পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাব একাদশ পরিচ্ছেদ দুৰ্দ্দিনে। বেলা তখন পড়িয়া আসিয়াছে। ঘড়িতে পাঁচটা বাজিয়াছে। সকাল হইতেই থাকিয়া থাকিয়া বৃষ্টি পড়িতেছিল। এখনও আকাশ পরিষ্কার হয় নাই, ভারী কয়টুকরা কালে মেঘ প্রকাণ্ড কালে পাখীর মতই যেন ডান মেলিয়া উড়িয়া বেড়াইতেছে। পথে বেশ কাদা হইয়াছে, মধ্যে মধ্যে জলও দাড়াইয়াছে। অত্যন্ত শোচনীয় মলিন দৃশু ! চারিধারেই একটা অপরিচ্ছন্ন নিরাননা ভাব যেন জমাট বাধিয়া রহিয়াছে । এই নিরানন্দ দৃশু একটি প্রাণীর হৃদয়ে কিন্তু এক অপূৰ্ব্ব পুলকের সঞ্চার করিয়া তুলিয়াছিল। বদ্ধ ঘরে সাশির পাশে সোফাটা টানিয়া আনিয়া তাহাতেই আপন দেহ-ভার লুটাইয়া দিয়া সে এই পথের কদৰ্য্যতা লক্ষ্য করিতেছিল। থাকিয়া থাকিয়া দুই চারি পশলা বৃষ্টি নামিতেছে-পথে লুপ্ত পথিক সহসা অমনি আত্মরক্ষার উদ্দেশ্রে কেহ ছুটিয়া অদূরে কোন গাড়ী-বারানার তলে আশ্রয় লইতেছে, কেহ বা ভিজিতে ভিজিতেই অপ্রসন্ন মুখে দেহটাকে যথাসাধ্য সঙ্কুচিত করিয়া দ্রুত পথে চলিয়াছে। ঘরের ভিতরকার এই প্রাণীটি এই দৃষ্ঠে ঈষৎ কৌতুক অনুভব করিতেছিল। সহসা এক পশলা বৃষ্টি নামিলে সে নিকটোপবিষ্ট সঙ্গিনীকে কহিল, “দেখ পরী, আজকে "এই বাদলাটা হয়ে ভারী চমৎকার হয়েছে। রাস্তীয় লোকগুলো চলেছে, দেখ । অন্ত দিন সে কি জাক কি জমক করেই সব পথে চলেন, আজ তেমনি জব ! কাদা মেথে জলে ভিজে চেহারা হয়েছে, দেখ না | এই জল-কাদার দিনগুলো আমার সুন্দর লাগে, মনটা যখন ভারী থাকে অবগু !” 喙 পরী কহিল, “তুমি কি যে বল ফেলিসিয়া —আজ আবার তোমার মনের হল কি ?” “সে কথা থাকৃ। সে তুমি বুঝবে ন, পরী ” বাস্তবিক ফেলিসিয়াকে বুঝা সহজ ব্যাপার নহে। তাহাকে সামলাইয়া বেড়ানো —এক জেঙ্কিশ্বস ছাড়া আর কাহারও সাধ্যে কুলাইয়া উঠে না ! অথচ ঈশ্বর জানেন, জেঙ্কিন্সের প্রতি ফেলিসিয়ার মনের ভাব কেমন। বেশী দিনের কথা নহে —এই কালই জেফিন্স আসিয়া দুই ঘণ্টা ধরিয়া ফেলিসিয়ার দরবারে হাজিরা দিয়াছে, অথচ ফেলিসিয়া তাহার সহিত একটাও কথা कटश् नाहे । छांनि नां, श्रांस cष मशीख অতিথি মহাশয়ের অভ্যর্থনার আয়োজন হইয়াছে, তাহার প্রতি ফেলিসিয়া কিরূপ ব্যবহার করিবে ! ফেলিসিয়া বাহিরের পানে চাহিয়া কি ভাবিতে লাগিল। বৃষ্টির বেগটা বাড়িয়া উঠিল। ফেলিসিয়া সঙ্গিনীকে কহিল, “তুমি ওঠে। পরী—দেখগে, কতদূর কি হল । মোদ অাঁর - একটা কথা মনে রেখেb