পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© ৩৮শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা * \ ভারত ষড়ঙ্গ, ২৬৭ • এই ভাবের কার্য্যটি আমরা চোখ দিয়া দিকটি দেখাইলে চলেন ; চিত্র অল পূর্ণ থাকে, ধরিতে পারি;—যেমন আকৃতির নানা ভঙ্গীতে ; —বসন্তে নুতন ফুল, কচি পাতার বর্ণের উৎকর্ষে ও ত{হাদের সতেজ ভঙ্গীতে, ঝড়ের দিনে গাছের ঝুঁকিয়া-পড়া গুইয়া-পড়ার ভঙ্গীতে এবং সমুদ্রের তাওব আফিালনে ; তোমার গলে হাত দিয়া বসায়, চোখে আঁচল দিয়া ৰুদায়, তোমার আলুথালু বেশের ভঙ্গীতে, তোমার ছুটিয়া চলায়, বসিয়া থাকায়, তোমার চোখের পাতাটি মুইয়া পড়ায়, তোমার অধরের একটু কম্পনে, ভ্রাব সামান্ত কুঞ্চনে, হাতখনি হাতে দিবার গালে দিবার ভঙ্গীতে । sp চোখে আমরা ভাবকে দেখি ও দেখাই ভঙ্গী দিয়া—ত্রিভঙ্গ, সমভঙ্গ, অতিভঙ্গ ইত্যাদি শাস্ত্রসম্মত এবং অগণিত শাস্ত্রছাড়া, স্বষ্টিছাড়া ভঙ্গী দিয়া । কিন্তু ভাবের ব্যঞ্জন বা নিগূঢ় ভাবটি আমরা কেবল মন দিয়া অনুভব করিতে পারি। কোকিলের কণ্ঠ কি যে জানাইতেছে, শীতের কুহেলিকা কাহাকে ঢাকিয়া রহিয়াছে, শরতের মেঘের রথ কাহাকে যে বহন করিয়া চল্লিয়াছে, আমার মধ্যে কাহার বেদন বাহিরের বসন্তের সমস্ত আননের বর্ণে বর্ণে দুঃখের কালিম। লেপন করিতেছে, কাহার আনন্দ, অন্ধকারে আলো দিতেছে-তাহাকে দেখা চোখের সাধ্য নয় ; ~মনের আয়ত্তাধীন। সুতরাং কেবল চোখে ভাবে কাৰ্য্য যে ভঙ্গীটুকু পড়িতেছে কেবল লক্ট্রকুমাত্রই চিত্র করিয়া আমরা নিশ্চিন্ত ইতে পারিতেছিন ; কেননা এরূপে ভাবের "ণর দিকটি সম্পূর্ণ বা পড়িতেছে। "अिन श्वण पूं कि जर्षी९ उनोज —ইঙ্গিতের অভাবে, ব্যঙ্গ্যের অভাবে “শব্দ ,চিত্রম্ বাচ্যচিত্রমব্যঙ্গ্যত্ত্ববরং স্মৃতম্”। ব্যঙ্গ্য অভাবে,শব্দচিত্র, বাচ্য চিত্র, এমন কি লিখিত চিত্রও অনুত্তম হইয়া- পড়ে। ইদুমুত্তমমতিশরিনি বঙ্গে”। চিত্রমাত্রেই উত্তম হয় ব্যঙ্গ থাকিলে । - সুতরাং ভাবটি দেখিতেছি গুইমুখে সাপ! একমুখ তাহার চোখে দেখিতেছি ও দেখাইতে পারিতেছি ভঙ্গী দিয়া,–রেখার ভঙ্গী, বর্ণের ভঙ্গী, আকৃতির নানা ভঙ্গী দিয়া। কিন্তু সাপের আর একমুখ দেখিতেছি ব্যঙ্গ্য ও গৃঢ়তার মধ্যে প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। অন্ধকার রাত্রে গাছের তলায়, ছায়ার মায়ার মত সে দেখা দিতেছেও বটে, দেখা দিতেছেনাও বটে ! কাজেই চিত্র করিবার সময় দেখাইব কতখানি এটাও যেমন ভাবিতে হইবে, দেখাইব না কতখানি তাহাও বিচার করিতে হইবে। কি দিয়া ভাবের প্রচ্ছন্নতাকে বুঝাইব ? প্রচ্ছন্ন যাহা তাহাকে খুলিয়া দেখাইলে তো সে অার প্রচ্ছন্ন রহে না । ছায়ার উপরে আতপের প্রয়োগ করিয়া ছায়াকে তো দেখাইতে পারিনা –সে যে আতুপ পাইলেই দূরে পালায় ৷ ‘ কাজেই দেখিতেছি, ছায়৷ দেখাইতে হইলে আমরা যেমন স্নাতপের সম্মুখে কোনো এক পদার্থ আড়াল করিয়া ধরিয়া—যেমন গাছটি কিম্বা আমার হাতখানিধরিয়া—দেখাই, এই ছায়া ! তেমনি চিত্রেও ব্যুঞ্জনা দিই আমরা যেটা প্রচ্ছন্ন তাহার, আর যেটা ফুষ্ট তাণর মাঝে কিছু-একটা আড়াল लिग्नां । কুটারটি আধখানি লিখিলাম, আর আধ