল (শস্যক্ষেত্রের আগাছা), (১৮) উইম্বব (ডুমুর), (১৯) উর্বক (শস), (২০) উশন (শতপথ ব্রাহ্মণে আছে যে, সোমলত না পাইলে উহা হইতে সোমবাস বাহির করা হইত ), (২১) এর গু (খাটি বেদে উল্লেখ নাই ; অনেক পরবর্তী ব্রাহ্মণ সাহিত্যেই নামটি পাওয়া যায়), (১২) ঔক্ষগন্ধি —ষাড়ের গায়ের গন্ধবিশিষ্ট অর্থ হইলেও কোন মুগন্ধি ওষধিবিশেষ ; ইহাব পরিচয় পাওয়া যায় না । (২৩) কিয়াম্বু (কি প্রকারের শাক, তাহ জানা যায় না ; তবে যেখানে শব-দাহ হইত, সেখানে জলের মধ্যে লাগাইবার নিয়ম ছিল ; মৃতের সৎকারের ইহাও একটি অঙ্গ ছিল যে, To o উদ্ভিদদির বৈদিক নাম ty్శ రి কিয়া এবং ২ে৪) পাকদুৰ্ব্ব শ্মশানে লাগাইতে হইত ; (পাকদূৰ্ব্বা এ কালের জোয়ার), (২৫) কুমুদ, (২৬) কুষ্ঠ (ইহার অর্ণব এক নাম বিশ্বভেষজ, অর্থাৎ ইহা প্রায় সকল রোগেরই ঔষধ বলিয়া বিবেচিত হইত ; এই বীরুধ হিমালয়েব উপরে পাওয়া যাইত, লেখা আছে, (২৭) জঙ্গিড় (ইহাকে Arjuncya বলিয়া কেহ কেহ পরিচয় দিয়া থাকেন) । (২৮) কর্কন্ধ (কেহ কেহ ইহাকে রক্তবর্ণ বদর বা কুল বলিতে চাহেন ; কিন্তু আমার মনে হয় যে ইহা লাল কুমড়া ; ওড়িয়াতে কুমড়াকে “কথারু" বলে, এবং হয়-ত বা পূৰ্ব্বে ছাচি কুমড়াকে কৰ্কন্ধু বা কম্বু বলিত বলিয়াই লাউ ঐ “কধু" নামে আখ্যাত হয়), (২৯) কাকদ্বীব (কি বৃক্ষ, জানা যায় না । তৃণ এবং নলবর্গে কুশ, কাশ প্রভৃতি ব্যতীত (৩০) “কুশব” নামে একটি বড় নল-তৃণ উল্লিখিত দেখিতে পাই। এক সময়ে আকৃকে অনেক স্থানে নলের মত তৃণ বলিয়া “কুশর” বলা হইত। এই বৈদিক কুশর শব্দ সংস্কৃতে ব্যবহৃত নাই ; অথচ একদিকে সম্বলপুরে এবং অন্যদিকে যশোহরে, পূৰ্ব্ব এবং উত্তর বঙ্গে “কুশবি” এবং “কুশর” শব্দ আকৃ অর্থে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। (৩১) কিংশুক, (৩২) খদির এবং (৩৩) খর্জর সম্বন্ধে কিছু বলিবার নাই, তবে “খৰ্জ্জব-এর দীর্ঘ উকীবটি লক্ষ্য করিবার জিনিস। (৩৪) তিল আমাদের পরিচিত ; কিন্তু (৩৫) তিহুক কি, তাহ জানি না । একজন পণ্ডিত উহাকে Symplocos Racimosa বলিয়াছেন ; কিন্তু তাহা ঠিকৃ Terminatia