৩৮শ ধর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা 漫 so .গেয়েছে! হেক্টর নিঃশব্দে প্রতীক্ষা করে রইলেন ;—চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে গেল, তখন ব্যাকুল কণ্ঠে বলে উঠলেন,—“ভগবান হায় ভগবান, কুয়াশী উঠিয়ে নাও, দৃষ্টির এ * বাধা দূর করে দাও। কে এখানে "নিকলেটকে” ডাকছে, কে এখানে তার গান গাইছে ।” তিনিও চাপামুরে সেই গান গাইতে আরম্ভ করলেন। মুন্দরী প্রেয়সী, সুন্দর কুলটি নিকলেট । কোথায় তিনি আছেন, এ কোন দেশ, আবার সেই নাম কে বলে ? সে গান এখানে কে গtয় ?” 哆 গত দিনের ঘটনা একে একে সব তার মনে হল। যতক্ষণ র্তার শরীবে শক্তি ছিল, বীরের বাহু তার কর্তব্য ভুলে যায়নি, যতক্ষণ চরণ চলৎশুক্তিরহিত হয়নি, ততক্ষণ তো ফরাসী-সেন, অf ষ্ট্রয় রুসিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ মত্ত ছিল। এককালে ,বোরিসের সঙ্গে একত্রে রুষ “নোবল গার্ডস” এ কাজ করতেন। বোরিসের মত বন্ধু তার ছিল না, আজ আবার তার মত শক্রও র্তার আর কেউ নেই। দুজনেই সেই একটি নারীকে ভালবাসতেন —তরি পরিণাম আজকের এই শক্ৰতা! প্রভাত হতে মধ্যাহ, মধ্যদিন হতে ক্রমশঃ সন্ধ্যার ছায়াচ্ছন্ন ধুসর 'আগমন কাল পৰ্যন্তু, বোরিস তার অনুসরণ এড়িয়ে গিয়েছে। বোরিস সেনানায়ক হয়ে যখন বরফের আশ্রয়ের উপর দিয়ে রুষসৈন্তকে ক্রমশঃ যুদ্ধ-ক্ষেত্র হতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ফরাসী-সম্রাট তাদের উপর গুলি" .টাগাবার আদেশ দেন। হেক্টর সেই আদেশ প্রচার করেন, আর সেই সময়েই রুষ দ্বন্দ্ব যুদ্ধ । “সহজ নয়! কি হ’ল ? &bペ) সৈন্তদের অমুসরণ করে চলেন। অধিকদুর যেতে না যেতেই তার . ঘোড়াটি, ভূমিশায়ী হয়। কোনরূপে আপনাকে রক্ষা করে আবার পদব্রজেই তাদের পিছন পিছন চল্লেন অন্ততঃ এই তাৰ বিশ্বাস— গভীরভাবে চিন্তা করেও আর কিছু মনে করতে পারলেন না। তবে তার এই ধারণা কি সত্য—তিনি যে মনে করেছিলেন, র্তার শক্রকে দেখতে পেয়েছিলেন, চীৎকার করে, নাম ধরে তাকে ডেকেছিলেন, দাড়াতে বলেছিলেন, পিস্তল পৰ্য্যন্ত তুলে তার দিকে লক্ষ্য করছিলেন—এমন সময় নিজে বন্দুকের আঘাতে খেলার পুতুলের মত ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন—তারপর কিছুই আর জানেন না চারিদিক দুর্ভেদ্য অন্ধকার নিম্পন্দ শাহীনতায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তবে সে কি ভ্রান্তি, কল্পনা, স্বপ্ন ? তা তো নয়! তিনি যে স্পষ্ট তাকে দেখতে পেয়েছিলেন। সবই সত্য, তিনি যে বরফের উপর কাষ্ঠখণ্ডের মত নিশ্চল হয়ে পড়ে আছেন, তারি মত নিশ্চিত সত্য । কেন তিনি এমন হয়ে পড়ে আছেন ? চেষ্টাকরলে উঠতে পারেন না কি ? জীবের জীবন-রক্ষার চেষ্টা, প্রকৃতির আদিম সংস্কার তাকে আত্মরক্ষার, উষ্ঠমে প্রণোদিত করলে, প্রথম ব্যাকুল চেষ্টার পরই বেদনব্যঞ্জক অক্ষুটধ্বনি উচ্চারণ করে আবার গুয়ে পড়লেন । হাটুর কাছে যে তীব্র বেদন বোধ করলেন তাতেই বুঝতে পারলেন, ব্যাপার অতি সাবধানে ধীরে ধীরে উঠবার চেষ্টা করলেন, আবার প্রশ্ন করলেন “কি হ’ল ?”
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৮৩
অবয়ব