পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిషి 8 হইয়াছে। সমস্ত দিনের গুমো গরমের পর, সন্ধ্যার স্নিগ্ধ বায়ু একটু উদাম ভাবেই উঠানের পাশ্বস্থিত কদলী বৃক্ষের দীর্ঘ দীর্ঘ পাতাগুলা লইয়া খেলা করিতেছে। আম্র বৃক্ষের পল্লবরাশির মধ্যে লুকাইয়া একটা কোকিল পক্ক আস্ত্রের স্বদে তুষ্ট হইয় এক এক বার ডাকিতেছে কু-উ ! বাড়ীর বাহিরে পথি পাশ্বস্থ অশ্বখ বৃক্ষ হইতে সেই কু-উ শব্দের প্রতিদ্বন্দ্বী সাড়াও একবার একবার অসি তেছে ‘চোখ গেল’ । প্রভাতে “অরণ্য” বা “জামাই ষষ্ঠী” । জ্যৈষ্ঠ মাসেব শুক্লপক্ষের এই ষষ্ঠীই বারোমাসের তেরো ষষ্ঠীর মধ্যে “রাজধষ্ঠা” ! তাই আজিকার ঐ বালচন্দ্র ও তারাসনাথ আকাশখানির মত গৃহস্থের অঙ্গনখানিরও বড় শোভা । সেখানে আনন্দ কোলাহলেঃ সঙ্গে বালকবালিকার মা ষষ্ঠীর “কোল বায়নার” * সজ্জা তৈয়ারী করিতে অত্যন্ত ব্যস্ত ! কেহ কলার “পেটো” ( খোল ) — গুলি একহাত দেড় হাত পরিমাণ কাটিয়া -ব্ৰাখিতেছে, কেহ নারিকেলের খিল ভাঙ্গিয়া ভাঁহাতে শুষ্ক কদলী-ত্বকের “ছেটো” বাধিয়া খিলগুলি বাকাইয়া ধনুএবং নারিকেলের থিলের দুইধারে কড়ি পরাইয় তীর তৈরী করিতেছে ; কেইবা শুষ্ক ‘বাস্না টুকর টুকরা করিয়া কাটিয়া লইয়া ঐরূপে পাখী তৈয়ী করিতেছে। অপেক্ষাকৃত বয়স্থা ক্লিশেরী “সিদি” বা “বৌদিদির।” আঁতব চাউলের গুড়ি বা পিটালীর সঙ্গে কয়লার গুড়া মিলাইয়াঁ “পোনা”ঘেরা একটা সোল মাছ আর গৃহস্থের বাড়ীর সেই “কালো বিড়াল” ও তাছার বাচ্ছা গড়িতেছে ; ভারতী জ্যৈষ্ঠ, ১০২১ এবং পিঠালিতে হলুদ-গুড় মিশাইয়া মা ষষ্ঠীর খাড়, কঙ্কণ ও গায়ে সিঁহরের ডোরা টানিয়া শঙ্খ চিত্ৰত করিতেছে। বেহব ষষ্ঠ গাছি দুৰ্ব্বা ও ধানের শিষ সংগ্রহে ব্যস্ত। কিন্তু তাহাদের সময়ই সব চেয়ে কম। বাড়ীর জামাই দুইটি নিমন্ত্রিত হইয়া আসিয়াছেন – তাহাদের জল-খাওয়ানো পান-দেওয়ার জন্ত জনোগোনায় মাঝে মাঝে কিশোরীদের চপলগতি চরণের রুণুঝুণুৰ সঙ্গে আনন্দের কলকণ্ঠও বাড়িয়া উঠিতেছে “মাগো ! বারে বারে এমন করে ফরমাস খাটুতে হলে, কেবল পান সাজ আর জল খাবার যোগাতে হ’লে আমাদের কাজ এগোলেন দেখছি, আমরা কখন্‌কি করব !”-“ও:- বেজায় কাজের লোক যে সব”—উত্তর দিবার অছিলায় মধুর সম্পৰ্কীয় কেহ এই কোন্দলটি একটু জাকাইয় তুলিতেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ঝঙ্কাবে প্রতিবাদ উঠতেছে—“ন: তা কেন ! দাবা টেপ আর 'পান চায়ের শ্রাদ্ধ করাই সব চেয়ে গুরুতর কাজ * বাড়ীর বধূ ও জ্যেষ্ঠ কন্যার রন্ধন ও তাহার উদ্যোগাদিতে ব্যস্ত । গৃহিণী ঠাকুর ঘরের দ্বারে বসিয়া খানিকটা ক্ষীর গছ ক্ষীরের নাড়, ও পূর্ণ গড়িতে গড়িতে কিশোরী কম্ভদের রহস্ত কোন্দল শুন্সিয়া মৃদু হাসিয়া বলি নে ন "ষাটু ষাট্‌ !—বাছারা আমার কতদিন পরে আমাব কত ভাগ্যে এসেছে! মেয়েগুলো যেন দিন দিন ধিঙ্গি হচ্চেন !” বড়বধু রন্ধনগৃহ হইতে বাহিরে আসিয়া কনিষ্ঠ ননদের , কোনলি • শুনিয়া হাসিয়া অঞ্চলে ছাত মুছিতে মুছিতে বললেন “ওরা কেবল দাবী বড়ে টেপে আর তোরা বুঝি বলেজ কাছারীর কাজট