৩৪শ হর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । ] ভূত দেখা । ૨dજે ভূত দেখ। ভূত আছে কি না, তাহ লইয়াই তর্ক চলিতেছিল। তর্কের মাত্র অতিরিক্ত চড়িয়াছিল । উমেশ ভায় প্রাণপণ বলে বলিয়া উঠিল, *চাকুষ প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস না করলে ত, মহারাণী ভিক্টোরিয়ার অস্তিত্বও স্বীকার করা याग्न नी !” যতীশ কছিল, “আমি নিজে না দেখে থাকি, অপরে ত তাকে দেখেছে, তার পর টীকা ও টিকিটের উপর মুখের ছবি, ফটোগ্রাফ-এ সবেও ত তার অস্তিত্ব দস্তুর মত প্রমাণ হচ্ছে !” উমেশ উচ্চ হাস্তের সহিত কহিল, “পথে এসো, দাদা—তেমনি ভূতও অনেকে দেখেছে —এবং এখানে না হলেও, আমেরিকা প্রভৃতি দেশে তার ফ’টো পাওয়া যাচ্ছে !” সত্য ! কথাটা উড়াইবার উপায় ছিল না । যতীশ কোম্পানি নিজেদের ফীদে আপন হইতেই ধরা দিল । শুtম এতক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়াছিল, তর্ক থামিতে সে কহিল, “আমি একটা চক্ষুষ প্রমাণের কথা জানি।” সকলে সাগ্রন্থে কছিল, “কি রকম ?” “ও সব নিয়ে বাজে তর্ক করলে চলবে, কেন ?” বলিয়া স্বক্ষ শরীর, অ্যাষ্ট্রাল প্লেন প্রভৃতি, কতকগুলা ফুৰ্ব্বোধ্য প্রকাও কথা, উমেশ এক নিশ্বাসে বলিয়া গেল । আমরা শুামকে চাপিয়া ধরিলাম, “কি রকম প্রমাণটা ছে ?” so Y? Y শু্যাম কহিল, “তবে শোন ।” & শুtম অরম্ভ করিল, “সে আজ প্রায় আঠারো বংসরের কথা ! তখন প্রেসিডেন্সিতে বি, এ পড়ি । মাঘ মাস । মন্মথর বিবাহের ধূমে হোষ্টেলে কাহারে কাজকৰ্ম্ম ছিল না। বদ্ধমানে বিবাহ হইবে—টুেণের সেকেও ক্লাস রিজার্ভ করা হইয়াছিল। ‘সহর বৰ্দ্ধমান কখনো দেখি নাই, দেখিব ; তাহার উপর,হাবড় হইতে বৰ্দ্ধমান অবধি সেকেও ক্লাশে লগেজ-নারী বিবর্জিত অবস্থায় ভ্রমণে, বন্ধুবান্ধবে মিলিয়া হাসি গল্প-গানে সারাপথ নিশ্চিন্ত আরামে কাটাইয়া দিব--ইহারি আনন্দে বিভোর হইয়া উঠিলাম। বিবাহের দিন, সজ্জিত বেশে সকলে বাহির হইলাম । মন্মথ যাইয়। বরবেশে ফাষ্ট ক্লাশে উঠিল—আমরা,বরযাত্রীর দল, সেকেও ক্লাশের রিজার্ভ কক্ষ অধিকার করিলাম । আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল—একজন চীৎকার করিয়া উঠিল, “ধন্ত রাজা পুণ্য দেশ, যদি বর্ষে মাঘের শেষ” ! কথাটা আমাদের মোটেই ভাল লাগে নাই। কারণ, শীল দোশীল পাম্প-মু ভিজিয়া মাটি হইয়া যাইলে, “রাজার পুণ্য দেশের জয়’ গাহিবার প্রবৃত্তিই হইবে না ! ট্রেণ শ্রীরামপুর ষ্টেশন ছাড়িলে মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হইল। এবং শীতটিও প্রচণ্ডভাব ধারণ করিল ! আমাদের আনন্দের স্রোত, তখন, বরফের মত, জমিয়া আসিতেছিল। কায়ক্লেশে । বৰ্দ্ধমানে কগুীপক্ষের বাটী