পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ఆ M. Windisch যে সাদৃপ্ত ঘটাইয়াছেন শুদ্রক ঐ অপুৰ্ব্ব সাদৃষ্ঠের কথা শুনিলে নিশ্চয়ই অবাক হইয়া যাইতেন। বসন্তসেনার সহিত যোগনিদ্রার, ও বাহন-বিনিময়ের সহিত শিশু-বিনিময়ের যে, লেশমাত্র যোগ আছে, তাহা তিনি স্বপ্নেও মনে করিতে পারিতেন না । মোটকথা, মৃচ্ছকটিকা আর কিছুই নহে,একটা গল্পকে অঙ্ক ও দৃষ্ঠে বিভক্ত করা হইয়াছে, এবং ভারতীয় রীতি অনুসাবে উহার মধ্যে কতকগুলা ঘটনা ও পল্লবিত কথা ঠাসিয়া দেওয়া হইয়াছে মাত্র। নাট্যকার্য্যের দ' বিভাগ-অনুরূপ দশ অঙ্ক সন্নিবেশ করিবার জন্ত কবি প্রচলিত প্রকরণই অবলম্বন করিয়াছেন। উহার মধ্যে তিনি রাশি-রাশি গীতিকবিতা ও স্বভাব বর্ণনার শ্লোক সন্নিবিষ্ট করিয়াছেন। প্রথম অঙ্কেব প্রথম অংশটি দারিদ্র্য-দুঃখের বর্ণনায় পবিপূর্ণ; অনুসরণ দৃশুটিতে ভীতিবিহবল বসন্তসেনার পলায়ন বর্ণিত হইয়াছে। শকার, বিট্ ও দাস একই ভাবের কথা বলিতেছে, কিন্তু উৎণদের পরস্পর কথার ধৰণের মধ্যে যে একটা পার্থক্য আছে, বিশেষরূপে তাহ হইতেই হস্তরস নিঃস্থত হইয়াছে। চন্দ্রেীদয়ের বর্ণনায় প্রথম অন্ধটি শেষ হইয়াছে। দ্বিতীয় অঙ্কের শ্লোকগুলিতে দ্যুত্বের পরিণামফল এবং তাহার পর একটা পলাতক हैंठीञ्च, মত্তত বিবৃত হইয়াছে। তৃতীয় অঙ্কের শ্লোকগুলিতে গান্ধকের গুণ, অস্তমান চন্দ্রের শাভা ও পরে চৌর্য্যবিদ্যাসম্বন্ধীয় উপদেশ বিবৃত श्हेब्राप्झ्।, চতুর্থ জন্ধে নারীজাতি ওবারাঙ্গন সম্বন্ধে কতকগুলি উপদেশপরম্পরা প্রদত্ত হইয়াছে ; তাহার পর মৈত্রেয়ী, বসন্তসেনার ভারতী জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১ প্রাসাদে যে অষ্ট অঙ্গন পার হইয়াছিল তাহার এক দীর্ঘ বর্ণনা আছে । নিশ্চয়ই এই স্থলে পূৰ্ব্ববর্তী এক কবির রচনা শূদ্রকের স্মৃতিপথে পতিত হয় । কথাসরিৎসাগরের একস্থলে বারাঙ্গনা মদনমালার প্রাসাদের সপ্ত প্রাকার-বেষ্টনের বর্ণনা আছে। এই জাতীয় সাহিত্যে, ইহা বর্ণনার একটি সাধাবণ বিষয় সন্দেহ নাই। পঞ্চম অঙ্ক, প্রায় সম্পূর্ণরূপে প্রেম-সংশ্লিষ্ট এক ঝটিকার বর্ণনায় পূর্ণ। চারুদত্ত, বসন্তসেন ও বিট, পাল কবিয়া পরপর এই অপূৰ্ব্ব বিষয়ের বর্ণনা করিতেছে । আর . অধিক বিশ্লেষণ কর বাহুল্য। স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, কালিদাসের স্তায়, ভবভূতির হ্যায়, শূদ্রককবিও মহাকাব্য-সুলভ বর্ণনা-প্রকরণ নাটকে প্রবর্তিত করিয়াছেন । ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের অন্তান্ত “ক্লাসিক” রচনায় যেরূপ সাহিত্যিক বিকাশ উপলব্ধি হয়, মৃচ্ছকটিক হইতেও সাহিত্যিক বিকাশ সম্বন্ধে সেই একই প্রকাব অবস্থা অকুমান করা যায়। মৃচ্ছকটিকার ভাষা কালিদাসের ভাষার সহিত তুলনা করিলে, কোনও প্রকার লক্ষণগত পার্থক্য ধরা পড়ে না। ’ , ইঙ্গর ভাষা বিষদ ও সরল, উহাতে পাণ্ডিত্য ঘ লাইবার চেষ্টা নাই। রচনাগুলি প্রায় তিন চারি চরণের অধিক নছে ; ভবভূতির নায় উছাতে অপরিমিত দীর্ঘত নাই। কিন্তু রচনাকাল সম্বন্ধীয় তর্কে, এই .ভাষাগত সরলতার বিশেষ বোন মূল্য নাই। এইরূপে ইহার ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে যে, এই দুই ক্লবি, দুই বিভিন্ন সাহিত্য-সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন। কালিদাসের রচনার পাক