পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । उांवांद्र भएनांशब्रिठांग्न दिशूझे श्ब्र ८कश्ई थांब ८कांन প্রকার ভাষার রচনা করিতে ইচ্ছুক বা সাহসী হইত না । কাষেই বাঙ্গালা সাহিত্য পূৰ্ব্বমত সঙ্কীর্ণ পথেই চলিল । “ইহা অপেক্ষ বাঙ্গালী ভাষার আরও একটা গুরুতর বিপদ ঘটিয়াছিল ; সাহিত্যের ভাষাও যেমন সঙ্কীর্ণ পথে চলিতেছিল, উহার বিষয়ও ততোধিক সঙ্কীর্ণ পথে চলিতেছিল। যেমন ভাষাও সংস্কৃতের ছায়ামাত্র ছিল, সাহিত্যের বিষয়ও তেমনই সংস্কৃত এবং কদাচিৎ ইংরাজীর ছায়ামাত্র ছিল । সংস্কৃত বা ইংরাজী গ্রন্থের সারসঙ্কলন বা অনুবাদ ভিন্ন বাঙ্গালা সাহিত্য আর কিছুই প্রসব করিত না । বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রতিভাশালী লেখক ছিলেন সন্দেহ নাই, কিন্তু উছার শকুন্তল ও সীতার বনবাস সংস্কৃত হইতে, ভ্রান্তিবিলাস ইংরেজী হইতে ও বেতাল পঞ্চবিংশতি হিন্দি হইতে সংগৃহীত। অক্ষয়কুমার দত্তের ইংরাজীই একমাত্র অবলম্বন ছিল । আর সকলে উাহীদের অনুকারী এবং অনুবত্তী । বাঙ্গালী লেখকেরা গতানুগতিকের বাহিরে হস্ত প্রসারণ করিতেন না । জগতের অনন্ত ভাণ্ডার আপনাদের অধিকারে আনিবার চেষ্টা না করিয়া সকলেই ইংরাজী ও সংস্কৃতের ভাণ্ডারে চুরির সন্ধানে বেড়াইতেন । সাহিত্যের পক্ষে ইহার অপেক্ষ গুরুতর বিপদ অtর কিছুই নাই। বিদ্যাসাগর মহাশর ও অক্ষয়বাবু যাহা করিয়াছিলেন তাহ সময়ের প্রয়োজনীমুমত, অতএৰ র্তাহারা প্রশংসা ভিন্ন অপ্রশংসার পাত্র নহেন ; কিন্তু সমস্ত বাঙ্গালী লেখকের দল সেই একমাত্র পথের পথিক হওয়াই বিপদ । “এই দুইটা গুরুতর বিপদ হইতে প্যারীচাঁদ মিত্রই বাঙ্গালা সাহিত্যকে উদ্ধার করেন। যে ভাষা সকল বাঙ্গালীয় বোধগম্য এবং সকল বাঙ্গালীকর্তৃক ব্যবহৃত, প্রথমে তিনিই তাহা গ্রন্থ প্রণয়ণে ব্যবহার করিলেন। এবং তিনিই প্রথম ইংরাজী ও সংস্কৃতের ভাণ্ডারে পূৰ্ব্বগামী লেখকদিগের উচ্ছিষ্টাবশেষের অনুসন্ধান না করিয়া, স্বভাবের অনন্ত ভাণ্ডার হইতে আপনার রচনার উপাদান সংগ্ৰহ করিলেন। এক “জালালের > y বঙ্গসাহিত্যে প্যারীচঁাদ । 8లి: घ८ब्रङ्ग झलांज" श्रङ ७३ छेउब्रदिष छैtअथ निझ इईण । উহার অপেক্ষ উৎকৃষ্ট গ্রন্থ তৎপরে কেহ প্রণীত করিয়া থাকিতে পারেন, অথবা ভবিষ্যতে কেহ করিতে পারেন, কিন্তু “আলালের ঘরের দুলালের" দ্বারা বাঙ্গীলা সাহিত্যের যে উপকার হইয়াছে, আর কোন বাঙ্গাল গ্রন্থের দ্বারা সেরূপ হয় নাই, এবং ভবিষ্যতেও হইবে কি ন সন্দেহ ।” “আমি এমন কথা বলিতেছি না ষে “অtলালের ঘরের দুলালের" ভাষা অাদর্শ ভাষা। উহাতে গাম্ভীৰ্য্য এবং বিশুদ্ধির অভাব আছে এবং উহাতে অতি উন্নত ভাব সকল, সকল সময় পরিস্কটু করা যায় কি না সন্দেহ । কিন্তু উহাতেই প্রথম এ বtঙ্গীলা দেশে প্রচারিত হইল যে, যে বাঙ্গাল সৰ্ব্বজন মধ্যে কথিত ও প্রচলিত, তাহাতে গ্রন্থ রচনা করা যায়, সে রচনা সুন্দরও হয় এবং যে সৰ্ব্বজন-হৃহয়-গ্রাহিত সংস্কৃতামুসারিণী ভাষার পক্ষে দুলভ, এ ভাষার তাহ সহজ গুণ । এই কথা জানিতে পারার পর হইতে উন্নতির পথে বাঙ্গাল সাহিত্যের গতি আতিশয় দ্রুতবেগে চলিতেছে । প্যারীচরণ মিত্র আদর্শ বাঙ্গালা গদ্যের স্বষ্টিকৰ্ত্ত নহেন, কিন্তু বাঙ্গালা গদ্য ষে উন্নতির পথে দাড়াইয়াছে, প্যারীচাঁদ তাহার প্রধান ও প্রথম কারণ, ইহাই তাহার অক্ষয় কীৰ্ত্তি । “আর তাহার দ্বিতীয় অক্ষয় কীৰ্ত্তি এই যে, তিনিই সৰ্ব্ব প্রথমে দেখাইলেন যে সাহিত্যের প্রকৃত উপাদান আমাদের ঘরেই আছে—তাহার জন্ত ইংরাজী বা সংস্কৃতের কাছে ভিক্ষা চাহিতে হয় না। তিনিই প্রথম দেখাইলেন যে, যেমন জীবনে, তেমনই সাহিত্যে ঘরের সামগ্ৰী যত স্বন্দর, পরের সামগ্রী তত সুন্দর বোধ হয় না। তিনিই প্রথমে দেখাইলেন যে, যদি সাহিত্যের দ্বারা বাঙ্গালী দেশকে উন্ন গু করিতে হয়, তবে বাঙ্গালা দেশের কথা লইয়াই সাহিত্য গড়িতে হইবে। প্রকৃত পক্ষে আমাদের জাতীয় সাহিত্যের আদি “আগালের ঘরের দুলাল”। প্যারীচাঁদ মিত্রের ইহাই দ্বিতীয় কীৰ্ত্তি ।” সহৃদয় বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং মুক্তকণ্ঠে স্বীকার