পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । আমাদের নারী-সমাজের বর্তমান অবস্থাটি চিরস্থায়ী করিবার ইচ্ছা বা কল্পনা সমাজের পক্ষে মঙ্গলজনক না হয় তবে কতক পরিমাণে বিলাতি আদর্শ গ্রহণ করাও আমাদের স্বাভাবিক,— এবং সুলক্ষণ। আর আদর্শ গ্রহণ করিলেই যে কোন জাতি ভিন্ন জাতি शग्र न उांशग्न झूठेखि छांश्नांन। छांश्रान অন্তের ছাচ গ্রহণ করিয়াও সে জাপানই wice I coffs fox Law of heridity or of fox Law of adaptation এই দুই নিয়মেই সংসার ও সমাজ চলিতেছে। চতুর্দিকের পরিবর্তনশীল অবস্থার সহিত চলিতে ন পারিলে কোনও জীব—কোন সমাজ পৃথিবীতে টিকিতে পারে ন—এবং এই সঙ্গতি রক্ষা করিয়া চলিতে হইলেই জীবের পৈতৃক গুণ সকলও অল্পে অল্পে পরিবর্তিত হইতে থাকে। আসল কথাটাই হইল এই ৷ এই ছাঁচ বা আকার আমাদের কাহারও অস্তরের আকাঙ্খার অনুবত্তী হইতে বাধ্য নহে । যে নিয়মের বলে পরিবর্তন অবগুস্তাবী, সেই নিয়মের ফলেই আকারও অবশুম্ভাবী ! নুতন যুগের স্বধৰ্ম্ম যেরূপ, তাছার অভিব্যক্তির আকারও সেইরূপ হইবে। পরিবর্তন ক্রিয়া আপনা চইতে স্বাভাবিক নিয়মে যতদিন চলিতে থাকিবে ততদিন আমাদের কাহারও পক্ষেই “মৃত্যুকে ডাকিয়া আনা” অসম্ভব, কারণ ডাকট। আমাদের নিজের নহে,—যুগধৰ্ম্মের ! সেই ধৰ্ম্মানুসারে যদি আমাদের জাতিগতভাবে অপর কোন জাতির সহিত আকারের সাদৃশু আসিয় পড়ে, তাহা হইলে আমরা অতীতকে হীরাইবার জন্ত আক্ষেপ করিতে পারি সত্য, বক্তব্য । 8by" কিন্তু . বর্তমানের জন্ত অনুতাপ করিলে কাৰ্য্যটা ঠিক যুক্তিসঙ্গত হইবে বলিয়া cदां५ श्झ नाँ । ঘরে মা বোনের কাছে আমরা যেভাবে থাকি সেইভাবে সাহেব মেম বা অপর কাহারও নিকট আত্মপ্রকাশ করিতে লজ্জাবোধ করি বলিয়া বিপিনবাবু বাঙ্গালীকে একটু লজ্জা দিবার চেষ্টা করিয়াছেন । কিন্তু ইহাতে লজ্জা পাইবার হেতু ত আমরা খুজিয়া পাইলাম না । ভিতর ও বাহির বলিয়া একটা ব্যাপার চিরদিনই সকল দেশে ও সকল সমাজে আছে। ইংরাজ আসিবার পূৰ্ব্বে কি আমাদের মধ্যে তাহার কোনও বিপরীত রীতি প্রচলিত ছিল ? তা ছাড়া পুরুষদের কাছে পুরুষের যেভাবে মেশায় কোনও বাধা থাকেন, স্ত্রীলোকের সহিত মিশিতে গেলে সেভাবে চলা কোনমতেই সঙ্গত বা শোভন হয় না— একটু সংযত হওয়া আবশুক হইয় পড়ে। পুরুষের সহিত স্ত্রীলোকের মেলা মেশা সম্বন্ধেও একথা থাটে । আর একস্থানে তিনি বলিয়াছেন— “হিন্দুর বর্ণভেদে মনুষ্যত্বের যে অবমাননা করা হইয়াছে, খৃষ্টীয় দেশের শ্রেণীভেদে যে তদপেক্ষা শতগুণ অধিক অবমাননা করা হয়, এ কথা স্বীকার করা যাইতে পারে।” এ স্বীকারের মূলের যুক্তিটি শুনিবার জন্ত আমরা উৎমুক রহিলাম । যুরোপে শ্রেণীভেদ আছে সত্য,—সেখানে মানুষ উচ্চ নীচ কেবল অর্থের তারতম্যে। বেশ ! মানুষকে ने। দেখিয় তাহার অর্থসম্পদকে দেখিলে যে তাহার মনুষ্যত্বকে অবমাননা করা হয় তাহা বুঝিলাম। কিন্তু অর্থহীনের অর্থবান হওয়া