পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७४° १र्ष, फूडौब्र সংখ্যা বঙ্গদেশে প্রতি হাজার অধিবাসীর মধ্যে ৭৭জন মন্দাজ বিভাগে , 骏 , ৭ ৫ জন বোম্বাই , , , ,, ৬৯ জন বিছার ও উড়িষ্যা , 霉 , ৩৮ জন ছোটনাগপুর ডিভিসনের মধ্যে মানভূম জেলায় শিক্ষিত লোকের সংখ্যা সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক । এখানকার অধিবাসীগণের মধ্যে প্রতি হাজারে মাত্র ৪৩ জন লোক লিখিতে জানে ! কিন্তু ছোটনাগপুবেব অষ্টান্ত বিভাগেব লিখিতে পড়িতে জান৷ লোকেৰ সংখ্যা আরও কম, হাজারকরা মেট্রে ২৮ জন মাত্র । এই জেলার অধিবাসীগণের মধ্যে অধিকাংশ লোক দিক্‌, দুরত্ব বা সময়ের সঠিক পৰিচয় দিতে পারে না । সাধারণতঃ বহুসংখ্যক লোকু উত্তর, দক্ষিণ প্রভৃতি দিকের নাম পৰ্য্যন্ত জানে না! পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম দিক্‌ বুঝাইতে হইলে, তাহার যুথাক্রমে “বেল উঠা” ও “বেল ডুবা” দিক বলে। “বেল উঠা” শব্দে স্বর্য্যোদয়ের দিক্ এবং “বেলা ডুবা” শব্দে স্বৰ্য্যাস্তেব দিক্‌ বুঝায়। উত্তর ও দক্ষিণ দিক বুঝাইতে হইলে লোকে ঐ ঐ দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া দেখাইয়া দেয়। তদ্ব্যতীত উত্তর দক্ষিণদিক বুঝাইবার উপযুক্ত কোন ভাষার সহিত তাহারা পরিচিত मुठ्ठ | মানভূমে দিক্‌ বুঝাইবার জন্ত অপর একটি উপায় বর্তমান আছে। এখানকার छूमि নিতান্ত অসমতল। যে কোন একটি স্থান তাহাব নিকটবৰ্ত্তী অপর স্থান অপেক্ষ উচ্চ " নিম্ন বলিয়া প্রতীয়মান হইবে। সেই লাৰে লোকে "অমুক স্থানের উপরে পড়িতে মানভূমবাসীর দিকবিদিক জ্ঞান &S ふ বা নিম্নে" বলিয় দিক নির্দেশ করে । গ্রামের যেভাগ নিম্ন, . “নামে, পাড়া” উচ্চভাগ “উপর পাড়া” বলিয়া কথিত হইয়া থাকে । এই জেলার অন্তর্গত পুরুলিয়া সহরের উত্তর পূর্বাংশ সহরের অন্তান্ত স্থান অপেক্ষ নিম্ন এই হিসাবে, এই পল্লী, নামে পুরুলিয়” নামে অভিহিত হইয়া আসিতেছে। রাস্তার যে অংশ উন্নত স্থানে থাকে, তাহার নাম “উপর কুলি” (কুলি=গ্রাম্যরাস্তা ) ও অপরাংশের নাম “নামে কুলি” । “উপর কুলি”র ধারে যাহাদের বাস, তাহার “উপর কুলির লোক,” ও “নামোকুলির ধারে যাহাঁদের বাস, তাহার “নামে কুলির লোক” বলিয়া পরিচিত। এই প্রকারে দিক্ নির্ণীত হইলে, ভদ্বার উত্তর দক্ষিণ প্রভৃতি দিকের কোন আভাস পাওয়া যায় না । বঙ্গদেশের অন্তান্ত স্থানে যে প্রকার বিঘা কাঠার হিসাবে জমীর পরিমাণ অবধারিত হয়, মানভূমের কৃষকগণ সে প্রকার বিঘা কাঠার হিসাব জানে না। এখানে জমীতে বৎসরে যে পরিমাণ ধান্ত উৎপন্ন श्झे, অথবা জমীর বপন জন্ত বৎসরে যে পরিমাণ বীজধান্তের প্রয়োজন হয়, সেই হিসাবে জমীর পরিমাণু কথিত হইয়া থাকে। এখানে সাধারণতঃ “পাচ পুড়া ( ১ পুড়া= ১• মণ) বা তিন পুড়া ধান্তের” জমী বলিয়া জমীর পরিমাণ প্রকাশিত হয়! স্ট্রেীয় ভাষায় “দু’শ ধান্তের” জমী বলিলে, যে জুমীতে বৎসরে দুইশত মণ' ধান্ত উৎপন্ন হইতে পারে, সেই পরিমাণ জমী বুঝায় । তদ্ব্যতীত এখানে "একমণ বা পাচমণ ধান্ত