পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిపి যন্ত্রের কলটি টিপিয়া দিলাম। আলোকরশ্মি দেখিয় সিংহের গর্জন করিতে লাগিল । তৎক্ষণাৎ আমরা তাঁহাদের মধ্যে একটি সিংহের ফটাে তুলিয়া লইলাম। কিছুক্ষণ " পরে বৈদ্যুতিক আলোকের সাহায্যে দেখিতে পাইলাম যে একটি সিংহ মৃতজস্তুর পাশে গুড়ি মারিয়া রহিয়াছে। আমি বিন্দুমাত্র छांब्रडी { আষাঢ়, ১৩২৯ কালবিলৰ না করিয়া তাহার ফটো তুলিয়৷ লইলাম। (৬নং ছবি) { আমাদের আফ্রিকা ত্যাগের সময় নিকটবৰ্ত্তী হইয়া আসিল । পরে আর বিশেষ কোন উল্লেখযোগ্য চিত্র তুলি নাই। কিন্তু সেই কয়মাসের স্মৃতিচিত্র চিরদিনের জন্ত আমার মানসপটে অঙ্কিত হষ্টয়া আছে।” ঐঅনিলচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ভিজিগাপত্তম আমরা ভিজিগাপত্তমের যাত্রী। রেলের গাড়ীতে বসে প্রকৃতির শোভা দেখে দিনটা বেশ আরামে কেটে গেল। এই পাহাড় গাছ পালা—এই নদনদী তড়াগ ; মুহূমুহু নবনৰ দৃতের আবির্ভাব ও অন্তৰ্ধান! প্রকৃতি দেবীর এই রকম লুকোচুরী খেলা দেখতে দেখতে অপরাত্ন প্রায় চারিটার সময় আমরা গম্যস্থানে এসে পড়লেম । আমাদের বাড়ীটি ছোট খাট দোতলা ; বারানার নীচেই বড় রাস্তা— রাস্তার পরেই সমুদ্র । বারাণ্ডায় বসে আমরা সমুদ্রের মাতামাতি এবং রাস্তার লোক চলাচল—এই দুই-ই দেখতে পাই । শুনা যায় ডাচরা সৰ্ব্ব প্রথম এ দেশ জয় ক’রে নিয়ে এখানে বসবাস আরম্ভ করে । এখন অবত এ অঞ্চয়ও ইংরাজের অধিকার छूख् ।। ७ई बांध्नौज्ञ 5ाबि.१icमहे दश् छl5 পরিবার খোলার বাড়ীতে বাস করছে। আমরা ঘরে বসে তাদের সমুদ্র-স্নান দেখতে পাই। জ্যাৎসারাতে ১০টার সময়ও কোন কেন ' দিন তারা সমুদ্রে নামে ; মেমদের মিহি গলার চীৎকারে নিস্তন্ধ রাত্রি উল্লাসে কেঁপে ওঠে। দিনের বেলা অনেক সাহেবমেম জলকেণী করেন, --কিন্তু গলার স্বর এমন শোনা যায় না । এখানে হিন্দুতীর্থ বেশী নেষ্ট, একটি উচু পাহাড়ের উপর রাজা নরসিংহ প্রতিষ্ঠিত কতকগুলি দেবদেবীর মুৰ্ত্তি আছে। অনেক সিড়ি পার হয়ে তবে এই পাহাড়-তীর্থে উঠতে হয়। আমাদের একটি আত্মীয় একবার সেখানে উঠতে গিয়ে ভারী বিপদে পড়েছিলেন, তাই আমি আর আমার সদ্যঃ রোগমুক্ত দুৰ্ব্বল আত্মীয়াটিকে নিয়ে সেখানে যেতে সাহস পেলেম না । কিন্তু তীর্থদর্শনপুণ্য যে একেবারেই অদৃষ্টে ঘটেনি তা নয়। একটি ছোট পাহাড়ের উপর মুসলমানদের একটি মসজিদ আছে আমরু সেখানে একদিন গিয়েছিলেম। এটি একটি পীরের আস্তানা—রেলিং ঘের তিন চার হাত স্থান ধুপধুনা ও ফুলগদ্ধে ভরপুর। বঙ্গ বাহুল্য এখানে কোন মূর্তি নেই। মুসলমানগণ ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে এই পৃষ্ঠ মন্দিরে এসে ভগবানের উদ্দেশে প্রণাম করে । জানি ল', একজন হিন্দুর মনে এই দৃষ্ঠে কি ভাবের উদয় হয়—আমার মন ত এই দৃষ্ঠে সেই একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্মের প্রতি ভক্তির ভাণ