পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ । রূপভেদঃ রূপভেদাঃ —রুপে রূপে বিভিন্নতা, রূপের মৰ্ম্মভেদ বা রহস্ত উদঘাটন,—জীলিত রূপ, নির্জিত রূপ, চাকুষ রূপ, মানস রূপ, স্ন রূপ, কু রূপ ইত্যাদি । - মায়ের কোলে সব প্রথম চোখ খুলিয়। অবধি আমরা রূপকেই দেখিতেছি । “জ্যোতিঃ পঙ্গুত রূপাণি।” গ্রহনক্ষত্রের জ্যোতি, রূপকে প্রকাশিত করিতেছে, আত্মার জ্যোতি, রূপকে প্রকাশি ত দেখিতেছে –আলোকের ছন্দে, ভাবের ছন্দে---"বহুধ।’ ‘বহু প্র কাবে", যথা – জ্যোতিঃ পথতি রূপাণি রূপঞ্চ বহুধামৃতম্ হম্বোদীর্ঘস্তথা স্থলচতুবস্ৰোহ মুৰ্বত্তবান ॥৩৩ শুক্ল: কৃষ্ণ স্তথা রক্ত: পীতে,নীলারণস্তথা কঠিনশ্চিক্কণঃ শ্লক্ষ্ণঃ পিচ্ছিলো মৃদু-দাবণঃ ॥৩৪ ৷ (মহাভারত, শাস্তিপৰ্ব্ব মোক্ষধৰ্ম্ম ১৮৪ অধ্যায়) ত্বস্ব, দীর্ঘ, স্থল চতুষ্কোণ ও নানা কোণ— যেমন ত্রিকোণ ষট্রকোণ অষ্টকোণাদি এবং গোলাকৃতি অণ্ডাকৃতি ; অথবা শ্বেত, কৃষ্ণ, নীলারুণ ( বেগুনি) ও নানা গেব মিশ্রিত রূপ ; রক্ত পীতাদি এক এক স্বতন্ত্র বর্ণরূপ ; কঠিন, চিকণ, শ্লক্ষ্ম ( স্বক্ষ, কৃশ, স্নিগ্ধ, স্বল্প ), পিচ্ছিল অর্থাৎ পিছল,—যেমন কাদা, যেমন জল ; পিচ্ছিল যেমন ছত্রাকার ময়ুবপিচ্ছ ; মুহ যেমন শিরীষ ফুল, দারুণ যেন লোহার ভীম ! ছোট বড়, রোগ মোটা, কাটছাট, ’ গোলগাল, কালোধলে, একরঙ্গ, পাচরঙ্গ ३ड]ाि সু-উপরের শ্লোকে যে ষোলো প্রকার g ভারত ষড়ঙ্গ রূপ কথিত হইয়াছে তাহার বিস্তার অশেষ । এই রূপের অসীমত এক এক পদার্থে বিচ্ছিন্ন, বিভিন্ন দেখা এবং এই অখণ্ড বিভিন্নতাকে একে সমাহিত—অসীমে প্রতিষ্ঠিত—দেখাই হচ্ছে চক্ষুব এবং আত্মার কাজ । প্রথমে রূপের সহিত চোখের পরিচয়, ক্রমে তাহার সহিত আত্মার পরিচয়—ইহাই হচ্ছে রূপভে.দর গোড়ার কথা এবং শেষের কথা । চক্ষু দিয়া যখন রূপভেদ বুঝিতে চলি তখন এক রূপের সহিত আর-এক রূপের তুলনা দিয়া দুয়ের পার্থক্য দেখিতে চলি ;–তুম্বকে দীর্ঘ দিয়া, চতুষ্কোণকে নানা কোণ কিম্বা নিক্ষেীণ, কঠিনকে কোমল দিয়া, এবং এক বর্ণকে আর এক বর্ণেব পাশে দাড় করাইয়। এরূপে কেবল চোখের দেখার দৃশ্য বস্তুটি তোমারও কাছে যেরূপ আমার ও কাছে সেইরূপ । রমণীকে তুমিও দেখিতেছ রমণী, আমিও দেখিতেছি বৰ্মণী ; তুমিও তাঁহাকে চিত্রিত করিতেছ যেরূপে, আমিও চিত্রিত করিতেছি সেইরূপে, এবং এই ফটো-যন্ত্রটিও চিত্রিত করিতেছে সেই রূপে । সুতরাং কেবল চোখের সাহায্যে রূপটি চিক্রিত হইলে তোমার চিত্রিত, আমার চিত্রিত এবং 'ফটাে-যন্ত্রের চিত্রিত রূপেতে, বিভিন্নত রহে না ; বড় জোর রূপটির তুমি দেখাইলে এক পাশ, আমি দেখাইলাম এক পাশ, সে দেখাইল একপাশ। হয়তে তুমি দেখাইলে এক রমণী জল তুলিতে চলিয়াছে, হয়তো আমি দেখাইলাম সেই রমণীটিই চুল বাধিতেছে এবং সে দেখাইল শিশুকে