পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৮ থানি গাছের আড়ালে ঢাকিয়া দিলাম ; কুটারের লেখা অংশটি কুটারের ভঙ্গী বা কুটীরের ভাবে প্রকাশের দিকটা আমাদের . দেখাইল, আর গাছের আড়ালে, ঢাকা কুটারের প্রচ্ছন্ন অংশটুকু ইঙ্গিতে জানাইতে লাগিল-কুটারের ভিতরের ভাব, কুটারবাসীর নানা লীলা । সে দিকটায় আমরা কল্পনা করিয়া লইতে পারি—নান অলিখিত বস্তু । মন কেমন কেমন করিতেছে, সুতরাং চোখে সকলি কেমন কেমন ঠেকিতেছে! এই ভাবটি কবিতায় খুলিয়। বলিতে গেলে দেখি কাব্য হয় না ; সেখানে কবিকে না খুলিয়াই বলিতে হইতেছে—

  • স এল সুরভিঃ কাল: স এব মলয়ানিলঃ সৈবেয়মবল কিন্তু মনোহন্তদিব দৃপ্ততে ”.

সেই তো বসন্তকাল, সেই মলয় বাতাস, সেই তো এই প্রয়সী ! কিন্তু মন কেমন কেমন করিতেছে—সকলি কেমন কেমন দেখিতেছি ! কেমন যে দেখিতেছি তাহা খুলিয়া বলতে পারিতেছি না। ভাবের ভঙ্গীর বা বাহিবের দিক, চিত্রের রেখা, বর্ণ ইত্যাদি দিয়া খুলিয়া বলা চলে কিন্তু ভাবে বঙ্গোর দিক বা অস্তবের দিক আবছায়া দিয়া ঢাকিয়া দেখানে ছাড়া উপায় নাই। . . . টানে যেটা প্রকাশ হয় না, টোনে তাহা --প্রকাশ করে। “বেলা গেল পাবে যাবি না !” এ কথার লেখার টানে কিবা প্রকাশ হইল ? কিছুই না। কিন্তু এই কথার টোনটুকুতেই লালাবাবুকে সংসারের পারে ভাসাইরা লইয়৷ গেল। এই টোনকেই বলি ব্যঙ্গ্য । চিত্রে ভঙ্গী দিয়া ভাব প্রকাশ করা ভারতী , • আষাঢ়, ১৩২১ সহজ ; কিন্তু চিন্ত্রিতের মধ্যে ব্যঙ্গ্যটি দেওয়া. সহজ কাৰ্য্য নহে। এই জলপত্রটি যদি কাঙালের ইহা বুঝাইতে চাহি, তবে জলপত্রটিব আকৃতিমাত্র লিখিয়া নিশ্চিন্ত হইতে পারি না ; –কেন না সেরূপ জলপাত্র দেখি বহু ধনী-গৃহেও আছে! না হয় চিত্রিত করিয়া দেখাইলাম, জলপাত্রটি মলিন ও বহু স্থানে বিদীর্ণ ; কিন্তু এত করিয়া ও সেটি যে কঙালের যত্বের ধন তাহ কেমন কবিয়া বুঝাই ? মনে হইতেছে যে, কাঙালটিকে কুলপা স্ত্রটির পাশে বসাইয়া দিলেই তে| সব গোল চুকিয়া যায়। কিন্তু এরূপ করিয়া দেখ, দেখিলে চিত্রটি “কাঙাল” হইয়া গেছে;— “কাঙলের জলপাত্র”—এ চিত্রটি নাই! এই সময়ে কঙালের জীবনের একটুখানি ইঙ্গিত বা ব্যঙ্গ্য—যেমন তাহার ছিন্ন কস্থার একটুথানি কিম্বা ভিক্ষার ঝুলিটি দিয়া—অথবা আবও কোন • স্বল্পতর ইঙ্গিতের সাহায্যে জলপাত্রের শৃষ্ঠত এবং কাঙাল-জীবনের রিক্তত প্রকাশ করিয়া আমায় চিত্রে কাঙালের জলপাত্রের ব্যঙ্গ্যটি বুঝাইয়া দিতে হয়। এই ব্যঙ্গ্য যে-চিত্রকর যত মুচারুভাবে নিজের চিত্রে প্রকাশ করেন, ততই তাহার অধিক গুণপনা। . একবাব এক জাপানসম্রাট চিত্রকর গণের এই ব্যঙ্গ-প্রয়োগ-শক্তি . পরীক্ষা করিয়াছিলেন। সকল চিত্রকরকেই একট কবিতার এক ছত্র চিত্রিত করিতে দেওয়া हहेल; यथा-“विछी बैौब्रष्क अर्थ बहिर्भ আনিয়াছে,—বসন্তের পুষ্পিত ক্ষেত্ৰসকলে উপর দিয়া। কত চিত্রকর কত ভাবেই এ কবিতা চিত্রিত করিয়া দেখাইল কিন্তু সম্রাট