পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ly তাহার সেই অন্তর্নিহিত চিরন্তন শক্তির প্রয়োজনের বাহিরে আসিয়া দাড়াইয়াছে ? তাহা যে দিন দাড়াইবে সে দিন ত’ সে মৃত— তাহার জীবনীশক্তিই সে হারাইবে । বাহিরের পৃথিবীকে দেখিয়া আমরা যদি কাহারও ভালটি গ্রহণ করিতে অগ্রসর হই, তাহা হইলে সেটা কি নিৰ্ব্বোধ অনুকরণ ? নিৰ্ব্বদ্ধিতা কোনটা—বাহিরের ভাল দেখিয়াও আপনার ক্রটি স্বীকার করিয়া অবিলম্বে অপরের সেই ভালটিকে সাদরে গ্রহণ করা, না, চোখ বুজিয়া থাকিয় তাহাকে অস্বীকার করা ? ভিতরে ভিতরে ঠেকিয়াও নিজের বস্তুটি শ্রেষ্ঠ বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করাই কি যথার্থ মনুষ্যত্বের লক্ষণ ? বিপিনবাবু এরূপ যুক্তির সমর্থন করিবেন বলিয়া আমাদের বিশ্বাস নহে। লেখক বলিয়াছেন, “বিদেশী ছাচে স্বদেশকে ঢালিবার উৎকট উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা যাইতে পারে।” ইহার অর্থ কি-বিদেশী আদর্শ মাত্রেই আমাদের পরিবর্জনীয় ? তাহ! কি আমাদের পক্ষে অমঙ্গলকর ? কিন্তু আমাদের ত মনে হয় আদর্শ গ্রহণ করায় দোষ বা লজ্জা নাই। বরং তাহাতে উপকার আছে বলিয়াই আমাদিগের ধারণা । আমরা যদি কেবলমাত্র অপরের বাহ চাকচিক্যের মোহে মুগ্ধ হইয়া অকারণে, অপ্রয়োজনে, অবোধের ন্তায় অপরের অনুকরণ করিতে থাকি, তাহা হইলে আমরা অপরাধী সন্দেহ নাই। কিন্তু গ্ৰহণ মাত্রেই যে অমুকরণ নহে এ কথাটি আমাদের স্মরণ রাথিতে হইবে । ভারতী । ר כטיג tifa• বস্তুত্ত একটা জাতিতে কোন গুণের উৎকর্ষ দেখিয়া অপর জাতি যদি তাঁহার ছাচে আপনাকে গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করে তবে তাহাকে অনুকরণ বলাই সঙ্গত হয় না ; তাহা সুপ্তভাবের উদ্বোধন মাত্র । ১২৯৭ সালের ভাদ্র সংখ্যা ‘ভারতী ও বালকে’ পূজনীয় শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাহার আর্য্যামি ও সাহেবিআনা প্রবন্ধে এ সম্বন্ধে একটি মুন্দর দৃষ্টান্ত দিয়াছিলেন,— “নেপোলিয়নের দৃষ্টাস্তে শত সহস্ৰ সেনা তোপের মুখে জরাজীর্ণ সেতু অতিক্রম করিয়া শক্ৰ प्टेमछ 'ब्राङ्कङ कब्रिण, उाश श्हे८ङ यमन বুঝায় না যে নেপোলিয়নের অনুকরণে সৈন্তগণ সেই মুহূর্তে ভূই ফোড় বীর হইয়া উঠিল—তাছাদের অন্তরে যে বীর ভাব সুপ্ত ছিল নেপোলিয়নের দৃষ্টাস্তে তাহাই উদ্বোধিত হইয়া উঠিল মাত্র । সৈন্তগণ যদি র্তাহার ধরণে ওয়েষ্ট কোটের পকেটে হাত দিয়া দাড়াইত কিম্ব তাহার ঢঙের কোর্তা পরিত তবেই অনুকরণ হইত।” পরিবর্তন যে অনিবাৰ্য্য, অবগুস্তাবী তাহ বিপিনবাবু নিজেও স্বীকার করিয়াছেন। তবে সেই পরিবর্তনের আকার লইয়াই সমস্ত ! আমরা যদি আমাদের নারীদের মেম সাজাইয়া পুতুলের মত নাচাই, তাহ হইলে ব্যাপারট যেমন হাস্তাম্পদ তেমনি ক্ষতিকর সন্দেহ নাই । আর্য্যামি ও সাহেবি আনার ভাষায়—“যাহা সাজে না তাহা আপনার গাত্রে বলপূৰ্ব্বক সাজাইতে যাওয়ার নামই অমুকরণ ! Museকে সাড়ী পরা সাজে না— সরস্বতীকে গৌন পরাও সাজে ন! * * * প্রকৃত অমুকরণ ইহাই। কিন্তু যদি