পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

०* वं, ख्रष्टैश्च ग१५]। সনাতন মানবপ্রকৃতির জয় ; “পরেয়ায়”-মানুষে মানুষে কৃত্রিম ভেদাভেদ রচনা ; “সতীতে” দৃঢ়চরিত্রা নারীর আত্মলোপী নিষ্ঠ “দেবদাসত্তে"কাল্পনিক ও বাস্তবের রূঢ় সংঘাত—এইরূপ বিচিত্র বর্ণচ্ছটার “তুলির লিখন" অপুৰ্ব্ব সুন্দর হইয়াছে। বঙ্গসাহিত্যে এরূপ রসে পরিপূর্ণ কাব্য বিরল। কাব্যামোদীর নিকট এ অমূল্য রত্ন যে যথোচিত সমাদৃত হইবে—একথা নিঃসংশয়ে বলা যায়। শ্ৰীগোলোকবিহারী মুখোপাধ্যায়। সমসাময়িক ভারত—অধ্যাপক ঐযুক্ত যোগীন্দ্রনাথ সমাদার বি, এ, প্রণীত । এই পৰ্য্যায়ভুক্ত গ্রন্থাবলী বঙ্গীয় পাঠকের যথেষ্ট প্রীতি আকর্ষণে সক্ষম হইয়াছে । সম্প্রতি ইহার অষ্টম খণ্ড প্রকাশিত হইয়াছে । এই খণ্ডে ফাহিয়ান প্রতৃতি কয়েকটি স্বপ্রসিদ্ধ চৈনিক পরিব্রীজকের বর্ণনা টীকাসহযোগে প্রকাশিত হইয়াছে। চৈনিক পরিব্রাজকগণের বর্ণন না থাকিলে প্রাচীন ভারতের, বিশেষতঃ বৌদ্ধযুগের ভারতের, অনেক স্থানের পরিচয় বা নিদর্শন আমরা কিছুই জানিতে পারিতাম না। আজ যে তক্ষশীল৷ ব৷ পাটলিপুত্রের খননে বৌদ্ধযুগের সহস্ৰ সহস্ৰ কীৰ্ত্তিস্তস্ত লোকচক্ষুর গোচরীভূত হইতেছে, ইহার একমাত্র কারণ চৈনিক পৰ্য্যটকগণের বৃত্তান্ত। এই সকল বৃত্তান্ত বহু মূল্যবান এবং প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানিতে হইলে এই সকল পাঠ কর৷ অত্যাবগুক। বিলাতের কয়েকটি ভাষায় এই সকল বৃত্তান্ত প্রকাশিত হইয়াছে বটে কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এ গুলি আমাদের দেশের জিনিস হইলেও এযাবৎ আমাদের দেশীয় ভাষায় ইহার রূপান্তর হয় নাই। অধ্যাপক ঐযুক্ত যোগীন্দ্রনাথ সমাদর মহাশয় সৰ্ব্বপ্রথমে ইহা বঙ্গভাষার প্রকাশিত করিয়া মাতৃভাষার পরিপুষ্ট ও বাঙ্গালীর মুখোম্বল করিয়াছেন। -- সমালোচনা b»e % জামরা সংক্ষেপে গ্রন্থের কয়েকটি বিশেষত্ব উল্লেখ করিতেছি। সৰ্ব্বপ্রথমে উল্লেখযোগ্য বিষয় হইতেছে ইহার ছবি। অধিকাংশ ছবি এ পর্য্যন্ত কোন গ্রন্থে প্রকাশিত হয় নাই। কতকগুলি গবৰ্ণমেন্টের কোনো কোনো পুস্তকে প্রকাশিত হইয়াছিল বটে, কিন্তু বহু মূল্যবান গ্রন্থ ক্রয় করিয়৷ এই সকল ছবি দেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে একপ্রকার . অসম্ভব বলিলেই হয় । এই সকল ছবির জন্ত গ্রন্থকারকে বিলাতের সেক্রেটারী-অব-ষ্টেট ও এখানকার ভারত ও বঙ্গদেশীয় গবর্ণমেণ্টের অনুমতি লইতে হইয়াছে। গ্রন্থকারের সৌভাগ্যবশতঃ প্রত্নতত্ত্ববিভাগের মিঃ পুনার ও পাটনা-কলেজের অধ্যাপক মিঃ জ্যাকসন এই গ্রন্থের জন্ম বিশেষভাবে কতকগুলি ফটোগ্রাফ দিয়া গ্রন্থের মূল্য বৃদ্ধি করিয়াছেন। দ্বিতীয় কথা, এই গ্রন্থে যে পাদটীকা দেওয়৷ হইয়াছে তাহ৷ স্ত্রীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শ্রমণ পুর্ণানন্দ স্বামী কর্তৃক প্রস্তুত। এ গুলি যে কিরূপ মূল্যবান তাহ বিশেষজ্ঞ পাঠকগণ সহজেই উপলব্ধি করিতে পরিবেন। তৃতীয়, রায়বাহাদুর শরচ্চন্দ্র দাস মহাশয় লিখিত ভূমিকা। কি প্রকারে ভারতীয় শ্রমণগণ চীনদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার করেন এই ভূমিকায় তাহ সুন্দরভাবে বর্ণিত হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত একটি সুনার নির্ঘণ্ট পত্রও প্রদত্ত হইয়াছে । গ্রন্থের ছাপা, কাগজ, বাধাই স্বনাং । একখানি দ্বিবর্ণে রঞ্জিত মানচিত্র, তিনখানি বহুবর্ণে চিত্রিত ও ১৬ খানি একবর্ণে চিত্রিত ছবি আছে। আমরা এই গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করি। এই শ্রেণীর গ্রন্থ যদি আমাদের দেশের পাঠক-সমাজে আদৃত না হয় তাহা হইলে আমাদের ইতিহাস-সাহিত্য ক্ষতিগ্রস্ত হইয় থাকিবে –ভবিষ্যতে কোনো গ্রন্থকার ७भन कांप्ख शंउ निष्ठ श्ब्रऊ श्रांब्र छै९मांश् ८वां५ कृब्रिट्वन नीं ।