পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা ভাবিল, যথাসাধ্য! একটু চিস্তার ও কারণ ছিল। আশ্রমের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। জেঙ্কিন্সের “ধারা’ একেবারেই ব্যর্থ প্রমাণ করিয়া ছেলের অনেকেই মরিয়া নিষ্কৃতি লাভ করিয়াছে—যে কয়টা অবশিষ্ট আছে, সে কয়টাকে জীবিত বলিয়া লোকের সম্মুখে বাহির করিতেও লজ্জা হয় । তাহীদের অস্থি-চৰ্ম্মসার দেহের আবরণে প্রাণবায়ুটুকু কোন মতে যেন ধুকধুক করিতেছে ! পদিভে কছিল, “মাদাম পুল, উপায় ত দেখি, একটি আছে । এই ছেলেগুলোকে আশ্রম থেকে বার করে সেই ওধারকার আস্তাবলের পাশের ঘরে আজকের মত রাখা যাক – কতক্ষণের জন্তই বা ! এতে আর বিশেষ কি খারাপ হবার ভয় আছে ? তারপর বেছে-গুছে এর মধ্য থেকে দু-চারটে ছেলেকে ভালো পোষাক পরিয়ে মাঠের ধারে ক্রিকেট খেলতে পাঠিয়ে দি । ছুটোছুটি করতে মানা করে দেব। বলে দেব, নেহাৎ নিরীহর মত যেন খেলে! আর ছুটোছুটি করবার মত বলই বা ওদের কার আছে । তবু এতে একটু ভালো দেখাতে পারে ।” মাদাম পুলও একটু চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছিল,—সেটা চাকুরির মায়ায়। সে কহিল, “তা ছাড়া আর কি স্বব্যবস্থা করা যেতে পারে ?” তখনই ঘণ্টায় ঘা পড়িল । চারিদিকে ব্যস্ততার ধুম পড়িয়া গেল। হাক-ডাক চীৎকারে নিদ্রিত নির্জন পুরীর অসাড় ঘুম ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ৰলিয়া মনে হুইল । ওধারে বাটার ধূল উড়িতেছে, পাইপে জল নবাব ఆన छूब्रिां८छ्--cशांबt-cवांइ-cन ७क विब्रांछे ईम বাধিয়া গেল । সহসা-ব্যস্ত লোকজনকে দেখিয়া মনে হয় যেন, বেথলিহামে আগুন লাগিয়াছে। সকলের মুখে-চোখে তেমনই চাঞ্চল্য, তেমনই उँ९क♚ाम फ़िई ! দুই ঘণ্টার মধ্যে আয়োজন সম্পূর্ণ হইল। আগাগোড়া মাজা-ঘষা আশ্রম • অতিথিঅভ্যর্থনার জন্ত প্রস্তুত হইয়া দাড়াইল। ভৃত্য-পরিজন যে যাহার জায়গায় দাড়াইল্প * পড়িল । গরু ছাগলগুলাকে ছবির মত সাজাইয়া মাঠে ছাড়িয়া দেওয়া হইল— ম্যানেজার পদিভে শুভ্র পরিচ্ছদে দেহ সজ্জিত করিয়া অফিস কামরায় আসিয়া বসিল— কর্তৃপক্ষ এখনই পরিদর্শনে আসিবেন । ঐ যে র্তাহারা আসিয়াছেন। পদিন্তে শশব্যস্তে আগাইয়া যাইয়া সকলকে অভ্যর্থনা করিল। নবাবের প্রকাও সজ্জিত গাড়ী হইতে ডাক্তার জেঙ্কিন্স, নবাব ও কেন্সিলের এক জন সদস্ত অবতরণ করিয়া আশ্রমে প্রবেশ করিলেন । অভিবাদন, কর-কম্পন প্রভূতিতে অভ্যর্থনার ঘটা পড়িয়া গেল। জেঙ্কিন্সের প্রাণটা ঈষৎ সশঙ্ক ছিল। কি জানি, দুই ঘণ্টার মধ্যে আশ্রমের সজ্জা অতিথিগণের চক্ষে উজ্জল হইয়া উঠিবে কি না । কিন্তু চারিদিকে শৃঙ্খলা দেখিয়া একটা সবিস্ময় পুলকে তাছার অগুর ভরিয়া উঠিল। এবর ওঘর ঘুরিয়া পরিদর্শন শেষ করিয়া জেষ্কিন্স নবাব ও সদস্তকে লইয়া গাড়ী-বারাণ্ডার সম্মুখস্থ ছোট বাগানটিতে আসিয়া বসিলেন। চা আসিল, বিস্কুট আসিল-মদিরার পাত্র ফেনিলোচ্ছল গোলাপী তরল পদার্থে পরিপূর্ণ