পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা মস্তিষ্ককে বঁাচাইয়া মস্তিষ্ক পরিচালনা করা। প্রথম নম্বর মুষ্টিযোগ হইতেছে-সপ্তাহের মধ্যে ছয় দিন মানসিক শ্রম করার পর একদিন সম্পূর্ণরূপে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম প্রদান করা। ছয় দিন খুব লেখাপড়া করুন কিন্তু ভক্ত খৃষ্টানগণের মত রবিবার দিনটা একে পারে স্যাব্যাথ ডে (Sabbath day) sco jai oft's হইবে ; নহিলে ভাড়াটিয়া গাড়ীর ঘোড়ার মত দিনের পর দিন মাসের পর মাস ধরিয়া অবিরামভাবে লেখাপড়ার কার্য্য করিলে অবিলম্বে শরীর নষ্ট হইয়া যাইবে, মস্তিষ্ক দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িবে। অনেকে ইহার ঠিক বিপরীতচরণ করেন। তাহারা সপ্তাহের ছয় দিন স্কুল, কলেজ, কাছারি, অফিস করেন, পরে রবিবার দিন যতরাজ্যের জড় করা চিঠির উত্তর লেখেন, প্রবন্ধ লেখেন, কবিতা রচনা করেন—এমন কি মনে করেন রবিবার দিনটাই প্রকৃত কাজের দিন। ফলে হয় এই যে, মস্তিষ্ক বেচারা মাসের মধ্যে একদিনও ছুটি পায় না। মিলের কুলিরাও যখন সপ্তাহের মধ্যে একদিন করিয়া তাহাদের হাড়ভাঙ্গ কাজ হইতে ছুটি পায়, তখন চিন্তাশীল ব্যক্তিগণের চিন্তা করিয়া দেখা উচিত ষে মস্তিষ্ক জিনিষটা কুলিরও অধম নহে। ছয়দিন যত পারেন লেখাপড়া করুন, বৈজ্ঞানিকগণ ল্যাবরেটারীতে কাজ করুন, কবি কবিতা লিখুন, আর রবিবার দিন বাজার হাট করুন। অনেকে ভুল বুঝির বাজার করাটা হীন কাজ মনে করেন, কিন্তু আমি “) о বঙ্গে অকাল বাৰ্ধক্য by లి দেখিতে পাই রবিবারে বাজারে যাইলে অন্ততঃ সে দিনটার খাওয়া দাওয়াটা খুবই ভাল হয়। বন্ধুবান্ধবদের বাটিতে গিয়া দেখা শুনা করুন, অল্প অল্প দূরবর্তী স্থানে বেড়াইতে যান কিন্তু লেখাপড়ার ধার দিয়াও যেন না যান। বেশ দেখা যায় এইরূপে সপ্তাহের মধ্যে একদিন লেখাপড়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখিলে পরবর্তী ছয় দিনে বেশ পুরাদমে কাজ করা যায় । আমার দ্বিতীয় মুষ্টিযোগ হইতেছে— বৈকালে ৫টা বা ৫॥•ট হইতে রাত্রি ৮ট পৰ্য্যন্ত কোনও মস্তিষ্কোপজীবী ব্যক্তিকে বাটতে বসিয়া থাকিতে দেওয়া হইবে না। পাচটা সাড়ে পাচটার পর সকলে বাড়ীর বাহির হইয় পড়ুন–রাস্তায়, বাগানে বাহির হউন, মাঠে যান, জঙ্গলে যান, ময়দানে যান, নদীর ধারে বেড়ান, গড়ের মাঠে বেড়ান। মোট কথা বৈকালে ও সন্ধ্যাবেলায় খানিকট শারীরিক পরিশ্রম ও বিশুদ্ধ বায়ু সেবন একান্ত প্রয়োজন । সাহেবের বৈকালে ফুটবল, টেনিস, হকি, রগেবি খেলে, সন্ধ্যাবেলায় ক্ল্যাবে যায়, বিলিয়ার্ড খেলে ৷ শুনিয়াছি মহামতি গ্ল্যাডষ্টোন সাহেব শারীরিক পরিশ্রম করিবার জন্ত কাঠ ফাড়িতেন, কেহ কেহ মাটি কোপান, স্যাণ্ডোর ডম্বেল ভাঙ্গেন ইত্যাদি। আমাদের দেশে সকলেই অকাল বিজ্ঞ। আমরা ফুটবল প্রভৃতি খেলা ছেলেদেরই উপযুক্ত বলিয়া মনে করিয়া ৰকি ! খেলা আমাদের দ্বারা হইবে না, বেড়ান ত হইবে ? তবে দিনের মধ্যে দুই তিন ঘণ্ট বেড়াই না কেন ? সমস্ত